অতঃপর
দেরাজে জমিয়ে রাখি রোজকার গোলাপ
শুকিয়ে যায়—শুকিয়েই যাক...
সংসার এঁকে এঁকে প্রহর পেরিয়ে ফেলো
কতশত অঙ্কিত অবয়বে পৃষ্ঠা ভরে যায় দিবারাত্রির—
চায়ের কাপে ঘুম ভাঙাচ্ছো
টুথব্রাশের অনাকাঙ্ক্ষিত রদবদল
অর্ধ-সমাপ্ত ব্রেকফাস্টে তাড়াহুড়ো
ফেলে যাওয়া অফিস ব্যাগ
অপেক্ষায় শঙ্কিত সারাদিন
ফিউজ কেটে যাওয়া বেডরুম বাল্ব
অবগুণ্ঠিত মধ্যরাতের ইরোটিক দৃশ্য
সু-সংবাদজনিত শরীর খারাপে সূতিকাগার...
বিধ্বস্ত আকাশ দেখি মেঘে ভিজে যায়
অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরতে গিয়ে কেঁপে উঠি
আর্তনাদ করে প্রবীণ প্রেম।
সমূহ মানবিকতায় মনুষ্যত্বের দেয়াল রাঙাই এই ভেবে—
এই আকাশটা নির্মল
এখানকার সুখগুলো স্বাধীন।
—পরাধীন সুখগুলোতে একধরনের দীর্ঘশ্বাস থাকে
কিছু করুণ বিকেল ও বিদগ্ধ মধ্যরাত থাকে।
প্রতি প্রভাতের
নাবালিকা রোদ ব্যালকনিতে মাত্র আছড়ে পরে
একটি অনুরাগী গোলাপ এসে দাঁড়ায়—
একটি প্রত্যাখানের তীব্র ইচ্ছে মুহূর্তে চুপসে যায়
পরাধীন সুখের তাড়নায়।
অতঃপর
দেরাজে জমিয়ে রাখি রোজকার গোলাপ
শুকিয়ে যায়—শুকিয়েই যাক...
সংসার এঁকেছো, সূতিকাগার এঁকেছো—থেমে যাও
জীবন্ত হওয়ার আগে, কেউ জানার আগে—মুছে দাও।