ম্যুভি রিভিউঃ ক্লাউড অ্যাটলাস
ম্যুভি টাইপঃ ড্রামা, সাই-ফাই
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৭
মুল চরিত্রেঃ টম হ্যাঙ্কস, হ্যালি বেরী, হুগো ওয়েভিং, জিম স্টারগেস, বেন হুইশো, জিম ব্রডবেন্ট
প্রায় তিনঘন্টার(১৭২ মিনিট)৬টা গল্পের একটা ম্যুভি। ৬টা ভিন্ন ভিন্ন যুগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলতে থাকে ম্যুভির কাহিনী।
ম্যুভির শুরুটা একটু দুর্বোধ্য ছিলো আমার জন্যে। কিন্তু একটু সময় যাওয়ার সাথে সাথেই ভালো লাগতে শুরু করলো। প্রথমে ৬টা গল্প বিচ্ছিন্ন মনে হলেও পরবর্তীতে মনে হলো সব গুলো ঘটনাই একদিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
সবচেয়ে মজার আর গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো সব অভিনেতা-অভিনেত্রী আলাদা আলাদা যুগে আলাদা আলাদা ভুমিকায় অভিনয় করেছেন। একেকটা গল্পে একেক রকম চরিত্রে অভিনয় করলেও প্রত্যেকটা গল্পের সাথে একটা সম্পর্ক থেকে যায় কখনো স্বপ্ন, চিহ্ন বা মিউজিক এর মাধ্যমে। যে ৬টা গল্পের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো ১৮৪৯ সালের একজন আইনজীবি, ১৯৩৬ সালের একজন ইংলিশ মিউজিশিয়ান, ১৯৭৩ সালের একজন সাংবাদিক, ২০১২ সালের একজন প্রকাশক, ২১৪৪ সালের ভবিষ্যতের নিউ সিউলের ক্লোনড একজন মেয়ে, আর অ্যাপোক্যালিপ্টিক যুগের পরের একজন উপজাতিয়কে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হয়। প্রত্যেকটা গল্পেই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় ছিলো দারুন। টম হ্যাঙ্কস এর বড় মাপের ফ্যান আমি। চমৎকার অভিনয় করেছেন এখানেও। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটের সাথে যুতসই অভিনয় করেছেন। জীম স্টারগেস, হিউ গ্রান্ট আর হ্যালি বেরীর অভিনয়ও সুন্দর হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে মিউজিশিয়ান হিসেবে বেন হুইশো এর পারফর্মেন্স। আগের “পারফিউম” ছবির কারনে এমনিতে ভালো লাগতো, এখানেও বেশ ডেডিকেশনের সাথে অভিনয় করেছেন। হুগো ওয়েভিং এর কথাও বাদ দেয়া যায়না। প্রত্যেকটা সিন ডমিনেট করেছেন যেই চরিত্রতেই তিনি অভিনয় করছিলেন না কেন। গল্প গুলোর মধ্যে নিউ-সিউলের গল্পটা বেশী ভালো লেগেছে। তবে প্রত্যেকটা গল্পেই ত্যাগ, দয়া, সাহস, বিদ্রোহের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম দেখানো হয়েছে।
৬ গল্পের এই ম্যুভির পরিচালকও কিন্তু ৩জন। পরিচালক, এডিটর বেশ ভালোভাবেই ৬টা গল্পকে প্যারালালি উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো এডিটিং এর কারনেই কিন্তু চমৎকারভাবে গল্পগুলো উপস্থাপন করা গিয়েছে।
এরকম ম্যুভিও বেশ সচরাচর দেখা যায়না। বেশ ভালো সময় কাটলো।
যারা দেখেননি এখনো তাদের জন্যে ডাউনলোড লিঙ্কঃ ক্লাউড অ্যাটলাস টরেন্ট