somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায় বাংলাদেশ!

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমন একটা দেশের কথা লিখছি, জন্মের পর থেকে যার শুধু অতীতের গল্প শুনেই আসছি। অতীতে এই ছিল, সেই ছিল। গোলা ভরা ধান ছিল গোয়াল ভরা গরু ছিল। আমরা শুনি আর বিশ্বাস করি। কোনদিন কেউ পাল্টা প্রশ্ন করি নাই। ভবিষ্যতে কি হবে। ভবিষ্যতে এ দেশকে কোথায় দেখতে চাই তা নিয়ে আগ্রহী হই নাই। ইতিহাস বলে এদেশের মানুষ সব সময় গরীব ছিল। শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় আটমন চাল পাওয়া যেত। কিন্তু এক টাকা ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল গুটিকতক মানুষের।

আমরা এমন প্রজন্ম যাদের বেড়ে ওঠা ৯০ এর পর। এই ৯০ পরবর্তী সরকারগুলোকে আমরা দেখেছি খুব ভালোভাবে। ঘুরে ফিরে ভিন্ন লেবেলে একই পদার্থ। আবার সেই অতীতমূখীতা। পারিবারিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আয়োজন। সামনে কি হবে, কি চাই সেটা নিয়ে চিন্তা নেই। বরং অতীতে নিজ দল কি করে গেছে কার কি স্বপ্ন ছিল তাই নিয়ে প্রচার প্রচারণা। দুইদলই পূরণ করার চেষ্টা করে তার প্রয়াত বা বর্তমান দল প্রধানের দেখা স্বপ্ন। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমি দেখিনা কেউ আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য নেতৃত্ব দেন। বরং অন্যের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য চাওয়া হয় আমার কাছে!

যুদ্ধ বিধ্বস্থ একটা দেশ শৈশবেই চলে গেল স্বৈরাচারের কবলে। এর পর এক যুগের বেশি সময় পরে স্বৈরাচার সরিয়ে যে ব্যবস্থা এলো, পর্যায়ক্রমে শুধু রুপকথার বুলি আওড়িয়েই গেল এবং যাচ্ছে তারা। কোথাও কোন মৌলিক পরিবর্তন নেই, কোথাও কোন মৌলিক উন্নয়ন নেই। এরই মাঝখানে ধ্বংস হয়ে গেছে আমাদের অনেক কিছু। এদেশে কোন প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায়নি। বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিনষ্ট হয়েছে। ৯০ এ গণতন্ত্র এসেছে বটে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুস্থ্ রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ হয়েছে সেই ৯০ থেকেই এই গণতান্ত্রিক দেশে! তরুন প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে রাজনীতিবিমুখ হয়ে। ফলে দেশের প্রতি এরা ততটা দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেনি যতটা হয়েছে কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রসারের প্রতি।

৪৫ বছরে এদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়নি। বরং যেসব নামকরা মেডিকেল কলেজ, বড় হাসপাতাল ছিল সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। পিজি হাসপাতাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম বসেছে হাসপাতালের নামের ডগায়। উচ্চমানের দরদী ডাক্তারও আছেন । অথচ হাসপাতালে সেবা নেই। আপনার বা পরিবারের কারো কিডনি জটিলতা? ভর্তি হবেন এই হাসপাতালের আইসিইউতে? প্রতিদিন সেই রোগীকে টেনে নিতে হবে ধানমন্ডির কোন নিন্মমানের ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস করার জন্য। কারণ এখানে ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট! কিছুদিন আগে কিছু শারিরীক জটিলতার জন্য ডাক্তার দেখানো দরকার পড়লো। এক বন্ধু বড় ভাই যিনি বছর দশেক আগে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। উৎসাহ দিয়ে নিয়ে গেলেন সেই হাসপাতালে। তারপর ১০ বছরে তার পুরনো কর্মস্থলের অধঃপতন দেখে তিনি নিজেই লজ্জিত। এইভাবেই আমরা কেবলই খারাপের দিকে হাঁটি, আর অতীতের গল্প শুনাই। একের পর এক পিজি হাসপাতাল বা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। আমাদের কিছু বলার থাকে না, করার থাকেনা। কারণ যারা করতে পারেন তাদের জন্য বামরুনগ্রাড, মাউন্ট এলিজাবেথ বা ইউরোপ আমেরিকার হাসপাতালগুলো প্রতি বছর আরো উন্নত হয়। সেবার দরজা খুলে বসে থাকে এই সব বিদেশি হাসপাতাল। দেশে যেহেতু অব্যবস্থাপনা, অরাজকতা সর্বত্র সুতরাং ভূঁইফোঁড় ধনীক শ্রেণী গজিয়ে ওঠে । এক পরিবারের জীবন ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায় ৫ থেকে ১০ বছরে। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ! সেই সব মানুষজনও দৌড়ায় এখানে ওখানে, চিকিৎসার জন্য। একশ্রেণীর চাকরীজীবি, স্বল্প আয়ের মানুষরা দেশী হাসপাতালগুলোতে ভুল ভাল চিকিৎসা আর অপব্যয় করতে করতে একসময় সন্ধান পায় এরচেয়ে কম পয়সায় ওমুক দেশে ভালো সেবা পাওয়া যায়। সুতরাং তারাও ধারদেনা করে হলেও জীবন বাঁচাতে দৌড়ান। সুন্দর সমাধান! সুতরাং এই দেশে আর চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের কি দরকার! তাই হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে কাতরায় ১৬ কোটি মতান্তরে ১৮ কোটি মানুষের বড় অংশ।

