সমুদ্রচারী নাবিকদের ফেলে যাওয়া দৃষ্টি রেখা ধরে
আমি খুজেঁ ফিরি
ব্যর্থ হৃদয়ের আস্ফালন !
নীলাভ জলছায়া ছুটে চলে অজস্র শব্দতরী দ্রবীভূত করে!
আমি ছুটে চলি নাবিকের চোখে ভর করে, নিঝুম দ্বীপের বিষন্ন সিগ্যাল এর আঁকা উড়ন্ত মানচিত্র মেপে মেপে!
রাত নামে উজ্জ্বল মেঘের দেশে!
রাত তো নয় যেন অনিকেত অন্ধকার
অন্ধকারে তারার ছায়ারেখা ধরে ভেসে বেড়ায় সহস্র বছরের শব্দঝংকার! চোখের ভাজে ধরা পড়ে অগণিত শুন্যতার শব্দদল! সে এক তীব্র ছায়াপুত্তলিকা ঘেরা স্মৃতির ঘোর !
হিমশিতল হাওয়া গায়ে মেখে, সমস্ত অন্ধকার মুঠোয় বন্দী করে আমি হারাই নৈঃশব্দ্য ঘুমে!
আমার চিন্তাজগতে তখন তোমার রাজত্ব!
গভীর সমুদ্র জুড়ে অন্ধকারে তুমি এঁকে চললে হাওয়া ফুলের নকশা, তার ঘ্রাণে রাত্রিজুড়ে ভেসে উঠে মায়াবী সূর! যখন আলো ফুটে নীলের দেশে তখনই মনে পড়ে আরে হ্যাঁ ছুটে চলছি আবিরাম সেই ঘোরলাগা সুরের সন্ধানে! সেই সুর গিলে খাবে নীলাভ জলে জমে থাকা সহস্র বছরের সব শব্দ যন্ত্রনাকে!
একদিন ফিরে আসবো, এসেই হারাবো তোমার জলমগ্ন চোখের ভিতরে। তারপর তোমায় শোনাবো অচেনা সুরের মায়াবী সংগীত, তুমি সে সুরে মগ্ন হয়ে আঁকতে থাকবে বিষাদ মুক্তির ফুলেল নকশা!
জলছায়া আর অনুজ্জ্বল রোদের দেখানো পথে আমি ছুটে চলি সেই মায়াবী সুরের সন্ধানে!
আমি কি গাইতে পারবো অচেনা সুরের সে মায়াবী সংগীত ...তোমায় আকাতে পারবো বিষাদমুক্ত নকশা ...সে নকশা দেখে সমস্ত ব্যর্থ হ্রদয় ছুঁয়ে ফেলবে এরিসের রক্তিম লাল গোলাপ!
ুউৎসর্গঃ প্রিয় ব্লগার একজন আরমান ! যিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন সেই মায়াবী সুর !
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