"ফুলের শক্তি " - এক টি স্লোগান যা জেগে উঠেছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় !
এটি আবির্ভুত হয়ে ছিল আমেরিকান counterculture movement এর সময় যা ঘটেছিল ১৯৬০ এবং ১৯৭০ সালে !!
ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য এ পথ বেছে
নিয়েছিলেন । তাদের কর্মসুচীর অংশ ছিল কাপড়ে ফুল লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো , সাধারণ জনতার মাঝে ফুল বিতরণ করে তাদের সচেতন করে তোলা ! তবে নিঃসন্দেহে সৈনিক দের বেয়নট এ ফুল বেধে দেয়া ছিল সবচেয়ে হ্রদয় ছুয়ে যাওয়া দৃশ্য !!!
অনন্য , অসাধারণ এই বিপ্লব টি হয়েছিল আমেরিকান রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়াতে ! তাদের নীতিমালা ছিল যারা এই বিপ্লবে অংশ নিবেন তারা প্রচুর সংখ্যক ফুল নিয়ে ঘোরাফেরা করবেন এবং পুলিশ , আর্মি , সাংবাদিক , সরকারী কর্মচারী দের ফুল দিয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানাবেন ! তাদের ফুল , ক্যান্ডি , আর সঙ্গীত রাজপথে হিংসা , হানাহানি আর বিদ্ধেষ এর জন্য যথেষ্ট লজ্জা বয়ে নিয়ে আসে !
"The cry of 'Flower Power' echoes through the land. We shall not wilt. Let a thousand flowers bloom."
— Abbie Hoffman, Workshop in Nonviolence, May 1967
পরবর্তীতে "ফুলের শক্তি " শ্লোগান টি অনেক হিংসাত্বক কাজের বিরুদ্ধে কাজে লেগেছে !
দেখে নেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সেই গোষ্টির কিছু তথ্যঃ
১ - প্রতিবাদমুলক ফ্লাওয়ার পাওয়ার ৬০ শতক এবং ৭০ শতক এ সংঘটিত হয়। যুদ্ধ মৌলিকভাবে বিরোধিতা, বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ, পারমাণবিক অস্ত্র ও সাধারণ মানুষ কে যুদ্ধে বিরুদ্ধে আগ্রহী করে তুলতে শুরু হয়।
২- প্রতিবাদীরা অধিকাংশ ছিল (১৮-২১) বছর বয়সী ! তারা ভেবেছিল এই প্রতিবাদের মাধ্যমে পৃথিবী বদলে দেয়া যাবে । তারা বেচে নিয়েছিল সৈনিকের বেয়নট , যাতে তারা ফুল বেধে দিত !
৩-ধীরে ধীরে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাও এই প্রতিবাদ পন্থায় সমর্থন জানায় !
এই প্রতিবাদে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল কিনা তা বড় প্রসংগ নয় !! যুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে লজ্জা দেয়ার মত এবং জন মনে আলোড়োন তৈরী করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল !
আমাদের কি এখন ফুল নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে, প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ?? আমরা ও তো যুদ্ধ করছি প্রতিদিন নিজেদের সাথে নিজেরা !
ফুলের শক্তি ! যুদ্ধ আর হিংসার বিপক্ষে ফুল !!!!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।