গত ৪৫ বছর ধরে খুব ঠান্ডা মাথায় একটি জাতির সবচেয়ে প্রয়োজনের জায়গাটি নষ্ট করা হয়েছে বাংলাদেশে। স্বীকার করুন বা নাই করুন, জানতে হবে যে এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নাই। বিশ্বাস না হলে আশপাশের মুরুব্বিদের সাথে কথা বলে দেখেন। কথায় কথায় তারাও বলবেন ব্রিটিশ আমলের মেট্রিক পাশ মানেও বিশাল ব্যাপার। এরপর এদেশের গত কয়েক বছরে রিটায়ারমেন্টে যাওয়া প্রজন্ম। ৭২ এর আগে যারা এসএসসি পাশ করেছিল তাদের মান আর পরবর্তী প্রজন্মের মানে তফাৎ আছে। এই প্রজন্ম আরো বেশি সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত আরো আধুনিক বিশ্বের মানুষ। অথচ এদেশের সদা পরিবর্তনশীল কারিকুলাম তাদের জন্য শিক্ষার একটা একক মান তৈরি করে দিতে পারেনি। এদেশে মনে হয় সবচেয়ে দ্রুত বদলায় শিক্ষা কারিকুলাম। এবছর এক নিয়মতো পরের বছর আরেক নিয়ম। এবছর এক বই তো পরের বছর আরেক বই। এবছর পাশের এই নিয়ম আরেক বছর আরেক নিয়ম। আরো আছে শিক্ষার বহুমুখীতা। একই দেশে একই বয়সী শিশুরা পারিবারিক সামর্থ্য অনুযায়ী নানাভাবে বিভক্ত। কেউ বাংলা মাধ্যম, কেউ ইংরেজি। বাংলা মাধ্যমের আবার ইংরেজি ভার্সন। ইংলিশ মিডিয়ামের আবার দুই ধরণ। আছে আলিয়া মাদ্রাসা। ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো রেখে দেয়া কওমী মাদ্রাসা। কারিগরি শিক্ষা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে এনজিওদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। এক শিক্ষার এত রুপ! পরিনামে কি হচ্ছে? হয়তো সামাজিক গবেষকরা চাইলে এর নানা প্রভাব বের করতে পারবেন। কিন্তু মোটা দাগে যেটা বলা যায়, একটা দেশে এক সঙ্গে অনেকগুলো ধারা তৈরি হচ্ছে এবং হয়েছে। যারা চিন্তা ভাবনায় আলাদা। জীবনযাপনে আলাদা। এবং এই বহুধারার আর কোনভাবেই একটি মূলধারায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। অতীতপ্রেমী আমরা ধরেই নিই, ১৯৭১ এ আমাদের যেই সামাজিক একতা ছিল। সব শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন একত্র হয়ে যুদ্ধ করতে পেরেছিল। এখনও আমরা একই আছি। সেই একতা চাইলেই সম্ভব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, না আমরা এখন চিন্তা ভাবনায় এতটাই পরস্পরবিচ্ছিন্ন যে আমাদের আর কোনদিন একত্রিত হওয়া সম্ভব না। এবং খুব কৌশলে গত ৪৫ বছর যাবত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

