আগামী ১০০ বছর পরে পৃথিবীর চিত্র কি হবে মনে হয়? পৃথিবী কি দেশ দ্বারাই বিভাজিত থাকবে? নাকি একটি একটি গ্রহগত সভ্যতায় পরিণত হবে। দেশপ্রেম বলে কিছু থাকবে নাকি তা পৃথিবীপ্রেমে পরিণত হবে।
আজ আমরা কিন্তু কথা বলি মানব সভ্যতা নিয়ে। অমুক স্থানের সভ্যতা, অমুক নদের পাড়ের সভ্যতা- এভাবে বিভাজন করিনা।
একটি শার্ট থেকে শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন সব কিছুর মধ্যই রয়েছে বিভিন্ন দেশ ও জাতির সম্মিলিত প্রয়াস।
আমার ধারনা ১০০ বছর পরে সমগ্র পৃথিবী হয়ে যাবে একটি সুপার কান্ট্রিতে। কোন দারিদ্রটাও থাকবে না, কোন ভিসা বাবস্থাও থাকবে না।
সুপার কান্ট্রি গঠনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট হল সুপার-কান্ট্রি এর টেলিফোন ব্যবস্থা। আঞ্চলিক জোটগুলো হল গঠনতন্ত্রের রূপকার। যেমন সার্ক, নাফটা, ই-ইউ, আরব লিগ ইত্যাদি। জোটগুলো ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। একসময় বড় হতে হতে এবং একটি জোটের সাথে আরেকটি সংযুক্ত হতে হতে তারা একটিমাত্র বিশাল জোটে পরিণত হবে, যাকেই আমি বলছি সুপার কান্ট্রি বা 'পৃথিবী' বা পড়ুন 'গ্রহগত সভ্যতা' ।
হয়ত ততদিনে মানুষ মঙ্গল গ্রহে এবং ইউরোপা উপগ্রহে বসবাস শুরু করে দেবে। পৃথিবী-মঙ্গল-ইউরোপার মধ্যে সৌর-অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে।
ফিরে আসি ই-ইউ থেকে গ্রেট ব্রিটেন এর সরে আসা নিয়ে। এবং রাশিয়ার বেশ খুশী খুশী মনোভাব নিয়ে।
উনারা কি মনে করছেন? উনারা ঠিক কাজ করলেন? উনারা স্বাধীনতা পেলেন? উনারা এখন ইস্ট ইউরোপিয়ান সুবিধাভোগীদের দূর দূর করে তাড়িয়ে নিজেদের চাকরী নিশ্চিত করবেন? নাকি সুপার কান্ট্রি গঠনে তাদের অবস্থান নড়বড়ে করলেন।
ইন্টারনেট এর পরেই, ই-ইউ হল মানবজাতির গ্রহগত সভ্যতা বিবর্তনের সবচেয়ে বড় নির্দেশনা। এই জোট-কে অনুসরণ করবে অন্য আঞ্চলিক জোট-সমূহ এটাই স্বাভাবিক। এবং তা-ই হচ্ছে।
গ্রেট ব্রিটেনের ৫২ শতাংশ মানুষ ভুল করেছেন। এই ভুলের মাশুল খুব সম্ভবত তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে হবে যখন তারা আবার ফেরত আসতে চাইবেন।