মাঝে মাঝেই বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা জিনিস চিন্তা করি, হায়রে আমার সোনার বাংলাদেশ, কই যাচ্ছে এটা দিন দিন?
আশে পাশে অনেককেই দেখছি খুব জোরে সোরে বাইরে যাবার চেষ্টা করছে। কেন? কারণ এখানে টেকা যাচ্ছে না। সবজায়গাতেই প্রবলেম। সামাজিক অবস্থা যাচ্ছেতাই। গাড়ী কিনবেন! উপায় নেই, দুদিন পর পর গ্যারেজে পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে দৌড়াতে হবে কারণ এক্সিডেন্ট করে গাড়ি ভচকে গেছে। দোষ কি আপনার ছিলো?
নাহ্। আমার পাশ দিয়ে যাবার সময় বাস তার লেজ দিয়ে হালকা ধাক্কা মেরে গেছে তাইতেই গাড়ী রাস্তায় উল্টে না গেলেও পুরো একটা চক্কর খেয়েছে। আমি কারও সাথে টেক্কা দিচ্ছি না, আগে যেতে চাও? যাও। তারপরও দেখা যাচ্ছে মেরে দিলো।
জ্যামে বসে আছেন, আপনার চোখের সামনে সাইড মিরর খুলে নিয়ে যাবে কিছুই করতে পারবেন না।
ঠিক আছে, প্রাইভেট গাড়ী বাদ। বাসে যাবো। যেতে পারবেন? তাও পারবেন না। ঠেলাঠেলি করে যাও উঠলেন, দেখলেন মানিব্যাগ হাওয়া বা মোবাইল হাওয়া (আমার গত সপ্তাহে হয়েছে)।
রাতের বেলা বিয়ের দাওয়াতে গেছেন বউ সহ ফেরার সময় কোন ট্যক্সি যাবে না। শীতের রাতে দাড়িয়ে আছেন রাস্তায়। কেউ যাবে না। পঞ্চাশ টাকা বেশী দিয়েও না। বলেন তো আমাকে তখন আপনি কি করবেন? কি চিন্তা করবেন?
মন খারাপ হয়ে আছে কালকের নিউজপেপারের উপর ছবি দেখে। একজন ছাত্রদলের নেতাকে পেছন থেকে মারছে এক ক্যাডার। হাতে কি! রেঞ্চ। সেটা যাতে হাত থেকে ছুটে না যায় সেজন্যে কাপড় দিয়ে সেটা পেঁচিয়ে রেখেছে। ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনার মাথা একটু পর ঘুরতে শুরু করবে কারণ রক্তাক্ত মানুষটার (জানি না সে আসলে মানুষ নাকি, যারা রাজনীতি করে দেশ চালায় তাদের ...) রক্ত লেগে আছে সেই অস্ত্রটাতে। তাও মেরে যাচ্ছে। কি ভয়ানক ক্রুর দৃষ্টি সেই সন্ত্রাসীর চোখে। পেছনে কর্ডন করে আছে পুলিশ। কিভাবে সম্ভব এই মারামারি!
আমি কোন দল করি না। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে কিভাবে একজন আরেকজনকে মারতে পারে! সেটা যে দলের লোকই হোক!
আরেক ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাম দা নিয়ে মহড়া। আচ্ছা সংসদে বসে সাংসদরা যে চিল্লাচ্ছে যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে, এই ছবি পাবলিশ হবার পরও কি তাদের বের করা সম্ভব নয়?
আমাকে বলেন, কোথায় আছি আমরা। কোথায় যাচ্ছে আমাদের দেশ?