বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার জন্য; রেডিও টিভিতে জনস্বার্থে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
বাতি নিভিয়ে কিভাবে কাজকর্ম করবেন কিংবা ২৮ ডিগ্রী সে:এসি কেন চালানো উচিত- এই নিয়ে আবেগী আমন্ত্রণ! কেন এই আবেগময় আহ্বান???
কেননা এ দেশ আপনার আমার সেজন্যই এদেশের সম্পদ( যেমন; ফসিল ফুয়েল) ব্যবহারে আমাদের ভীষণ মিতব্যয়ী হতে হবে।
যাক অবশেষে দেশটা-তো ফিরে পেলাম! এখন বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারবা;
এই ব্যটা জানিস, সরকার কইছে,এই দেশ নাকি আমার।
-তবে এতদিন এ দেশ কার ছিল?
-এ দেশ ছিল বিশেষ কোন দলের কিংবা বিশেষ কোন নেতা নেত্রীর।
তাহাদের কথাঃ আমার বা আমাদের দল এই উন্নয়ন কিংবা হেন-তেন করেছে অথবা আমার নেতা বা নেত্রীর ভিশন-মিশন না থাকলে এইসব ছাই-পাশ কিছুই হইত না। আম জনতার এতে কোন কন্ট্রিবিউশন নাই। কেননা দেশ তো হেগো না। স্বাধীনতার জন্য দুই চাইরজন রক্ত যারা দিছে তারা হুজুগে দিছে বা দৌড়াইতে পালাইতে গিয়া মরছে!!
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ইদানীং; ধর্ম টর্ম থেকে ভয়ঙ্কর তত্ত্ব হচ্ছে জাতীয়তাবাদী তত্ত্ব ! দেশ নামক একটা মুলা ঝুলিয়ে পৃথিবীর কোটি কোটি লোককে মৃত্যু মুখে কিংবা মৃত্যু থেকে ভয়ঙ্কর উদ্বাস্তুতার পথে ঠেলে দিচ্ছে।
~গত সপ্তাহে জাতীয় গ্রিড ফেল করল। ফলাফল প্রায় সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়! কেন কি জন্য এমন হোল; একেকজনের একেক উত্তর।
তবে পত্র পত্রিকার খবরে যেটা জানলাম সেটা হচ্ছে; জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের( প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া) মুল দুটো কারণ
একটা হল 'ওভার-লোড' আরেকটা হল 'আন্ডার-লোড'!
এখানে 'ওভার-লোড' হয়নি-হয়েছে 'আন্ডার-লোড'!!! কি ভয়ঙ্কর তথ্য। (তথ্যগত বিচ্যুতি থাকতে পারে)
ওদিকে আশুলিয়ার রপ্তানীমুখী ১৬০০ ছোট বড় মাঝারি কারখানা ধুঁকছে বিদ্যুৎ সঙ্কটে! বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন। প্রতিদিন সেই অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কারখানা মালিকেরা কোটি কোটি টাকার ডিজেল পুড়িয়ে ফ্যাক্টরি সচল রাখতে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে লসের হিসাব গুনছে!!
ঢাকা শহরে রাত দিন বিদ্যুতের উৎপাতে এক বে-দিশা অবস্থা!
আগে-তো বলেছিল বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বাড়ায়, তেলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং তেল আমদানিতে বিশাল ভর্তুকি দেবার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাটছাঁট করা হচ্ছে।
তবে-তো ভাই তেলের দাম ও বাড়ালেন ফের বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম হোল তাহলে এখন কেন এ হাল???
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য ছাড়া নিচের এই আলোচনা;
*শুনলাম কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট সব বন্ধ- কেন?
~ ওরা পিডিবির কাছ থেকে তেলের টাকা অগ্রিম নিয়ে তেল কিনে তবে প্লান্ট চালায়> পিডিবির কাছে টাকা নাই। অতএব প্লান্ট সব বন্ধ!
~ সবগুলো পাওয়ার প্লান্টের নাকি ৬ মাস থেকে ১ বছরের পাওনা বাকি? পিডিবি টাকা চেয়েছে সরকারের কাছে। সরকার বলেছে; তুই ব্যাটা ক্যামনে চালাবি চালা, আমার তফিল খালি।
~বিপিসির কাছে লাভের হাজার হাজার কোটি টাকা। তারা কেন ধার দেয় না?
~ সারা দেশে প্রতিদিন কোটি কোটি লিটার ডিজেল পুড়ছে বিদ্যুৎ না থাকার জন্য। ডাবল ট্রিপল লাভ- যত লাভ তত চুরি। বিপিসির সবাই মিলে লালে লাল। সরকারের তেল দিলে টাকা বাকি- ফার্নেস ওয়েলের দাম বাড়েনি, তাই লাভ কম। এমনিতে বাকি তারপরে কম লাভ।
টাকা দিলে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে ডিজেল বিক্রি কমে যাবে।
# লাভের টাকার ভাগ সবার কাছেই কম বেশী যাচ্ছে! ওদিকে প্লান্ট সব বসিয়ে রেখে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট-এর মালিক-গন প্রতিদিন হিসাব কষে সরকারের কাছে পাওনা কত হইল!!
~ আর আমরা আম জনতা রাইত দুইটার সময় ভয়ঙ্কর ভ্যাপসা গরমে ঘুমহীন চোখে তাল পাখার বাতাস খাইতে খাইতে মুচকি হেসে ভাবি;
~আর যাই হোক আমার দেশটা-তো ফিরে পেলাম!!!
* তথ্যগত বিচ্যুতি থাকতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৬