(পুরো লেখার কোন রেফারেন্স নাই। আঁতকা মস্তিস্কের জমানো ডাটা থেকে নেয়া – তথ্যগত ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কিন্তু মুল ম্যাসেজ পরিষ্কার।)
-দোস্ত ‘মুহিত রায়হানের’ লেখা পড়েছিস? হুমায়ুন আহমেদের পরে এত জনপ্রিয় লেখক আর আসেনি- এই লেখকও পাঠকের পালস্ ধরতে পেরেছে। যা লেখে তাই হিট।
-আরে রাখ ব্যাটা পড়ছি। আবজাব লেখা-আর পাঠকও শালার গরু ছাগল, ঘাস ,কাঠাল পাতা পাইলেই চিবায়।
-যাই কস না ক্যান দোস্ত তাঁর ‘একলব্য’ উপন্যাস কিন্তু দুর্দান্ত! কি গল্পের গাঁথুনি আর ধারালো স্যাটায়ার। এমন ফিকশান এ যুগে বিরল।
তা ঠিক 'একলব্য' উপন্যাস ভাল লিখছে কিন্তু ব্যাটার চরিত্রতো খারাপ!
-তুই ক্যামনে জানলি?
-আমার এক বন্ধু উত্তরা ক্লাবে দেখছে 'মাল খায়া কচি কচি ছেমড়িগো সাথে ঢলাঢলি করতেছে'!!!
***
-পৃথিবীর অন্যতম সেরা সাহিত্যিকের অন্যতম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কোন সন্দেহ আছে?
-তা ঠিক কিন্তু ব্যাটায়তো বৌদির সাথে পিরিত করত। ছিঃ কতবড় লুচ্চা দেখছিস। শোনা যায় বৌদিরে নাকি প্রেগ্নেন্ট করে ফেলছিল। এই শরমে নাকি বৌদি সুইসাইড করছিল। এর জন্যই উনার বাপে ব্যাপারটা ধামা চাপা দেয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছিল। লাশ পোস্ট মর্টেম করতে দেয় নাই। সুইসাইড নোট ও নাকি পোড়ায় ফেলছিল। এইটাতো শুরু সারা জিন্দেগীতে কয় হাজার প্রেম করছে আল্লা মালুম!
-তাহলে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল… আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ও বলল, মামা হের কথা আর কইস না- সে তো সিফিলিস বাধায় ফেলছে। সেই সিফ্লিস মাথায় এট্যাক করছিল। খুব বাজে টাইপের সিফিলিস ছিল।
-তোরে তো হুমায়ুন আহমেদরেও পছন্দ হয় না।
-হবে ক্যাম্নে দেখ না এত বিখ্যাত একজন লেখক সম্মানিত ব্যাক্তি সে কিনা বুইড়া বয়সে মাইয়ার বয়সী একটা পিচ্চিরে বিয়া করল। তুই একটা কাম করলি? তোর পুলাপান তো আছেই- যারা তোরে ভক্ত তারাই লজ্জায় মুখ দেখাইতে পারে না। আর ওই গুলতেকিনরে নিয়া কত পিরিতের কথা লিখলি আগে। সব তো ফুটুস!! সবাই বুঝল তুমি মামু ভণ্ড!
**
-শরত বাবুতো মাগীপাড়ায় থাকত দিন রাইত।
আমি মরিয়া হয়ে বললাম; গুণী লেখক একটু শ্রদ্ধা-ভক্তি কইরা কথা ক' মাগী পাড়া এইটা কেমন কথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর?
-হুম্ম ভাতিজা তুমি এখনো বাচ্চা আছ। সতিদাহ প্রথার বিরোধিতা, বিধবা বিয়া নিয়ে খুব ডায়লগবাজি করছে কিন্তু নিজের পুলার বউ ঘরের মধ্যে কিভাবে অত্যাচারিত হইত তাঁর খবর রাখ। বউ এর ভয়ে তিনি মুখে কুলুপ আঁটছিলেন।
-সুনীল শির্ষেন্দু সমরেশ।
সুনীলতো তাঁর বইতেই সব লিখে গেছে রাখ ঢাক কিচ্ছু করে নাই। এমনকি এমেরিকান কবি গিলসবার্গের সাথে নাকি সমকামও করছে। শির্ষেন্দু সমরেশের কিছু বইতো চটিও ফেল। মানুষ নিজে লুচ্চা না হইলে লুচ্চামীর গল্প লিখতে পারে না।
তুই দেখ দোস্ত, তসলিমার এক্স জামাই কি নাম যেন তাঁর?
রুদ্র…
ও রুদ্র মোহাম্মদ শহিদ্দুল্লাহ ওই ব্যাটা মরল সিফিলিসে। হাসান হাফিজ হাফ লেডিস, স্বাধীনতাত্তোর শামসুর রহমান থেকে শুরু করে নির্মলেন্দু গুন পর্যন্ত একটারে দেখা ছ্যাচারামি লুচ্চামি করে নাই?
-মাইকেলও কি লুচ্চা আছিল?
