somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

স্বপ্নবাজ অভি
দীর্ঘ অন্ধরাতে গোলাপ বিষয়ক কোন কবিতার পাতায় আমি নৈঃশব্দ্য আর অনিভপ্রেত ক্লান্তির মিলন দেখিয়েছি । গোলাপের মঞ্জুরীবিন্যাসে নাকি বলা ছিল “নৈকট্য ভয়ানক” !

কৃষ্ণচূড়ার কান্না!

১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কৃষ্ণচূড়ায় গোপন বৈঠক --------
মেঘদলের সাথে কৃষ্ণচূড়ার সংঘাতে ,
শহুরে কবিদের শব্দগুলো বড্ড একঘেয়ে হয়ে পড়েছে !
আকাশচুরি সেতো লাল-হলুদের মুগ্ধতায় হয়না । অযাচিত ব্যাপ্তিতে মেঘেরা পতনে ভীরু
তাই
শহুরে কবির শ্রান্ত দুপুরের শব্দ-সন্ধান যুদ্ধে , রৌদ্রের মলিনতাই তার একমাত্র উপহার কিংবা ... উপহাস !
এ তল্লাটে কয়েকটি ঘাসফুল আর কবিতার খেরোখাতা ছাড়া কিছু নেই । খেরোখাতায় বন্দী কয়েকটি কবিতা , কিছু পংক্তি , দীর্ঘায়িত করে রাখা আঁধার- ভালোলাগা-শূন্য বিকেল !
ততক্ষণে কৃষ্ণচূড়াদের বৈঠক শেষ হলো বলে
ওরা নাকি রাজপথে মিছিলে যাবে
বংশীবাউল কবিরা আজকাল বৃষ্টি-উল্লাস করে, সেই কবেকার ছিটেফোঁটা জল নিয়ে মেতে থাকে অথচ মহাজাগতিক কত –শত ধন্দ নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার দল! সেদিকে কারো খেয়ালই নেই । মাঝে মাঝে দু একজন ফটোগ্রাফার এসে স্থিরচিত্রে বন্দী করার পায়তারা করে, ডাল-পালার ছিদ্রে তার দৃষ্টি ও গিয়ে থমকে থাকে কঙ্কালসার মেঘেদের শরীরে।
তাই নাগরিক পথচলা থমকে দিয়ে রাজপথের দখল নিবে শহরের সব রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার দল। মেঘদলের পতন পিয়াসী কবিদের শব্দঘোরে কুৎসিত বিষণ্ণতা না আসা পর্যন্ত ওরা করবে আমরণ অনশন ! কেন কবিরা বুঝেনা ... শরীরে রক্ত মেখে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা অর্থহীন নয় ! অথচ সদ্য প্রেমে পড়া যুবতীর শূণ্য দৃষ্টির শেষ রেখাটা কৃষ্ণচূড়ার লালেই।
অথচ ব্যর্থ কবির দল ছাইপাস লিখে বেড়াচ্ছে !!

উৎসর্গঃ বৃক্ষ সংক্রান্ত পোষ্টে বৃক্ষের অধিকার ই বেশী ! এই পোষ্ট টি বটবৃক্ষ কে উপহার দেয়া হইলো!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
৬২টি মন্তব্য ৬২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×