যুগ থেকে যুগান্তরে, জন্ম থেকে জন্মান্তরে, পার্থিব জগতে চাওয়া না পাওয়ার সমীকরণে
দেশ থেকে দেশান্তরে, দিগ থেকে দিগন্তে, খুজে না পাওয়া এক ইশ্বরের সন্ধানে।
শ্রদ্ধা ভক্তি উৎসব বিধান কিংবা পর্বনে, জানা অজানা কৃষ্টি আর অসংখ্য নিয়মে
বোধ বুদ্ধি বিবেচনায় বাধা আচার অনাচারে, পালন করে যায় জন্ম থেকে সৎকারে।
ভূল্যোক দ্যুলোক কিংবা থাকে যদি কিছু আরও, গ্রহ তারা নক্ষত্র কিংবা নিহারিকা আছে যতো
ছোট্ট এ জগতে দেব দেবতা খোদা লর্ড আছে তত, ক্ষুদ্র জ্ঞানে সল্প প্রানে কে খুজিবে নিজের মতো।
জীবন মানে সকালে ফোটা গোলাপের মতো, সময়ের আবর্তনে শুকিয়ে যায় পাপড়ের মতো
মৃত্যু আলিঙ্গন যখন চিরন্তন সত্য নিজের নিজের বলে চিৎকার বৃথাই তত।
সূর্যের আবর্তনকে দিন থেকে রাত মেনে ঘড়ির কাটার ঘূর্নয়নে বয়সের মান গুনে
অর্থ কিংবা সম্মানে জীবনের মানে খুজে, সৃষ্টিকে স্রষ্টার লীলা ভেবে চোখ বুঝে।
স্বর্গ আর নরকের ভঁয়ে ধর্মের বেড়াজালে সমাজের দেওয়া দুঃখ কষ্ট আর ক্লেশে
জন্ম যখন পরীক্ষা কিংবা শাস্তি ভেবে শৈশব থেকে বার্ধক্য কাটে শুধু সুখেরই খোজে।
শত থেকে শতাব্দীর পথে বয়ে চলে জীবন একই রীতিতে, ক্ষীন থেকে স্থুল সুতোর পাকে
বেধে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের এক বিস্মৃত মায়াজালে, রীতি হয়ে যায় জন্মে আর সৎকারে।