ঈদের দিন...........
এ দিনে সবাই কম-বেশী ব্যস্ত থাকে। এলাকার স্বনামধন্য চৌধুরী বাড়িতেও তার কমতি নেই। বাজারের সবচেয়ে বড় গরূটি এ বাড়ীতে জবাই হয়েছে, এলাকার সব অনাথ-মিসকিন সেই বাড়ীর আশে-পাশে ভীড় জমিয়েছে- এক টুকরো গোস পাওয়ার আশায়।
অনেক সময় কেটে গেলেও কেহই আর গোস নিয়ে গেটের বাহিরে আসছেনা। মিসকিনের দলটি ধৈর্য ধরতে না পেড়ে গেট দিয়ে উকি মারার চেষ্টা করতেই বাড়ীর কর্তা মস্ত এক লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে, অমনি হুড়মুর করে যে যেদিকে পাড়ে মারে ভো-দৌড়। কেউ কারও দিকে খেয়াল না করে দৌড়াতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আশিের্ধা এক বৃদ্ধ। কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে, যাহোক কথা বলে জানলাম যে বৃদ্ধের দুই ছেলে দুবাই প্রবাসী-অনেকদিন কোন খোজখবর নেই আজ কতদিন হল এক টুকরো মাংস মুখে উঠেনি তাই কষ্ট করে এতদুর আসা, এও জানা গেল যে চৌধুরীরা তার কোন এক সম্পর্কে আত্মীয়তাও আছে।
অনেক সময় কেটে যাওয়ার পর মিসকিনদের সেই দলটি আবারও ঝুকি নিয়ে গেটের দিকে অগ্রসর হয়, কিন্তু ততক্ষনে সেখানে আর গরূর গোস নেই আছে মস্ত দুটো শিং, পায়ের ক্ষুর, ক্ষত-বিক্ষত কিছু হাড়, টুকরো চামড়া আর নাড়ি-ভুরি। যার জন্য এই দলটি এতক্ষন ধরে তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করছিল তার কোন ফলই হলনা, ততক্ষণে অন্দরের ডীপ ফ্রীজে আর রান্নার মস্ত কড়াইয়ে চলে গেছে পুরো গরুটি। যাহোক- আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়ানো-ছিটানো দু-এক টুকরো মাংস যে যা পেয়েছে তাই নিয়ে কিছুদুর যেতেই ৫তলার ছাদ থেকে কে যেন বলছে "এ্যই তোরা গোস নিয়ে যা..............."।
গলা শুনে মনে হল গৃহকর্তা। কে বলেছে গৃহকর্তা নিষ্টুর? সবাই যে যার মত দৌরে আবার সেই গেটে। অনেক্ষন পর কিছু গোস নিয়ে একজন বের হয়ে এলো, মুরগীকে যেভাবে ছড়ায়ে খাদ্য দেয়া হয় তেমনিভাবে কয়েক টুকরো মাংস সবার উদ্দেশ্যে ছুরে দিতেই যে যার মত লুফে নিল।
এই দলে সেই বৃদ্ধাও ছিল। অনেক পেরেশানীর পর এক টুকরো মাংস হাতে পেয়ে বৃদ্ধার সে কি আনন্দ, ভাবছে আর কষ্ট করে কোথাও যাবেনা কোমড়েও ব্যাথা এই টুকড়াটি কোনরকম সেদ্ধ করে খেয়ে ঘুমিয়ে পরবে। এসব ভাবতে ভাবতে তার শয়ণকুটির এর কাছাকাছি আসতেই কোথা থেকে এক কুত্তা ছোবল মেরে বৃদ্ধার হাত থেকে মাংসের টুকরাটি নিয়ে দে ভো দৌড়.......................... ( চলবে )
ভাবুনতো সমাজের এ-কী বিশ্রী চেহারা.......................................!
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন