সবাই বলে সিনেমা নাকি বাস্তবতার সাথে মিল রেখেই বানানো হয়। আসলে তার কতটুকুই বাস্তব সম্মত!!!
সিনেমা এবং বাস্তবতা:
সিনেমা:নায়িকা ভিলেন দ্বারা আক্রান্ত, সন্ত্রম যায়-যায় অবস্থা। নায়কের আগমন,তারপর ভিলেনদের পিটিয়ে ফার্নিচার....!
বাস্তবতা: নায়িকা ভিলেন দ্বারা আক্রান্ত, সন্ত্রম যায়-যায় দশা। নায়কের আগমন,দুটি গুলি!পরের দিনের পত্রিকার পাতায় শিরোনাম-"দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে যুবক খুন"।
সিনেমা:কোন বিশেষ কারণে নায়িকার মন খারাপ। অতঃপর ঠাস করে দরজা বন্ধ করে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে বালিশ জড়িয়ে গলা ফাটিয়ে কান্না!
বাস্তবতা:বিশেষ কারণে নায়িকার মন খারাপ। অতঃপর ফেসবুকে লগইন করে ষ্ট্যাটাস: Mon khub kharap; manush keno emon kore? তারপর মিনিট ঘুরতেই ৫৭ Like ২১টা Comments!তারপর নায়িকার মুখে হাসি।
সিনেমা:নায়িকার সাথে নায়কের হালকা ধাক্কা। নায়িকার হাত থেকে পড়ে গেল বই। বই তুলতে গিয়ে চোখাচোখি.....তারপর "কী যাদু করেছ বলনা....
বাস্তবতা:নায়িকার সাথে নায়কের হালকা ধাক্কা। তারপর শুরু হলো নায়িকা ও তার বান্ধবী মহলের হাউমাউ! ইভ টিজিং ইভ টিজিং !! ইভ টিজিংয়ের অপরাধে শাস্তি। ঘরে বাপের হুংকার-ওই কুলাঙ্গার, বাইর হ আমার বাড়ি থাইকা.....!
সিনেমা: সিনেমায় বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন কারনে মাথায় লাঠির বাড়ি খায়। সেক্ষেত্রে...
১ম বাড়ির পর স্মৃতিশক্তি ফিউজ!
২য় বাড়ির পর স্মৃতিশক্তি Come back.
বাস্তবতা:বাস্তবেও আমরা বিভিন্ন কারনে মাথায় বাড়ি খেতে পারি!সে ক্ষেত্রে-
১ম বাড়ির পর এক্স-রে, ব্যান্ডেজ, সিটিস্ক্যান....
২য় বাড়ির পর কর্তব্যরত ডাক্তার কর্তৃক মৃত ঘোষনা।
সিনেমা:(শেষ দৃশ্যে) নায়ক ও ভিলেনের পার্টির মধ্যে ব্যাপক হাঙ্গামা,গোলাগুলি, নায়কের প্রতি গুলিতে ভিলেনের পার্টির পাঁচজন করে নিহত, দ্রুত পুলিশের আগমন ও অবশিষ্ট ভিলেন আটক।
sb]বাস্তবতা:নায়ক ও ভিলেন পার্টির মধ্যে ব্যাপক হাঙ্গামা। ভিলেন পার্টি সরকার বিরোধি দলে হলে পুলিশের ধীরে সুস্থে আগমন ও সব ভিলেন গ্রেপ্তার। তবে ভিলেন পার্টি সরকার দলীয় হলে পুলিশই ভিলেন আর নায়ক কপোকাত!
সিনেমা: সারা বৎসর নায়কের লাফাঙ্গামি, অতঃপর রেজাল্ট। মায়ের স্নেহভরা আর্শিবাদ,বেচেঁ থাকো বাবা। আজ যদি তোর বাবা বেঁচে থাকতেন, কতই না খুশি হতেন।
বাস্তবতা: সারা বৎসর নায়কের লাফাঙ্গামি,অতঃপর রেজাল্ট। বাসায় মায়ের হুংকার-ওরে কুলাঙ্গার,আইজ খালি তোর বাপ বাঁইচা নাই, থাকলে পিডায়া তোর ঠ্যাং ভাঙত। যা,দূর হ আমার চউক্ষের সামনে থাইকা।
সিনেমা:ধনী নায়িকার গাড়ির ধাক্কায় নায়ক গুরুতর আহত। নায়ককে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নায়িকার সেবা-শুম্রুষা,নায়কের আঘাত মোচন,দুজনার প্রেম।
বাস্তবতা:নায়িকার গাড়ি ধাক্কায় নায়ক গুরুতর আহত। বিক্ষুব্ধ জনতার গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ,পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ। ফলে ঘটনাস্থলেই নায়ক নিহত। পত্রিকার শিরোনাম-বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যু। তারপর নায়িকার নতুন মডেলের গাড়ি ক্রয়।
সিনেমা: নায়িকার বাবা গুলি খেয়ে মৃত্যুশয্যায়। নিজের মেয়ের হাত বেকার নায়কের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিলাম,বাবা। ওকে তুমি সুখে রেখো...! আ আ আ আহ।
বাস্তবতা:নায়িকার বাবা মৃত্যুশয্যায়। পাশে থাকা বেকার নায়ককে বললেন, আমার মেয়েকে তুমি নিজের বোনের মতো দেখো,বাবা। ভালো চাকরি করে এমন কোনো ছেলে পেলে বিয়ে দিয়ে দিয়ো...। আ আ আহ....।