আজ তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুফ সংঘর্ষ করে রক্ত ঝরালো, এতে তারা ধর্মের কোন জিনিসটা উদ্ধার করেছেন তা এখনো খুঁজে পাওয়া গেলোনা। দুই পক্ষই এক আল্লাহকে মানেন, ধর্ম এক। কিন্তু এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কাফের ভাবেন। বাংলাদেশেই এরকম শ' খানেক গ্রুফ বা দল রয়েছে যারা একে অপরের বিরোধী যদিও তারা একই ধর্মেরই দাবিদার। শুধু ইসলাম ধর্মেই এই অবস্থা বাকি ধর্মগুলোতে যে কত বিভক্তি আছে কে জানে।
সবার ধর্মগ্রন্থ এক কিন্তু মতাদর্শ ভিন্ন ভিন্ন। এখান থেকে বুঝা যায় ধর্ম গ্রন্থের সঠিক ব্যখ্যা মানুষের কাছে পৌঁচেচ্ছে না। এ থেকে একটা জিনিস আরেকবার চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে দেশে ধর্মশিক্ষার বেহাল অবস্থার কথা। ধর্মের মত একটা ইমোশনাল জিনিসকে যে যার মত করে ব্যখ্যা করছে এবং নিজ নিজ মতাদর্শ সহজ সরল মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে বিভক্তি আর হিংসার পরিবেশ তৈরী করছে। আমরা জানি ধর্ম মন্ত্রনালয় নামে একটা মন্ত্রনালয় দেশে আছে কিন্তু এ নিয়ে তারা উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করেছেন বলে এখন পর্যন্ত চোখে পড়ছেনা
সরকার নিশ্চয়ই এর সমাধান খুঁজছে। তবে এর সমাধান হতে পারে ধর্ম সংশ্লিষ্ট বক্তব্যদানকারীর যোগ্যতা পরিমাপে। সেজন্য প্রতিটা ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করা যেতে পারে। যার কাজ হবে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের নিরপেক্ষ গবেষনা করে তাঁর একটা আউটপুট বের করা এবং সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার ধর্ম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত ট্রেইনিং এবং সার্টিফিকেশন করা। এতে যত্র যত্র মনগড়া বক্তব্য ফিল্টার আউট করে ফেলা যাবে এবং কোন ব্যাক্তি তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেনা।
মানবজাতির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ ধর্ম পালন করে আসছে। খুব খারাপ সময়ে সৃষ্টিকর্তার কথা ভেবে মানুষ অন্তত নিজেকে শান্তনা দেওয়ার একটা পথ খুঁজে পায়। প্রতিটা মানুষেরই কোন না কোন ধর্ম আছে হোক সে আস্তিক কিম্বা নাস্তিক। ধর্ম মানুষের রক্তে আর যেহেতু এটা মানুষের ইমোশনের একটা বড় যায়গা সরকারের উচিৎ এই ব্যপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া। নাহলে ধর্মের নামে ধ্বংস থামবেনা বরং বাড়বে, কারন ধর্মের পোশাকের প্রতি মানুষের আবেগ আর বিশ্বাস অন্য কোথাও নেই। এটাকে যতটা সম্ভব নির্ভুল আর কলুষতামুক্ত রাখাই বাঞ্চনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