somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাহরিয়ার খান শিহাব
সাগর সীমানা ভেঙে এঁকে গেল এক কোটি প্রবাহ যা পৃথিবীকে শোনাল বৈচিত্র্যময় আবহ, সেই পৃথিবী আর তার সাগরে যেতে নদী অপরিসীম, যে মানুষের জীবনে ঢেউ নেই, সে জীবনে নদীও নেই।

বরাবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বিষয়ঃ সাধারণ কিছু কথা, অসাধারণ ফলাফল।

কিছু কথা আপণার বরাবর বলতে চাই। আমরা দিকে দিন হতাশ হচ্ছি। বিভিন্ন কারণে হচ্ছি। বিভিন্ন দিক দিয়ে হচ্ছি। আজকে যুক্তিপূর্ণ কয়েকটা কথা বলার মত সাহস হয়েছে তাই বলতে যাচ্ছি। যা আমাদের দেশের এবং জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনুকূল কিছু বয়ে আনবে বলে আশা ব্যাক্ত করছি।

আমাদের এই বাংলাদেশে সরকারী উদ্যগে কি এমন কিছু কাজ করা যায় না যা একটি বিশাল পরিবর্তন বয়ে আনবে? যেমন একটি হতে পারে সরকারী উদ্যেগে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ। অবশ্যই তা করতে হবে সৎ কিছু মানুষের দ্বারা। আমাদের দেশের নগরায়নের ধাক্কায় বিশেষ করে প্রধান প্রধান শহরগুলোতে প্রতিদিন সবুজের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এখন মাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে একটি বা দুটি গাছ লাগানো যায়। আবার এমন একটি আইন কি করা যায় যাতে শহরের বাড়ীওয়ালারা বাধ্যতামূলক ভাবে তাদের বাড়ীর ছাদে বাগান করবে। আপণি যখন ওপর দিয়ে প্লেনে করে কোথাও যাবেন বা আসবেন একটি সবুজ ঢাকা শহর দেখতে পাবেন। সবচেয়ে বড় শান্তিটা কিন্তু আপণিই পাবেন। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

সরকারী উদ্যেগে কি কিছু লাইব্রেরী করা যায়? আমাদের পাবলিক লাইব্রেরীর মত। আমাদের প্রতি বিজয় দিবস উপলক্ষে যদি একটি করেও পাবলিক লাইব্রেরীর মত লাইব্রেরী তৈরি হত ভেবে দেখেন আমাদের যুবসমাজ হাতের লাগালে কত বই পেত। ৪৩ টা পাবলিক লাইব্রেরী পেত সারা দেশ জুড়ে। ছেলেমেয়েরা নিজেরা পড়ে পড়ে কত কিছুই শিখে ফেলতে পারতো। জানার পরিমাণ কত বেড়ে যেত আমাদের। বইয়ের মত আপন জগত আর কেউ দিতে পারেনা। এক একটা প্রজন্ম থেকে কতগুলো করে প্রতিভা বের হয়ে আসতো। সবাই কিন্তু তখন আপণাকেই বাহবা দিত। বলতো এই দেশের প্রধানমন্ত্রী আপণি। বই মানুষের সবচেয়ে বড় সঙ্গী।

আর আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের এবং আমাদের পুলিশ ভাইবোনদের মাসিক বেতন বাড়ানোর জন্য কি কোন সরকারী উদ্যেগ নেয়া যায় না? বাবা মা’র পরে যেখানে প্রধান পথ প্রদর্শক হওয়ার কথা শিক্ষকদের, তারা কি তা আছেন? যদি উদ্যেগটা নিতেন আর বাস্তবায়ন হত সঠিক ভাবে তবে তারা একটি শিক্ষিত যুবসমাজ তৈরিতেই মনযোগ দিতেন। আবার মানুষের প্রকৃত বন্ধু যেখানে হওয়ার কথা পুলিশের তারাও সেটা হতে পারতেন। অভাব মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সংসারে অভাব থাকলে শিক্ষক ও পুলিশ কিভাবে তাদের দায়িত্ব নিয়ে পড়ে থাকবেন? নিজের যখন বিপদ থাকে তখন সেই মানুষ কিভাবে অন্য মানুষের বিপদের বন্ধু হবেন! একটু ভেবে দেখবেন কি সুন্দর একটা দেশ হবে তখন। সেই দেশটার প্রধানমন্ত্রী কে জানতে চাইলে সবাই কিন্তু আঙ্গুল উঠিয়েই আপণাকে দেখিয়ে দেবে।

আমি আমাদের দেশের অন্যতম মূর্খ একজন মানুষ। যা ভাল মনে হল তাই বলার চেষ্টা করলাম। জানি আদৌ কোন সম্ভাবনা নাই এই কথা গুলো আপণার কাছে পৌছানোর। কিন্তু বিশ্বাস এই একই কথা যেদিন দশজন বলবে, যেদিন একশজন বলবে, যেদিন এক হাজার মানুষ বলবে সেদিন আপণার কাছে গিয়ে পৌছাবে। আর যেদিন দশ হাজার মানুষ বলবে সেদিন এটি একটি দাবীতে পরিণত হবে। জানিনা হবে কিনা, কিন্তু আমি অনেক আশাবাদী মানুষ তাই আশা করছি যেদিন এই একই কথা এক লক্ষ মানুষ বলবে তখন এটা আমাদের মৌলিক চাহিদায় পরিণত হবে।

আমরা বরাবর আপণার কাছেই চাইবো। শুরুটা এখান থেকেই হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×