
১। মুজিব নির্বাচন জিতে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছিল।
১। বৈষম্য বিরোধীরা কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছিল।
২। মুজিব আত্মসমর্পণ করেছিল, মুজিবের নেতাকর্মীরা ইন্ডিয়া পালিয়ে গেছিল।
২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোটাবিরোধী সমন্বয়করা ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খালি করা হয়েছিল।
৩। ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা বিদ্রোহ করে এবং সাধারণ জনগণ তাদের সাথে যুদ্ধে যোগ দেয়।
৩। মুখ্য সমন্বয়করা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও রাজনৈতিক দল গুলো, মাদ্রাসার ছাত্র, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ শ্রমিক টোকাই রা আন্দোলনের মাঠ ত্যাগ করে নাই।
৪। যুদ্ধের ময়দান থেকে জনগণকে ফেলে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব প্রবাসী সরকার গঠন করে।
৪। রাজনৈতিক দল গুলোর চাপে সমন্বয়করা নয় দফা এবং পরবর্তীতে এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
৫। যুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ লড়াইয়ে নেতৃত্ব না দিলেও ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও সাধারণ জনগণের লড়াইয়ের ফলে বিজয় অর্জিত হয়।
৫। সমন্বয়কদের ঘাটি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আঁতুরঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় থাকলেও সারাদেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ শ্রমিক টোকাই রিক্সাওয়ালা দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
৬। যুদ্ধের নয় মাস আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা নিষ্ক্রিয় এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ইন্ডিয়া পালিয়ে থাকলেও মার্চ মাসে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আন্দোলন করা আওয়ামী লীগ একাত্তরের যুদ্ধ জয় কে নিজেদের একক কৃতিত্ব বলে দাবি করে।
৬। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় থাকলেও কোটা বাতিল করে স্বৈরাচারী সরকার এর অধীনে "সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করা সমন্বয়করা" নিজেদেরকে ২৪ এর একক বিজয়ী মনে করে।
৭। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে অন্যদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিত না, নিজেদের একক কৃতিত্ব মনে করত।
৭। বৈষম্য বিরোধী সমন্বয়করা আন্দোলনে রাজনৈতিক দল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র, মাদ্রাসার ছাত্র, শ্রমিক পেশাজীবী সাধারণ জনগণের কৃতিত্ব আড়াল করে নিজেরা একক ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে, উপদেষ্টা হয়েছে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
৮। আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করলে মুজিব হতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
৮। সমন্বয়কদের দাবি অনুযায়ী কোটা বাতিল করলে সমন্বয়করা হত হাসিনার অধীনে সরকারি চাকরিজীবী।
৯। বাঙালির অধিকারের জন্য আন্দোলন করা আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীনের পর লুটপাট করে দেশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলে।
৯। কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করা সমন্বয়করা স্বৈরাচার পতনের পর দুর্নীতি লুটপাট মামলা বাণিজ্য নিয়োগ-বাণিজ্য সন্ত্রাসী গ্যাং পালন সহ বিভিন্ন কুকর্মে জড়িয়ে পড়েছে।
১০। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যেত না কারণ তারা একাত্তরের আন্দোলনের নেতা। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করা মানে স্বাধীনতার বিরোধিতা করা।
১০। নতুন রাজনীতির আশাবাদ জাগিয়ে রাজনীতি করা ছাত্র নেতাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বললে বলা যায় না, কারণ তারা ২৪ এর আন্দোলনের নেতা, ছাত্র নেতাদের বিরোধিতা করা মানে ২৪ এর বিরোধিতা করা, স্বৈরাচারের সহযোগী হওয়া।
১১। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করতো,
১১। ছাত্র নেতারা ২৪ এর চেতনা বিক্রি করে খায়।
১২। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগের লুটপাট দেখে মনে হয়েছে লুটপাটের জন্যই আওয়ামী লীগ একাত্তরের আন্দোলন করেছিল,
১২। সমন্বয়কদের লুটপাট দুর্নীতি দেখে মনে হচ্ছে কোটা বাতিল নয়, দুর্নীতি লুটপাট করার জন্যই আন্দোলন করেছিল।
হাসিনা শুরুতেই কোটা বাতিল করলে তারা হাসিনা প্রশাসনের সরকারি চাকরিজীবী হয়ে দুর্নীতি লুটপাট ই করত।
( * কায়সার আহমেদ ভাইয়ের ফেসবুক পোস্ট থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


