শেখ হাসিনা সরকার পতনের ঘটনা প্রবাহ প্রথম থেকেই বেশ জটিল এবং সন্দেহজনক l একটি সরকার পতন ঘটাতে কি হয় তা আশির দশক থেকেই সবাই দেখে আসছে বলা যায় প্রায় সব সরকার পতনই একই রকম l রাজপথে আন্দোলন তা থেকে সরকারি বাহিনীর সাথে লড়াই l কিন্তু এই সরকার পতনে কিছু ভিন্ন মাত্রার এবং আন্দোলনের সাথে সম্পর্কহীন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেমন, থানা আক্রমন জ্বালিয়ে দেয়া, অস্ত্র লুট, জেলখানার ভেঙে আসামি ছিনতাই l এধরনের ঘটনা সাধারণত হয় গৃহযুদ্ধের সময় হয় l স্বাভাবিক সরকার পতনের আন্দোলনে এধরনের ঘটনা হয় না l সাধারণ জনতা অস্ত্র লুট করে না, আসামি ছিনতাই করে না, থানায় ঢুকে পুলিশ হত্যা করে না এ ঘটনাগুলো অবশ্যই সাধারণ জনতার কাজ না l গৃহযুদ্ধ শুরুর দিকের ঘটনার সাথেই মিল বেশি l অবশ্য একজন সমন্বয়ক নাহিদ ঘোষণাই দিয়েছিলো সশস্ত্র সংগ্রাম করবে l অর্থাৎ তাদের প্রস্তুতি ছিল এবং আছে l যেখানে সরকার তখন সম্পূর্ণ নতজানু সব দাবী মেনে নিচ্ছে সেখানে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি এবং ঘোষণা যুক্তিসংগত কোনভাবেই না l
দ্বিতীয়ত সাধারণ জনতা এবং ছাত্ররা এত অল্প সময়ে কোনভাবেই সম্ভব না এত টা সংগঠিত হবে যুদ্ধের জন্য l কিন্তু কেউ না কেউ বা কোন কোন সংগঠন এই গৃহযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে এবং আন্দোলনের আড়ালে তাদের কর্মকান্ড পরিষ্কার সেদিকেই ইঙ্গিত করে l
এখন আসি বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ইস্কন নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি এদের নেতাদের মামলা, ভারত বিরোধী প্রচার কিন্তু ভারত কি কোন ধরনের আগ্রাসী আচরণ করেছে?? বরং তাদের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে সহযোগিতার কথা বলা হচ্ছে l হঠাৎ ভারত নিয়ে এত হই চই কেন?? কি করতে চাচ্ছে? কারা করতে চাচ্ছে? দেশ গঠন বাদ দিয়ে সরকার সহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারত নিয়ে মহা হাঙ্গামা ভোটের খবর নাই, উন্নয়নের খবর নাই ভারত নিয়ে এমন অবস্থা যেন ভারত সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে কাল হামলা করবে?! কি উদ্দেশ্য??
সরকার হটানোর নামে এশিয়া নিয়েই নতুন কোন পরিকল্পনা হচ্ছে না তো!! শ্রীলংকার মত এশিয়ার রাজনীতির গুটি হয়ে যাচ্ছে না তো বাংলাদেশ?! শ্রীলংকাও দীর্ঘ সময় গৃহযুদ্ধ কবলিত অঞ্চল ছিল শেষ মনে আছে যখন শ্রীলংকা ঘোষণা দিল তারা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে এল টি টি নেতা প্রবাকরণকে ঘিরে ফেলেছে তার ৫ কি মি এর মধ্যে পৌঁছে গেছে তখনও আমেরিকার কি দৌড় ঝাঁপ যুদ্ধ বন্ধ করে এল টি টির সাথে আলোচনায় বসতে l শ্রীলংকার উপর কি চাপ ‼️ কিন্তু শ্রীলংকা কারো কথা কান দেয়নি তারা প্রবাকরণকে হত্যা করেছিল যার ফলে শ্রীলংকা গৃহযুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিল l কিন্তু সেই অভিশাপ এখন বাংলাদেশের উপর আসছে না তো ‼️
ভারত বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করে টা থেকে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী নামবে l লাভ আমেরিকা ন্যাটোর ভারত চীন দুটোকেই শায়েস্তা করার পয়েন্ট হবে বাংলাদেশ l মমতা তো এক ধাপ এগিয়ে শান্তিরক্ষী নামানোর প্রস্তাব দিয়েই রেখেছে ‼️ এখানে মনে রাখতে হবে মমতার রাজনীতি কিন্তু হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি না কলকাতার মুসলিম নেতাদের সম্পূর্ণ সমর্থন মমতার আছে সেই সসাথে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জঙ্গিদের একটা ভালো আশ্রয় কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ l বাংলাদেশ থেকে অনেক জঙ্গি পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আশ্রয় নিয়েছে l পাকিস্তানের নেতাদের সাথেও মমতার ভালো সম্পর্ক l সব মিলিয়ে লক্ষণ খুব খারাপ l আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন l

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



