ঘুনে ধরা পারিবারিক বন্ধন আমাদের সমাজ নয়
জীবন যুদ্ধের নামে পরিবারের রীতি বিসর্জন জীবন নয়
অত্বকেন্দ্রীকতার বেড়াজালে আবদ্ধ মানে সুখ নয়
বেচে থাকা মানেই সরলরেখার শেষ বিন্দু নয়।
সম্মুখে যা অগ্রসরমান পশ্চাতে ছিল তা বেগবান
মূর্ত বর্তমান অতীতের বিমূর্ত প্রতিভার অবদান
সভ্যতা চলমান বলেই আজ অতীত বর্তমান
সৃষ্টি মঙ্গল বলেই স্রষ্টার প্রতি সকল গুণগান।
ধাবিত মহারথী উচ্ছ্বাসিত আপন গৌরবময় বংশ মর্যাদায়
সাম্যতা আর জ্ঞানের লিপ্সায় পুনঃউদ্ধার যা বিলুপ্তপ্রায়
উদিত সূর্যের আলোয় চন্দ্রের কোমলতা বিসর্জনতায়
কর্মচঞ্চলতা ফিরে আসে নতুন বংশপরম্পরায়।
জাগ্রত পশুত্ব নিষ্ঠুর আধুনিকতার ছায়ায়
তিলে তিলে হত্যা প্রায় সেই মমতা-ভালোবাসার
টুটি চেপে ধরে পুরোনো স্মৃতির রোমন্থনে বিষোদগার
অনাবিল আমিত্ব আর অহংকারে সংসার পূর্ণপ্রায়।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, কীর্তনখোলায়
বয়ে যাওয়া যত জল হিমালয়ের সদিচ্ছায়
লক্ষ-কোটি প্রানের বিস্তার আপামর এই বাংলায়
ধর্ম নয় মানুষত্যের বিকৃতিতে ধংস এখন দরজায়।
খেটে খাওয়া কৃষক শ্রমিক আপামর জনতায়
বিবেকবুদ্ধিহীন লাগামহীন অন্ধকার জ্ঞানের ছটায়
অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষগুলোর মানুষত্য চর্চায়
সভ্যতা নামের ব্যবসায়ীদের আঘাতে রক্তাক্ত হায়।
শাষনের নামে শোষন, শিক্ষার নামে কুশিক্ষা
বিবেকের দরজায় অনবরত পেরেক ঠুকে দেওয়া
লোভ লালসার ঐতিহ্য ভুলে আমিত্বের মহিমায়
জীবনের শেষ প্রান্তে হয়ে যায় বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।
বাংলায় বহমান প্রজন্ম ভুলে গেছে গঙ্গাস্নান
হাজার বছর ধরে জমা পলিতে মানুষত্যের চাষ
ভাইয়ে ভাইয়ে হয়ে গেছে শ্ত্রুতার বিকাশ
তবে বাকি কি আর আমাদের বিনাশ।
এই ঘুনে ধরা সমাজ আমাদের কাম্য নয়
কাম-ক্ষুধা-লালসা শুধু আমাদের প্রাপ্য নয়
চেতনার মুখোশধারী জানোয়ারগুলো আমাদের ভাই নয়
হাড়িয়ে যাওয়া শতবর্ষ পূর্বের চেতনাই হোক আমাদের কাম্য।