somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির৫৪
দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

ইসলাম ও মাযহাব। (আমরা কোন মাযহাবে যাব?)

১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলামে মাযহাব নিয়ে অনেক মাতামাতি। সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের বিভেদ তৈরি করে রেখেছে এই মাযহাব। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের হানাফি মাযহাবের বলে পরিচয় দেয়। কেউ কি বলতে পারে আমাদের রাসুল (সাঃ) কোন মাযহাবের ছিলেন?
চলুন, গভীরে যাওয়া যাক। মাযহাব মানে দল বা পথ। এবার বলুন, ইসলামে কয়টি পথ? সাবধান, খুব হিসেব করে উত্তর দিবেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন- হাশরের দিনে মুসলমানদের ৭৩টি দল হবে। ১টি বাদে সবকটি দল যাবে জাহান্নামে। সেই ১টি দল কোনটা? যে দলে রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীরা ছিলেন।
খোলাফায়ে রাশেদিনের বহুদিন পর দুনিয়াতে চারজন খুব বড় আলেমের আগমন ঘটে। তাঁরা হলেন-
১। ইমাম আবু হানিফা
২। ইমাম মালেক
৩। ইমাম শাফী
৪। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল

উনারা প্রত্যেকে ছিলেন অত্যন্ত উঁচুমানের আলেম। তাদের নামেই চার মাযহাব প্রচলিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁদের জীবদ্দশায় কিন্তু কোন মাযহাব চালু হয়নি। হয়েছে তাঁদের মৃত্যুর পর। তাঁদের কিছু পথভ্রষ্ট সাগরেদ এই চার মাযহাবের প্রণেতা। চার ইমাম জীবিত অবস্থায় রাসুল (সাঃ) এর পথ ব্যাতীত অন্য কিছুই অনুসরণ করেননি। তাঁদের সবাই একটি কথা বলে গেছেন- “আমার কোন কথা যদি রাসুলের (সাঃ) সহিহ হাদিসের বিরোধীতা করে তবে তা দেয়ালে ছুঁড়ে মের।“ যেখানে তাঁরা নিজেরাই রাসুলের (সাঃ) সহিহ হাদিস কে কোরানের পরে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন, সেখানে আমরা কিছু বোকা মানুষ মাযহাব মাযহাব বলে গলায় রক্ত তুলে ফেলি।

৮০১ হিজরিতে কাবা শরীফের চারপাশে চার মোসাল্লা স্থাপিত হল। এরাই হল চার মাযহাব। সব দলই দাবী করে তাদের আকীদা ঠিক। আজান হয় একবার। জামাত হয় চারটা। এদের ভেতর তিন দল বুকে হাত বাঁধে আর একদল নিচে। বিরাট বিশৃঙ্খলা। (৮০১ হিজরি থেকে ১৩৪৫ হিজরি পর্যন্ত) ৫৪২ বছর কাবা গৃহে এই নিকৃষ্ট বেদাত চালু ছিল।

আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা মালেক আব্দুল আজিজ (আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন) কাবা শরীফের চার পাশের চার মাযহাবী মোসাল্লা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলেন। তারপর চার মাযহাবের আলেমগণকে ডাকালেন। বললেন, আপনারা কোরান-হাদিসের দলিল দিয়ে যদি প্রমাণ করতে পারেন ইসলামে চার মাযহাবের অনুমতি আছে তবে আমি আপনাদের পাথরের তৈরি যে চার মোসাল্লা ভেঙ্গে দিয়েছি তা সোনা দিয়ে গড়ে দিব। আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।

আল্লাহতায়ালা কোরানে বলেছেন, “তোমরা আমাকে মান্য কর, রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য কর, তোমাদের আমল বিনষ্ট করোনা।“আল্লাহপাকের নিজে নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মুসলমানের অনুসরনীয় ব্যক্তি একমাত্র রাসুল (সাঃ)। আবু হানিফা নন, মালেক নন, শাফী নন, হাম্বল নন। এমনকি ওমর (রাঃ) ও নন। (যার সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন-“আমার পরে যদি কেউ নবী হত তবে সে হত ওমর।“)।

এর পরেও যদি কেউ নিজেকে মাযহাবী বলে পরিচয় দেয় তবে আমার কিছু বলার নেই। হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী, আমি চেষ্টা করেছি, বাকীটা তোমার হাতে। হেদায়েতের মালিক একমাত্র তুমি। সবাইকে তুমি বোঝার তৌফিক দান কর। আমীন।

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
১৩টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×