পূর্বদিকে অনেকগুলো পেজা তুলা। পশ্চিমে লাল জোছনা। শূন্য ক্যানভাসের সামনে রং-তুলি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। অনেক দিন পর, তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী-করব না-করব।
অনেকক্ষণ পর একটা 'হাতের মুঠো' এঁকে ফেললাম হঠাৎ করে। কিন্তু কেমন পেলব পেলব একটা ভাব। মুষ্ঠির দৃঢ়তা নেই, ঔদ্ধত্য নেই। তার পাশে একটা হাঁসের ছানা আঁকা হয়ে গেল একটু পর। কিছু একটার উপর বসিয়ে দিলাম হাঁসের ছানাটাকে। হাঁসের ছানাটা ডানা ঝাপটাল না। চুপ করে বসে রইল। তার পিঠের উপরই পেলব মুষ্ঠি।
তারপর লাল জোছনা হয়ে গেল একটা দিঘি। দিঘির জলে ভাসিয়ে দিলাম ছোট ছোট অনেকগুলো দ্বীপ। ওরা ভাসতে থাকল, হাসতে থাকল। দিঘির জলে স্পষ্ট সন্ধ্যা।
আহ! দিঘি...শান্ত দিঘি!...দিঘির জলে দ্বীপ ভাসানো...দিঘির জলে স্বপ্ন আঁকা!...
অনেকদিন পর জল আঁকলাম। স্বচ্ছ জল। জলের মুখে মুচকি হাসি। ক্লান্ত দিঘিটা ছড়িয়ে গেল আকাশ জুড়ে। অনেকটা উপর পর্যন্ত। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম কেবল...
তারপর একটা সময় সবুজ পাতাগুলো কালো হয়ে আসতে লাগল। আকাশ জুড়ে অনেকগুলো 'সিলহৌট'...লম্বা লম্বা...গোল গোল...দ্রুত ছুটে যাওয়া...
আরো কয়েকটা আঁকতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু মেঘগুলোও তখন ঘুমিয়ে পড়েছে...
১৪০৭০৯১৪১৪
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:১১