লুচ্চা না থাক মাতাল ছিল তো। মদ খাইতে খাইতে লিভার পচায় ফেলছিল।
-কিন্তু দোস্ত, এক পাঠকে লিখছিল মুজতবা আলী্রে, শিল্প সাহিত্য করলে নাকি একটু আধটু পান করতে হয়। এই জন্যই মাইকেলের মত বড় বড় সাহিত্যিক মদ পান করতে।
আলী সাহেব বলেছিলেন, আগে তাঁর মত একটা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ লিখুন তাঁর পরে মদ খেয়ে লিভার পচিয়ে ফেলুন সমস্যা নেই।
-হাঃ হাঃ মুজতবা আলীর কোটেশান ঝাড়লি।
সে নাকি লুচ্চার গুরুকুল। শবনম বাদে তার নারী নিয়ে আর কোন আলোচনা নাই- কিন্তু শুনছি নাকি তাঁর হাজার হাজার সুন্দরী ফ্যান ছিল। তাঁর কতগুলার সাথে কেচ্ছা কাহিনী করছে কে জানে- এই ব্যাপারে জিগাইলে অন্য লেখকেরা মুখ টিপে হাসত। আর বিদেশে গিয়ে কি করছে তাঁর হদিস কেউ জানে না। ওদিকে জীবনটাই তো বরবাদ করল মদ খাইয়া। এমন পণ্ডিত একজন মানুষ কত তাঁর জানাশুনা উল্টাপালা জিনিস খাইয়া অকালে জীবনটা শেষ করে দিল- আর বঞ্চিত হইল বাংলা সাহিত্য আর পাঠক।
-তিনি মাইকেল মদ না খাইলে কি এতদিন বেঁচে থাকত বলে তোর মনে হয়?
-আমারে কি তোর ভুদাই মনে হয়? আর দশ বিশ বছরতো বাঁচত।
-সুকান্ত কি আকাম কুকাম করত- সে তো পচিশের আগেই অক্কা পেল?
-তাঁর তো যক্ষা হইছিল। অসুখ বিসুখতো ঈশ্বরের হাতে। তাছাড়া নকশাল কম্যুনিস্ট পুলাপান গাঞ্জা বিড়ি মুড়ির মত খাইত।
-তা বেশ তবে মাইকেল, মুজতবা এরাতো দশ বিশ বছর আগে অসুখে মারা যাইতে পারত? ধর যে সুকুমার রায়ের কথা- তারও তো অমিত সম্ভাবনা ছিল- শুধু বাংলা নয় বিশ্ব সাহিত্যে এমন প্রতিভা বিরল- সেও তো কোন আকাম কুকাম না করে নাই, তাঁরপরেও অল্প বয়সে মারা গেলেন- দোষ কার?
-তুমি দোস্তো এখনো দুধের শিশু। জমিদারের পুলা তারপরে শিক্ষিত সুদর্শন, বাপ দাদা সব বিখ্যাত মানুষ এর কোন চিপা চাপা দিয়া কোন কাম করে খবর পাইবা? ওর ছেলে সত্যজিতের দেখ না বুড়া বয়সে ফরেনার একটার সাথে কি দহরম মহরম ছিল।
-শেলি, কিটস এরা?
-অফ যা, বিদেশী রাইটারদের কথা আর বলিস না। ওদের জন্ম থেকেই লুচ্চামি চলে। ওরা অল্প বয়সে বেশী পেয়ে পরে হোমো হয়ে যায়।
-বুঝলাম দোস্ত, সব লেখক সাহিত্যিক লুচ্চা মাতাল গাঞ্জাখোর। কিন্তু তুমিতো একদম সৎ পুরুষ তুমি এই বয়স পর্যন্ত কি বাল ছিড়লা?
-হাঃ আমার প্রতিভা দোস্ত অন্য লেভেলের। এইসব আলগা ইমোশোনের কবিতা সাহিত্য আমারে দিয়া হয় না।
-ঠিক আছে, একজন কবি বা সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম কি দিয়া বিচার করবি, তাঁর লেখা নাকি চরিত্র দিয়া?
-দুইটাই লাগে। কবি সাহিত্যিকেরা লুচ্চামি করলে তাদের ভক্তরা কি ম্যাসেজ পাবে? লুচ্চাদের ভক্তকুল লুচ্চাই হবে। সমাজ রসাতলে যাবে।
-তাঁর মানে কি যারা রবি ঠাকুরের পছন্দ করে সবাই ভাবীর সাথে প্রেম করে? যদি হয়ও –রবি ঠাকুর কি ইতিহাসের প্রথম মানুষ যে, বৌদির সাথে প্রেম করছিল? আর তুই ক্যামনে জানলি যে, তাঁর বৌদি এ কারনে আত্মহত্যা করছিল।
-আরে কি কস এমনিতেই বিখ্যাত পরিবার তাঁর উপরে জমিদার অন্দরের খবর এমনিতেই বাতাসে ভাইস্যা বেড়ায়?
-ভারত উপমহাদেশে উনবিংশ শতাব্দীতে ওই বয়েসী কত গৃহিনী আত্মহত্যা করেছে তোর কাছে ডাটা আছে?
-সেইটা ক্যামনে থাকে- পাগলের মত কথা কস ক্যান?
-রবীন্দ্রনাথ তো তখন বিখ্যাত হয় নাই- তাঁর এত হাড়ির খবর লোক পাইল ক্যামনে?
***
-কবি সাহিত্যিকেরা কেন বিখ্যাত হয় বল দেখি?
-ভাল লেখা পাঠক প্রিয়তা পায়।
-ভাল লেখা বলতে কি বুঝিস তুই? ঠিক আছে তোর ভাল লেভেলের ক্যাটাগরি বুজছি, যার নাম জানস মাগার পার্সোনাল লাইফ সন্মন্ধে কিস্যু জানস না! বদরুদ্দিন উমরের একটা বই এর নাম বল দেখি?
-উম্মম- এই শালা মনে আসতেছে মুখে আসতেছে না। কি নাম যেন- দাড়া দাড়া, ধ্যাত শালা ব্রেনডা গ্যাছে!!
-এত ভাল লেখকের একটা বই এর নাম মনে করতে পারছিস না?
-তিনি ভাল লেখক সেটাতে সন্দেহ নাই কিন্তু মহা আঁতেল।
-আঁতেল সেইটাও একটা চারিত্রিক বদগুণ!!!! আজব এই দুনিয়া ...