বসেস, বলেন তো বাংলাদেশের যারা শিল্পী তাদের হালচাল কি! আমার কথা শুনে দুঃখ পেতে পারেন। হালচাল খারাপ। খুব কাছের সময়ের একটা উদাহরণ দিই বাংলাদেশের হার্ড রক টাইপের গান যারা করতো তাদের মধ্যে ওয়্যারফেইজ একটা। তারই লিড গিটারিস্ট কাম ভোকাল কি করলো! ব্যন্ড ছেড়ে দিলো, তারপর শুরু করলো প্রেমের গান গাওয়া। যারা মেটাল শুনেন তারা খুব দুঃখ পেলেন কিন্তু একটা জিনিস কি ভেবে দেখেছেন, কেন তারা ব্যন্ড ছেড়ে যায়?
আইয়ুব বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যন্ড সাম্রাজ্যের একজন পথিকৃত। তারমতো একজন মানুষ না আসলে হয়তো বাংলাদেশের ব্যন্ড সঙ্গিত এই অবস্থায় আসতো না। তার হাতে গিটার কিভাবে বাজে দেখেছেন? আমরা গিটার বাজাই আর তার গিটার আপনাআপনি বাজে। গিটার হাতে নিলে দেখেছি কিন্তু চিন্তা করতে হয়না, অটোমেটিক গিটার ফ্রেইট বোর্ডের উপর তার আঙ্গুল খেলতে থাকে, অথচ এই মানুষটিও বাধ্য হয় খুব বাজে গান করতে, কারণ একমাত্র টাকা।
আমি তার একটা রেকর্ডিং শুনেছিলাম আরেক গান পাগলার বাসায়। বাচ্চু আমেরিকা যেতে এক স্টুডিওতে রেকর্ডিং করেছিলো নিজের কিছু প্লেয়িং সেগুলো বাজারে আসেনি। শুনে মনে হলো এত ভালো কিভাবে বাজায় সে!
কি সব গান তার ছিলো... মনে পড়ে সেই গানের কথা... এই রুপালী গিটার ফেলে... কি তার সুর... কি ভায়োলিনের মুর্ছনা... আহা....
বালাম এখন প্রেমের গান করে অনেক অনেক টাকা পাচ্ছে। হয়তো আর ওয়্যারফেইজের মতো ব্যন্ডে সে ফিরবে না। আহা, কি স্টারগুলোকেই না আমরা হারাচ্ছি দাম দিতে না পারার কারণে !
এখনকার ব্যন্ডের গানগুলো সেই আগের মতো ভালো লাগে না। হয়তো সময়ের থেকে আমিই পিছিয়ে গেছি, তবে হ্যা, অনেক প্রতিভাবান নতুন শিল্পী এসেছে এখন তাদের কম্পোজিশন ও অ-সাম।
শেষ করবো আরেকজন মানুষের কথা বলে। তাকে আমি কাছ থেকে চিনি চাকরির সুবাদে। সে হচ্ছে আর্টসেল ব্যন্ডের ভোকাল লিংকন। কি কষ্ট করেই না গানগুলো পারফর্ম করেন... সেই সাথে প্রচন্ড প্রেশার নিয়ে চাকরি করেন। খুবই মজার মানুষ। একদিন দুঃখ করে বললেন, চাকরি করে ব্যন্ডে সময় দিতে পারছি না ঠিকমতো, কিন্তু কি করবো...
আহা আমাদের দেশ কবে এরকম শিল্পীদের দাম দেবে....
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫০