মহান রাব্বুল আলামীন বলেন,
নিশ্চয়-ই আমি তোমাদেরকে দুনিয়া সম্পর্কে ভয় দেখিয়েছি কারণ এটা মধূর ও মনোরম, লোভ-লালসায় ভরপুর । এটা মিথ্যা আশায় আলংকৃত এবং প্রবন্চনা ও ছলনায় সজ্জিত । এর আনন্দ উপভোগ স্হায়ী নয় এবং যন্ত্রণাও এড়ানো যায় না ।
যে ব্যাক্তি দুনিয়া থেকে আনন্দ উপভোগ করে একদিন তার চোখে আশ্রু আসবে এবং যে ব্যাক্তি দুনিয়া থেকে আরাম-আয়েস লাভ করে একদিন তার জীবনে অভাব-অনটন ও দুর্যোগ নেমে আসবে । এ দুনিয়ার স্বভাব এমন-ই যে সকাল বেলায় যাকে সমর্থন করে বিকেল বেলায় তাকে আর চেনে না ।
দুনিয়া ছলনাময়ী এবং এতে যা কিছূ আছে সবই ছলনা মাত্র । এটা নশ্বর এবং তাতে যা কিছূ আছে সবই লয় প্রাপ্ত হবে । এর ভান্ডারে কল্যাণকর কোন রসদ নেই একমাত্র তাকওয়া ছাড়া । যে দুনিয়া থেকে স্বল্প মাত্রায় গ্রহণ করে সে অনেক কিছূ সন্চয় করে যা (পরকালে) তাকে নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং যে এটা থেকে প্রভূত পরিমাণ গ্রহণ করে সে মূলত তাই গ্রহণ করল যা তাকে ধ্বংস করে । তার সংগ্রহ সমূহ ছেড়ে সে অচিরেই প্রস্হান করবে ।
কতলোক দুনিয়ার উপর নির্ভর করেছিলো কিন্তু দুনিয়া তাদেরকে দু:খ-দুর্দশায় নিপতিত করেছিলো, কতলোক এতে শান্তি অনুভব করেছিলো ফলে তাদের অধ:পতন হয়েছিলো ।
দুনিয়ার কর্তৃত্ব পরিবর্তনশীল । এর রাজত্ব কেড়ে নেয়া হবে । তোমরা কি পূর্ববর্তীদের ঘরে বাস কর না ? তারা তোমাদের চেয়ে দীর্ঘজীবি ছিল ।
মনে রোখো, দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে তোমাদেরকে চলে যেতেই হবে । তোমরা তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর "যারা বলত আমাদের চেয়ে শক্তিশালী আর কে আছে " (কুরআন -৪১: ১৫) ।
তারা যেভাবে এ পৃথিবীতে এসেছিলো সেভাবেই খালি পায়ে ও নিরাবরণ শরীরে চলে গেছে । তারা তাদের স্হায়ী জীবন ও আবাসে শুধুমাত্র তাদের আমল নিয়ে গেছে ।
'যেভাবে আমরা প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব; (এটা এমন) এক ওয়াদা যা পূর্ণ করার দায়িত্ব আমাদের, অবশ্যই আমরা তা করবো । (কুরআন ২১:১০৪)