হতাশার আরো জায়গা আছে। মানুষ হিসেবে মানুষের বিবেকবোধ, মনুষ্যত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ কমে যাওয়াটা প্রবল হতাশার। এদেশের নিন্মশ্রেণীর দোষারোপের রাজনীতি, আইনের শাসনের অভাব আর মগজের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়া দূর্নীতি মানুষের মান নামিয়ে দিয়েছে নিন্মস্তরে। মানুষ ভুলে গেছে ন্যায় অন্যায়ের তফাৎটা। কম বেশি সব খাবারে ভেজাল। বিন্দু মাত্র দ্বিধা ছাড়া মানুষ খাবারে বিষ মেশায়। প্যাকেটের গায়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণের লেভেল পাল্টে ফেলে। কাঁচাবাজার থেকে ওষুধ কোনটাতেই কোন ভরসা নেই! নামকরা রেস্টুরেন্ট, দামী দামী খাবার অথচ খাবারের আড়ালে বিষের বানিজ্য। মানের প্রসঙ্গের পরে আসি দামের প্রসঙ্গে। খুব জানতে ইচ্ছে করে এদেশে পণ্যের দাম নির্ধারন হয় কিসের ভিত্তিতে। একই জিনিসের জায়গাভেদে বহুরকম দাম। সেই দাম আবার প্রতি মূহুর্তে পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে কিছু জিনিসের দাম বছরের পর বছর একই রকম। যতই উৎপাদনে পরিবর্তন আসুক, দেশের মুদ্রা শক্ত হোক বা দুর্বল হয়ে যাক, কিছু মৌলিক পণ্যের দাম একই থাকে। এজন্য যখনই যান না কেন ব্রিটেনে একবেলা খাবার খেতে পারবেন সাড়ে চার থেকে ছয় পাউন্ডের মধ্যে। আমেরিকাতে ৬ থেকে ৮ ডলারের মধ্যে। ইউরোপে ৬ থেকে ৮ ইউরো। জাপানে দেড়শো থেকে দুইশ ইয়েন। মালয়েশিয়ায় কমবেশি ১২ রিঙ্গিত । আর বাংলাদেশে? এক কথায় বলা মুশকিল!



বাস ভাড়া ট্রেন ভাড়ার কথায় আসি। ২০০৩ সালে প্রথম টোকিওর মেট্রো রেলে দেখেছিলাম সর্বনিন্ম ভাড়া ৬৫ ইয়েন। তের বছর পর ২০১৬ সালে সেই ভাড়া কত? এখনও সেই ৬৫ ইয়েন। এবার মিলিয়ে দেখেনতো ২০০৩ আর ২০১৬ সালে আসাদগেট থেকে ফার্মগেটের ভাড়ার মধ্যে তফাৎ কত? প্রায় ২০/২৫ বছর জাপানে থাকেন এমন প্রবাসীদের কাছে গল্প শুনেছি, গত বিশ পঁচিশ বছরে সেখানে ডিমের দাম বাড়েনি, দুধের দাম বাড়েনি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে প্রায় সব উন্নত দেশেই প্রায় এরকম, মৌলিক খাদ্যদ্রবের দাম নাগালের বাইরে বাড়ে না। আর আমাদের দেশে ব্যবসায়ের লাভের সূত্রই হলো দাম বাড়ানো কথায় কথায়। অথচ ১৯৭১ এ আমাদের পূর্ব প্রজন্ম স্বপ্ন দেখেছিল দেশজুড়ে হবে যৌথ খামার!

উন্নয়নের ভ্রান্ত ইন্ডিকেটর যদি হয় রাস্তার যানজট। তাইলে নিশ্চয় বেশি দামে নিন্মমানের পন্য কেনার অভ্যাস বেড়ে যাওয়াটাও উন্নয়নেরই লক্ষণ! যে পোশাক কলকাতার ট্রেজার আইল্যান্ডে দুই হাজার বা বাইশশো রুপিতে পাওয়া যায়। সেই একই জামা এদেশের বিপনীবিতানে বিক্রি হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা দামে। ইচ্ছামতো দাম হাঁকানোর এই স্বাধীনতা মানুষ কোথায় পায়? তারচেয়েও বড় কথা বিনাবাক্য ব্যয়ে ভীড় করে এইসব পোশাক কেনার মতো সামর্থ্যবান মানুষ রাতারাতি কিভাবে তৈরি হয় এদেশে যেখানে রাষ্ট্রপতির বেতন মাত্র ১২০০০০ টাকা অর্থাৎ এই বেতনে সেইরকম জামা মাত্র ৬টা কেনা যায়। অথচ যেই দোকানের কথা বলছি সেই দোকানের পার্কিংয়ে থাকা বেশিরভাগ গাড়িতে সরকারী লোগো লাগানো। তার মানে তিনি যেই হোন, রাষ্ট্রপতির চেয়ে কম বেতন পান, নিশ্চয়ই। তাইলে বিশহাজার টাকার এত এত জামা কিনেন কিভাবে?

