somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির৫৪
দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

কোরান ও বিজ্ঞান।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের পৃথিবী আর ১০০ বছর আগের পৃথিবীর ভেতর আকাশ-পাতাল ফারাক। এর পেছনে মুল কারন হল নিত্য নতুন আবিষ্কার। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আজকের যেসব আবিষ্কার আমরা দেখছি তার প্রায় সবগুলোর উৎস হল কোরান। চলুন কিছু উদাহরন দেয়া যাক।

১। জগত সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে বলা হয়, “কোটি কোটি বছর আগে বিশ্বজগত একটি অখন্ড জড় বস্তু রূপে বিদ্যমান ছিল। পরে তার কেন্দ্রে একটি মহা বিস্ফোরণ ঘটে যাকে “BIG-BANG” বলা হয়। সেই মহা বিস্ফোরণের ফলে আমাদের সৌরজগৎ, ছায়াপথ, তারকারাজি ইত্যাদি সৃষ্টি হল এবং নিজ নিজ কক্ষপথে বিনা বাধায় ঘুরতে লাগলো।

কোরানে আল্লাহপাক বলেন, “ অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী পরস্পরে মিলিত ছিল। অতঃপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম। (আম্বিয়াঃ ২১/৩০)

২। প্রানের উৎস কি? এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছে, পানি থেকেই প্রানীজগতের উদ্ভব।

আল্লাহপাক কোরানে বলেন, “ আমরা প্রাণবান সবকিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তবুও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (আম্বিয়াঃ ২১/৩০- নুরঃ ২৪/৪৫) প্রশ্ন হল, পানি সৃষ্টি করলো কে আর তাতে প্রান এনে দিল কে?

৩। উদ্ভীদের জীবন আছে, একথা বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু মাত্র সেদিন আবিষ্কার করলেন। অথচ

আল্লাহপাক কোরানে বলেছেন, “ নক্ষত্ররাজি ও উদ্ভিদরাজি আল্লাহ্‌কে সিজদা করে।“ (রহমানঃ ৫৫/৬- ইসরাঃ ১৭/৪৪- নূরঃ ২৪/৪১ ইত্যাদি)।

পশু-প্রানী, গাছপালা আল্লাহ্‌কে সিজদা করে, আমরা মানবজাতি বরই নিমকহারাম। অথচ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে আল্লাহপাকের সবচেয়ে বেশি নিয়ামত আমরা গ্রহন করে থাকি! সৃষ্টিজগতে সব সৃষ্টি কেবল আমাদের উপকারের জন্য!
হে আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন।।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×