ইউনুস সাহেবকে প্রধান করে ১৬ জনের অন্তরবর্তী সরকার গঠিত হলো l কার প্রেসক্রিপশানে এদের নেয়া হলো তা বোঝা গেলো না আর আমি যা বুঝতেছি তা পরিষ্কার ব্যাখ্যা এখন দিবো না l আমার কাছে অন্তরবর্তী সরকারের চেহারা দেখে বেশ রিলাক্স একটা মুড মনে হচ্ছে l বিশাল যুদ্ধ শেষ সকল শত্রু নিধন শেষে বিকালের আয়েশ করে চা খেতে খেতে করা কমিটি l আসলে কি এত রিলাক্স হওয়ার মত পরিস্থিতি এখন???
বর্তমান পরিস্থিতিটা কি উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে তা মাথায় রাখা উচিৎ ছিল l খুব সম্ভবত যদি ভুল না করে থাকি নাহিদ নামের সমন্বয়ক যে এখন উপদেষ্টা হয়েছে সে বলেছিল, আমরা বাধ্য হলে অস্ত্র তুলে নিবো l খুব অবাক হয়েছিলাম তার এই কথা শুনে যেখানে সারা দেশের মানুষ সমর্থন দিচ্ছে সেখানে অস্ত্র তুলে নেয়ার কি দরকার হলো ?? যাই হোক এটা সে ভালো বলতে পারবে আপাতত এটা আবেগী বক্তব্য বলেই ধরে নিচ্ছি l কিন্তু আবেগ দিয়ে তো দেশ চলবে না l ১/১১/২০০৭ আর ৬/৬/২০২৪ সময়ের পার্থক্য প্রায় ১৭ বছর ইউনুস সাহেবের বয়স এখন ৮৪ এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে l
এবার পরিস্থিতির দিকে তাকাই আন্দোলন সহিংস রূপ নিলো l জেল ভেঙে কয়েদি পালাচ্ছে থানাগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে সারা দেশের প্রতিটি থানায় আগুন দেয়া হয়েছে অস্ত্র লুট হয়েছে l ইতিহাসের এই পর্যায়ে যত পরিমান পুলিশ হত্যা হয়েছে তা আগে কখনো হয়নি l এখন প্রশ্ন যে সকল পুলিশ রাস্তায় ছিল সংঘর্ষে ছিল তাদের হত্যা বুঝলাম কিন্তু থানাগুলো জ্বালিয়ে অস্ত্র লুট এটা কেন?? তাহলে কি করতে চেয়েছিল যারা এগুলো করেছে ? বলে রাখা ভালো যে সকল অস্ত্র লুট হয়েছে তার ১ ভাগও উদ্ধার হয়নি l তাহলে সশস্ত্র বা গৃহযুদ্ধ এর প্রস্তুতি ছিল বা আছে l এবং গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা এখনো শতভাগ আছে l শিক্ষার্থীদের মুখ দিয়ে তা বলানোর উদ্দেশ্য পরবর্তীতে যদি গৃহযুদ্ধ হয় তাও শিক্ষার্থীদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া সহজ হবে l
এদিক থেকে আমি অবশ্য শেখ হাসিনার হঠাৎ দেশ ত্যাগ অন্য ইশারা পাই l সে থাকলে বা জিদ ধরে বসে থাকলে নিশ্চিত গৃহযুদ্ধ এবং শেখ হাসিনা হত্যা করা সহজ হতো l একি সাথে দুই পাখি মারা যেত বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ভারতের বর্ডার অশান্তি সিক্স সিস্টার অশান্ত l ইতিমধ্যে আমার জানা মতে সিক্স সিস্টারের কিছু অঞ্চলে কারফিউ দেয়া হয়েছে l কিন্তু সব কিছুতে পানি দিয়ে দিল শেখ হাসিনার হঠাৎ দেশত্যাগ l ফলে (১/১১/২০০৭)১৭ বছর পরে এত সুন্দর পরিশ্রম করে বিদেশী প্ল্যান প্রায় ভন্ডুল হয়ে গেলো!! এর প্রমান শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যের এসাইলাম না দেয়া সারা দুনিয়ার সকল শয়তানের প্ৰেম আশ্রয়স্থল যুক্তরাজ্য /কানাডা যখনএরা আইনের দোহাই দেয় তখন হাসি পায়!! অর্থাৎ ১৭ বছর পর শেখ হাসিনাকে হার মানিয়ে তাকে জীবিত দেখা আসলে তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য বুঝি!!
যাই হোক এই হচ্ছে বর্তমান দেশের পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দারপ্রান্তে আইন বলতে কিছু নাই অবস্থা তখন এই উপদেষ্টার তালিকায় আমি হতাশ এক ইউনুস সাহেব এবং মেজর অব. শাখাওয়াত ছাড়া বাকি কেউ এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার যোগ্যতা আছে বলে মনে হয় না l দুইজন শিক্ষার্থী উপদেষ্টা করা সবচেয়ে অবিবেচক এবং প্রচন্ড সন্দেহজনকে সিদ্ধান্ত l এদের অবদান অস্বীকার করার কোন কারন নাই অবশ্যই আন্দোলনে এরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায় ছিল l কিন্তু তাদের ছাত্র রিলেটেড কার্যক্রম থাকাই যুক্তিসঙ্গত ছিল l অন্যদিকে আরেকটি সন্দেহ হয় যে জন্যে বলছি প্রচন্ড সন্দেহজনক তা হচ্ছে দুর্বল ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার গঠন করে আবার ব্যর্থ করার নীল নকশা নয়ত???!!!
যদি ব্যর্থ হয় তখন ব্যর্থতার তীরও যাবে শিক্ষার্থীদের দিকেই l
এর মধ্যে কিছু এনজিও কর্মকর্তা আছে যাদের অভিজ্ঞতা শুন্য শিক্ষার্থীরা আসলেই কত টুকু পারবে তা অবশ্য সময় বলবে শুধু ইউনুস আর মেজর শাখাওয়াত ( অবারপ্রাপ্ত )ছাড়া যোগ্যতার মাপকাঠিতে কেউ ১০ এ ৫ পাবে কিনা সন্দেহ!!
আশা করি মনে প্রাণে চাই আমি ভুল ভুল ভুল প্রমাণিত হই l আমার পোস্টের নাম এরপর কে? যদি এই অন্তরবর্তী সরকার ব্যর্থ হয় তখন জনতা কার কথা শুনবে?? কোন রাজনৈতিক দলও সেই অবস্থায় নেই জনতা মানবে এই অন্তরবর্তী সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এরপর কে? কেউ কাউকে মানবে না শুরু হবে শক্তি প্রদর্শনের খেলা অথবা আবার সেনা শাসন l তবে সেনাবাহিনীর বর্তমান অবস্থা যা মনে হচ্ছে এরা ক্ষমতা নিতে আগ্রহী না l তাহলে?! পশ্চিমদিকের কুটচালগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধ সবচেয়ে প্রিয় চাল যার জন্যে দেশের প্রেক্ষাপট প্রায় প্রস্তুত!
যাই হোক আশা করি আমি ভুল প্রমাণিত হবো l

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