দেশের বয়স বাড়ছে দেখতে দেখতে । আমার বয়সও থেমে নেই। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম বড় হবো। এখন ভাবি আর কত বড় হলে অন্যের সাহায্য ছাড়া সকাল বিকাল অফিস যাতায়াত করতে পারবো নিশ্চিন্তে। একবিংশ শতাব্দির একটা শহর আমার প্রিয় ঢাকা। যে শহরে মানুষের জন্য মানসম্মত নিরাপদ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। কোনকারণে বিকাল বেলা ঘরে ফেরার পারিবারিক নিশ্চিত ব্যবস্থাটা না থাকলে চিন্তায় পড়ে যাই। অস্থির হয়ে যাই। মনে হয় পৃথিবীর ভয়াবহতম ভ্রমণটা আমাকে করতে হবে আজ বিকালে। অথচ এই আমিই যখন অন্য দেশে যাই। কতটা নিশ্চিন্তে একা একা পথ পাড়ি দেই। অফিসের কাজের ফাঁকে বা উইকেন্ডে ঘুরতে বেরোই। কোন ভয় নেই, দুশ্চিন্তা নেই। কারণ আর কিছু না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। ধনী গরীব সবার জন্য সমান নিরাপদ ব্যবস্থা। একসময় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখন আর দূরাশাও করি না যে, আমার জীবদ্দশায় এরকম ব্যবস্থা এদেশে দেখে যেতে পারবো। অর্থের অভাবে আমরা পারি না। একথাটা আমি আর বিশ্বাস করতে চাইনা। কারণ প্রতিবছর দেখি অকারণে অর্থ ব্যয়ের উৎসব। ঢাকা হয়তো পৃথিবীর একমাত্র শহর যে শহরে প্রতিবছর ফুটপাতের টাইলস চেঞ্জ করা হয়। খুব বেশি দেখেছি বলবোনা, তবে যতটুকু দেখেছি মনে পড়ে, কোলকাতা, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দিল্লী, রোম, প্যারিস, লন্ডন বা নিউইয়র্ক কোথাও দেখে মনে হয়নি নতুন টাইলস বসেছে রাস্তায়। বরং পাথর বসানো ফুটপাত দীর্ঘদিনে মানুষের পায়ের ঘষাতে আরো মসৃন হয়েছে, চকচকে হয়েছে। এইসব কোন শহর বিত্তের দিক থেকে ঢাকার চেয়ে কম নয়। কিন্তু অপচয় করেনা।

সর্বত্র এই রকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখতে দেখতে নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে আসলে কোথাও কি কেউ আছে আমাদের অভিভাবক? তানাহলে এতটা গা ভাসিয়ে একটা দেশ চলে কিভাবে। এদেশের জন্ম হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনিচ্ছায়। আর কেনা জানে, ওই দেশটির বৈদেশিক নীতি শত বছরেও একই থাকে। ৭১ এর রাগ ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে ৭৪ এ, ৭৫এ। এরপর থেকে দৃশ্যমানভাবে মোটাদাগে নয়, কিন্তু অদৃশ্য কলকাঠি নড়েই যাচ্ছে, নড়েই যাচ্ছে। আর আমরাও এতদিনে একটা শক্তপোক্ত বৈদেশিক নীতি প্রণয়ণে ব্যর্থ, মৌলিক মানব উন্নয়নে ব্যর্থ একটি রাষ্ট জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষুদ্র স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে দিতে সেই কলকাঠি নাড়াতে সাহায্য করেই গিয়েছি। এখন পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। জানিনা, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা আমার প্রিয় বাংলাদেশ। হায় বাংলাদেশ। এরপরও আমরা অপেক্ষায় আছি, ঘুরে দাঁড়ানোর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×