তোমাকে নিয়ে দু'চারটি লাইন লিখতে গিয়ে
থমকে যায়নি আমার হাত।
তোমার জন্য লিখতে গিয়ে,
কুড়িয়ে এনেছি শতসহস্র মাইল পেরিয়ে,
স্বর্গ মর্ত ভেদ করে এক একটি অাশ্চর্য স্বর্ণ-রত্ন।
কাব্যের সুনিপুণ অলংকারে সাজিয়েছি
অমূল্য অাশ্চর্য সেই সব স্বর্ণ-রত্ন শব্দের
প্রতিটি ভাজে ভাজে।
অামার প্রেম কাব্য দেখতে একে একে চলে এসেছে
রবার্ট ফ্রস্ট, কার্লাইল, এডগার এলান, জন কীটস,
রবী ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশের
মতো বিখ্যাত সব প্রেমের কবি!
তোমাকে হ্যাঁ ঠিক তোমাকে সামনে বসিয়ে
তোমার রূপের সৌন্দর্যে আলোকিত করেছি
অমর কবিতার প্রতিটি পঙটি-মালা।
পৃথিবীর কোন কবি লিখেনি এমন কবিতা!
কোন কর্ণ শোনেনি, কোন অাবৃত্তিকার তার কণ্ঠে ধারণ করেনি এর আগে, পৃথিবীর যতো প্রেমিক যুগল,
যতো কবি সাহিত্যিক, প্রকাশনী সবাই অাগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে কখন আমি প্রকাশ করবো,
হা, হা, হা
এমনকি স্বয়ং ঈশ্বর!
তিনি নিজেও অাগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন
অমর প্রেম কাব্য দেখার জন্য।
লক্ষলক্ষ আবৃত্তিকার বসে আছে
কণ্ঠে ধারণ করার জন্য,
লক্ষলক্ষ প্রকাশনী প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
কে কার আগে কণ্ঠে ধারণ করবে,
কে কার আগে প্রকাশ করবে,
কোন ছাপাখানা হতে সর্বপ্রথম বের হবে।
না, না আমি সবাই'কে হতম্ভব করে দিয়ে,
সবাইকে চাতক পাখির মতো তৃষ্ণার্ত রেখে
তোমাকে সন্ধ্যা রাতে জোনাকির আলোর মাঝে বসিয়ে
তোমার সম্মুখে সর্বপ্রথম কণ্ঠে ধারণ করবো,
সর্বপ্রথম তোমার কর্ণ ভেদ করবে,
তারপর তারপর সেই কাব্য জ্যোৎস্নারাতে
নদীর জলে ভাসিয়ে দেবো
যেনো আর কোন কণ্ঠে ধারণ করতে,
আর কোন কর্ণ ভেদ করতে না পারে
অমর প্রেম কাব্য--।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