জাতীয় শোক দিবস পালন করবে না ৩৪ ছাত্র সংগঠন
প্রধান উদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে।
সোমবার রাতে বৈঠক করেন ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনসহ ডানপন্থি-বামপন্থি ও প্রগতিশীল মিলে ৩৪টি ছাত্র সংগঠন।
সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি অডিটোরিয়ামে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার লিয়াজোঁ কমিটির তরফ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন।
এদিকে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিলের ঘোষণা আসে। প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে আওয়ামী লীগের নানা স্তর থেকে দিবসটি পালনে প্রস্তুতির কথা বলা হলেও দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি।
৩৪ ছাত্র সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘১৫ অগাস্ট’কে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় ‘সন্ত্রাসী ও জঙ্গি’ কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করতে ১৫ অগাস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়।
সভায় ছাত্রনেতারা জুলাই-অগাস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে বর্ণনা করে তাদের বক্তব্য দেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুসংহতকরণের লক্ষ্যে ন্যূনতম এক মাস বা পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও বেশি সময় সব ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে নিজেরা আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না; বরং এ আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এবং সকল ধরনের প্রতিবিপ্লব রুখে দেওয়ার জন্য লড়ে যাবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ছাত্র ক্যাম্পাসে বা অন্য কোথাও কারও ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি কিংবা ট্যাগ-ব্লেইম দিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
‘সন্ত্রাসী’ ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেন লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আব্দুল্লাহ, নাসির আব্দুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম আদীব।
সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রপ্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ), বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।
আরও ছিল ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও জুম লিটারেচার সোসাইটি।
ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ভিন্ন সুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সভায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজার ও মুক্তা বাড়ৈর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট উপস্থিত ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক রাহয়ান এবং ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশের) সভাপতি রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন এক যৌথ বিবৃতিতে ওই সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন না বলে তথ্য দিয়েছেন।
তারা বলেন, ওই সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি সারা দেশের গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতাকে হতবাক করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে।
তাদের ভাষ্য- এই অভ্যুত্থানে তাদের দুই সংগঠন সারা দেশে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছি, আন্দোলন তরান্বিত করার চেষ্টা করেছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্রসমাজের করণীয় প্রশ্নে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যের নামে ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে পরিচালিত কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি এটা না আওয়ামীলীগ নির্মূল কমিটি কোন নাম দিলে ভালো হয়??
কোটা নিয়ে আন্দোলন সফল, আওয়ামীলীগ সরকার ব্যর্থ সেই সরকারকেও বিদায় করা হয়েছে l তার পরেও এত ক্ষোভ কেন? উপদেষ্টা সব যেন আওয়ামীলীগ নাম মুছতে অতি মনযোগী l দেশ না ঠিক করে প্রত্যেক উপদেষ্টা আওয়ামীলীগ নিয়ে ব্যস্ত l কারন কি? কারন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার আগে মুহূর্তে জামাত নিষিদ্ধ করে গেছে l তাহলে কি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে!!
ছাত্র সমন্বয়কদের দাবী পুরো দেশ তাদের সাথে অসীম তাদের ক্ষমতা কথায় কথায় হুমকি সেদিন এক সমন্বয়ক হুমকি দিলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে গণ ভাবনের কথা মনে করিয়ে দেয় তার অপরাধ আওয়ামীলীগকে গুছিয়ে নেয়ার কথা বলা l কি অসীম ক্ষমতা দাবাং হিরো!!
এত ক্ষমতা থাকতে ৭১ এর পরাজিত শক্তি দেশের চিহ্নিত শত্রু জঙ্গি স্রষ্টা নিষিদ্ধ জামাত শিবির এর সাথে একসাথে বসতে হয় কেন?? নিষিদ্ধ জামাত শিবিরের শক্তি নিয়ে প্রকাশ্যে কি বড়াই?? উন্নয়নের কোন কথা কাজ নাই প্রথম কাজ ১৫ ই আগস্ট ছুটি বাতিল!! দেশের উন্নয়নের অন্তরবর্তী সরকারের প্রথম কাজ কি মহান কাজ!!
একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে গেলো?? দায় কার?? প্রত্যেকের প্রত্যেক দলের এই জন্যে মূল্য দিতে হবে মাত্র একটি দল মূল্য দিয়েছে এই দায় পুরো জাতির পুরো জাতি এই মূল্য দিবে l রাজপথ ক্ষমা করে না, রাজপথ ক্ষমা জানে না l কেউ চোখ বন্ধ করে নেই সবার চোখ কান মগজ খোলা l যা হচ্ছে সবাই দেখছে সবাই বুঝে জনগণকে বেশি বোকা বানাতে গেলে কি হয় তা জনগণ উত্তর দিবে l
জাতীয় শোক দিবস পালন করবে না ৩৪ ছাত্র সংগঠন
প্রধান উদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে।
সোমবার রাতে বৈঠক করেন ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনসহ ডানপন্থি-বামপন্থি ও প্রগতিশীল মিলে ৩৪টি ছাত্র সংগঠন।
সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি অডিটোরিয়ামে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার লিয়াজোঁ কমিটির তরফ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন।
এদিকে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিলের ঘোষণা আসে। প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে আওয়ামী লীগের নানা স্তর থেকে দিবসটি পালনে প্রস্তুতির কথা বলা হলেও দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি।
৩৪ ছাত্র সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘১৫ অগাস্ট’কে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় ‘সন্ত্রাসী ও জঙ্গি’ কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করতে ১৫ অগাস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়।
সভায় ছাত্রনেতারা জুলাই-অগাস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে বর্ণনা করে তাদের বক্তব্য দেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুসংহতকরণের লক্ষ্যে ন্যূনতম এক মাস বা পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও বেশি সময় সব ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে নিজেরা আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না; বরং এ আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এবং সকল ধরনের প্রতিবিপ্লব রুখে দেওয়ার জন্য লড়ে যাবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ছাত্র ক্যাম্পাসে বা অন্য কোথাও কারও ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি কিংবা ট্যাগ-ব্লেইম দিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
‘সন্ত্রাসী’ ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেন লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আব্দুল্লাহ, নাসির আব্দুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম আদীব।
সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রপ্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ), বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।
আরও ছিল ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও জুম লিটারেচার সোসাইটি।
ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ভিন্ন সুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সভায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজার ও মুক্তা বাড়ৈর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট উপস্থিত ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক রাহয়ান এবং ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশের) সভাপতি রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন এক যৌথ বিবৃতিতে ওই সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন না বলে তথ্য দিয়েছেন।
তারা বলেন, ওই সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি সারা দেশের গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতাকে হতবাক করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে।
তাদের ভাষ্য- এই অভ্যুত্থানে তাদের দুই সংগঠন সারা দেশে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছি, আন্দোলন তরান্বিত করার চেষ্টা করেছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্রসমাজের করণীয় প্রশ্নে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যের নামে ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে পরিচালিত কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি এটা না আওয়ামীলীগ নির্মূল কমিটি কোন নাম দিলে ভালো হয়??
কোটা নিয়ে আন্দোলন সফল, আওয়ামীলীগ সরকার ব্যর্থ সেই সরকারকেও বিদায় করা হয়েছে l তার পরেও এত ক্ষোভ কেন? উপদেষ্টা সব যেন আওয়ামীলীগ নাম মুছতে অতি মনযোগী l দেশ না ঠিক করে প্রত্যেক উপদেষ্টা আওয়ামীলীগ নিয়ে ব্যস্ত l কারন কি? কারন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার আগে মুহূর্তে জামাত নিষিদ্ধ করে গেছে l তাহলে কি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে!!
ছাত্র সমন্বয়কদের দাবী পুরো দেশ তাদের সাথে অসীম তাদের ক্ষমতা কথায় কথায় হুমকি সেদিন এক সমন্বয়ক হুমকি দিলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে গণ ভাবনের কথা মনে করিয়ে দেয় তার অপরাধ আওয়ামীলীগকে গুছিয়ে নেয়ার কথা বলা l কি অসীম ক্ষমতা দাবাং হিরো!!
এত ক্ষমতা থাকতে ৭১ এর পরাজিত শক্তি দেশের চিহ্নিত শত্রু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী নিষিদ্ধ জামাত শিবির এর সাথে একসাথে বসতে হয় কেন?? নিষিদ্ধ চরমপন্থী জঙ্গিবাদী জামাত শিবিরের শক্তি নিয়ে প্রকাশ্যে কি বড়াই?? উন্নয়নের কোন কথা কাজ নাই প্রথম কাজ ১৫ ই আগস্ট ছুটি বাতিল!! দেশের উন্নয়নের অন্তরবর্তী সরকারের প্রথম কাজ কি মহান কাজ!!
একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে গেলো?? দায় কার?? প্রত্যেকের প্রত্যেক দলের এই জন্যে মূল্য দিতে হবে মাত্র একটি দল মূল্য দিয়েছে এই দায় পুরো জাতির পুরো জাতি এই মূল্য দিতে হবে l রাজপথ ক্ষমা করে না, রাজপথ ক্ষমা জানে না !
] [img|]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:০১