somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন বিখ্যাত ব্লগারের ব্যক্তিগত ক্যাচাল থেকে ভারচুয়াল পৌত্তলিকতার উদ্দিশ: মুক্ত গণ-মাধ্যম বনাম ভারচুয়ায়াল মাধ্যম বিতর্ক

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখাটি একজন ব্লগারের এই মুক্ত গণ-মাধ্যম-ভাবনার নতুন প্লাটফর্ম: স্রেফ শুভেচ্ছা পোস্টটি ধরে লেখা
এইসব অনুষ্ঠান-এ হাজির থাকা না থাকার সাথে সামাজিকতার সম্পর্ক নাই। অনুষ্ঠানে যোগ দিলেই যে, সামাজিক হয়ে যাবে তা না। অসামাজিকও হতে পারে। এসব অনুষ্ঠান-এ গেলেও অসামাজিক হতে পারে। মানে, বুঝা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত ক্যাচাল মনে হচ্ছে।
কিন্তু আপনাকে তো আসলেই সামাজিকই মনে হচ্ছে। আপনি পোস্ট দিলেই তো কমেন্টের অভাব পড়ে না। কততো মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক হয়েছে। আমিও আপনার পোস্টের নিয়মিত পাঠক। যদিও আমি বলা যায় একদমই পোস্ট টোস্ট দিই না। এমনিতেই নিয়মিত ব্লগে হাজির থাকার চেষ্টা করি। জরুরি পোস্টগুলো পড়ি। ভারচুয়ালি আপনার সামাজিক সম্পর্ক অসাধারণ আর ব্যাপক মনে হচ্ছে। সামাজিক সম্পর্কের ধরন-ধারণা তো এখন পাল্টে গেছে। ডিজিটাল জামানা। তাহলে আপনি এতো ব্যক্তিগত খিস্তি মেরে নিজেকে ''অসামাজিক'' বলে ভান ভনিতা করার দরকার পড়ল কেন?

ব্লগই আপনার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস। লিখেন ভাল। কিন্তু বলছেন ''জঞ্জাল' লিখি। এতোটা ভনিতা আর ন্যাকামি করার মধ্যে ঠিক আপনার নোংরা কপটতাই তো পরিষ্কার হয়ে পড়ে। আর যদি জঞ্জালই মনে করেন- তবে আর ন্যাকামি করেন কেন?

বন্ধু আবার কিছু জিগরি বন্ধু বান্ধব
ভারি অদ্ভূত জিনিস।

''নাহ। নেট একটা লেখার জায়গা হলো? ওইটা কজন পড়ে? তার চেয়ে তোমার এই লেখা যদি প্রথম আলো-সমকাল-যুগান্তর- এমনকি নয়া-দিগন্তের মতো কোন পত্রিকায়ও ছাপা হতো তাহলে বুঝা যেত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হচ্ছে।''
আপনার এই জিগরি বন্ধু'র কথায় খুব অস্বাভাবিকতা দেখছি না। তার কথায় বেশ যুক্তি আছে। যুক্তির শক্তি আছে। বাংলাদেশের মত এত বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে কজন মানুষ নেট ব্যবহার করে? এখনো সে তুলনায় ছাপা মাধ্যমেরই বেশি ব্যবহার। এবং বেশি কদর আর বেশি প্রভাবশালী। উনাকে তো বন্ধু হিসাবে ভালই দেখছি। আপনার এই পরিচিত শ্রদ্ধেয় বন্ধু তো আপনার জানি দোস্তও মনে হচ্ছে। আপনার লেখাটা যেন আরও বহু মানুষ জন পড়েন সেই কথাই তো উনি বলছেন। আপনারই মঙ্গল চাইলেন। কল্যাণী পরামর্শ দিয়ে বললেন- পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হত। আপনি মনে হয় শুধু শুধু উনার প্রতি খেপে গেছেন। আপনারই মনে হয় কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে।

''মানুষের পৌত্তলিকতার শেষ নেই। প্রিণ্ট মিডিয়ার প্রতি এই অ-পৌত্তলিক মানুষের যে পৌত্তলিক আগ্রহ এবং আনুগত্য তাকে টলানো আপাতত আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।''

এতটাই খেপে গেলেন!!!

আপনার ''পৌত্তলিক'' ধারণা নিয়ে আমার বড় মায়া হয়। আপনি দেখি এখনো পৌত্তলিক জিনিসটাই বুঝেন না। আপনি এ জিনিস দিয়ে উনাকে গালি দিলেন, তো সে গালি তো আপনার গালেই পড়ছে। কারণ, উনার পৌত্তলিকতা খুবই সরল। উনারটা ধরা যায়। মূর্ত দৃশ্যমান জিনিসের প্রতি উনার পৌত্তলিকতা। আর আপনারটা অদৃশ্য। জটিল। ভারচুয়াল- মানে, আছে বটে, তবে দেখা যায় না। এটা কিন্তু ভাই খুবই ভয়ঙ্কর। তাতে আপনার ওই বন্ধুকে এখন খুবই সহজ একটা মানুষ মনে হইল। যেখানে উল্টা আপনিই দেখি বড় জটিল। অসহজ। কপটচারী।

আর এ যে যুক্তি দেখালেন-

''মুক্ত গণ-মাধ্যম-এর যে স্বাধীনতা তা আর কোথাও সম্ভব নয়। ব্লগ হলো মুক্ত গণ-মাধ্যম। এর মূল স্পিরিট হলো কোনরকম সম্পাদকীয় নীতির খড়গ ছাড়াই লেখালেখি করতে পারা।''

আপনার এ যুক্তির কোন ভিত্তি নাই। কারণ, পত্রিকার মতই এসব ভারচুয়াল ব্লগে যথেষ্ট হস্তক্ষেপের ব্যাপার আছে। কোথায় স্বাধীনতা। কিসের স্বাধীনতা টাধিনতার কথা বলছেন। সম্পাদকীয় যে স্পনসরশীপ আরোপ করা হয় এখানে এটাকে কোনভাবেই ''মূল স্পিরিট হলো কোনরকম সম্পাদকীয় নীতির খড়গ ছাড়া'' বলা যায় না। এখানে এত কথা বলার অবকাশ নিচ্ছি না। না হয় বহু প্রমাণ হাজির করা যাবে- যাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে, কিরকম সম্পাদকীয় নীতির খড়গ এখানে চলে।

আর সম্পাদকীয় নীতিকে আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন। এত বিমূর্ত প্রশ্ন কেন? এসব মাধ্যম থাকলে তার অথরিটি থাকবে। তার সম্পাদক থাকবে। তার সম্পাদকীয়ও থাকবে। এবং সম্পাদকীয় খড়গও থাকবে। আপনি তাদের জায়গা ব্যবহার করবেন, তাদের খড়গও নেবেন। এটাই চলবে। কি করবেন। আপনার বেলাইও তাই হবে। তাহলে এতসব তালিবালি বকার তো কোন মানে নাই।

আপনার এরকম ভারচুয়াল পৌত্তলিকতা থেকে সবার সাবধানতা কামনা করি।
আপনার বেহুদা ন্যাকামি আর অযৌক্তিক ভান-ভনিত-কপটতা থেকে সবার সতর্কতা প্রত্যাশা করি।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
১০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×