গত তিনদিন ধরে টানা ঘুম উত্সব চলছে। ঠিক উত্সব বলা চলে না। ব্যাপারটাকে ঘুম বিলাস বলাই ভাল। কারন আমি একাই ঘুমিয়ে যাচ্ছি। ঘুমের ফাকে ফাকে পাচ দশমিনিটের জন্য উঠে পানি আর সিগারেট তারপর আবার ঘুম। ও হ্যা ঘুম উত্সব শুরুর আগে এক প্যাকেট সিগারেট বালিশের ডান পাশে রাখার নিয়ম।
কোন ধরনের নেশা জাতীয় বস্তু ছাড়াও যে এভাবে ঘুমানো যায় ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারি কলেজে পড়ার সময়। শুরুতে একটু কষ্ট হলেও চব্বিশ ঘন্টা পার হলেই বিষয়টা অনেক সহজ সয়ে যায়। এক ধরনের ঘোরের মধ্যে ঢুকে যাওয়া যায়। চারদিক কেমন যেন রহস্যময় মনে হয়। এইতো আমি এখন স্পষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শুনতে পাচ্ছি। আমার চেয়ারে কে যেন বসে আছে, কম্পিউটারের পর্দায় চোখ। আমি বুঝতে পারছি না কে বসে আছে। রুম শেয়ার করে থাকার ঝামেলা আছে। সম্ভবত রুমমেটের গেষ্ট। আমার ঘুম ভাঙ্গার পর কিছুক্ষন তাকিয়ে চেনার চেষ্টা করলাম কে হতে পারে। নাহ চিনতে পারছি না। এই সময়ই সে আমার দিকে তাকিয়ে সুর করে জিজ্ঞাস করল "ভাই কি খবর।" এখন তাকে চিনতে পারলাম আমার রুমমেট। বাড়িতে গিয়েছিল। কখন আসল কে জানে। আমি তার কথার কোন জবাব না দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। উত্সবের এক একটা সেকেন্ড ও মূল্যবান। কিছুক্ষন চেষ্টা করে দেখলাম ঘুম আর আসছে না। আধশোয়া হয়ে একটা সিগারেট জালাতে গিয়ে দেখলাম ম্যাচ নাই। যথাসম্ভব কঠিন গলায় তাকে জিজ্ঞাস করলাম "ম্যাচ কি তুই নিসছ? ম্যাচ দে।" সে আমার দিকে একটা লাইটার ছুড়ে মারল। এমনিই ঘুম আসছে না, টেনশানে আছি এর মধ্যে নতুন টেনশান, ম্যাচটা গেল কই। এর মধ্যেই রুমমেট গ্রামের কিছসা কাহিনী শুরু করে দিল। আমি মুগ্ধ মুগ্ধ একটা চেহারা করে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার কাছে যে কেউ যেকোন কথা শেয়ার করেই তৃপ্তি পায়। কারন আমি এমনভাবে তাকিয়ে থাকি যেন আমি এই কথাগুলা শুনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আসলে দেখা যায় অর্ধকেরও বেশী কথার একটা লাইনও আমি শুনি না।
আমার রুমমেট দুইজন। দুইজনের বাড়ি ই বাগেরহাটে, সমূদ্রপকূলবর্তী এলাকা। আয়োডিনের অভাব থাকার কথা না। কিন্তু এদের দেখলেই মনে হয় আজীবন আয়োডিনের অভাবে ভূগছে। একজনের নাম শিপলু। হাইট এভারেজ বাংগালীর চেয়ে অনেক বেশি। বাচ্চা বাচ্চা চেহারা। দুই ধরনের ছেলেদের সাথে মেয়েরা মিশতে চায় না এক. যাদের চেহারায় গুন্ডা গুন্ডা ভাব থাকে। দুই. যাদের চেহারা নিতান্তই আলাভোলা টাইপ। আমার রুমমেট দ্বিতীয় দলে। গত তিনদিন ধরে টানা ঘুম উত্সব চলছে। ঠিক উত্সব বলা চলে না। ব্যাপারটাকে ঘুম বিলাস বলাই ভাল। কারন আমি একাই ঘুমিয়ে যাচ্ছি। ঘুমের ফাকে ফাকে পাচ দশমিনিটের জন্য উঠে পানি আর সিগারেট তারপর আবার ঘুম। ও হ্যা ঘুম উত্সব শুরুর আগে এক প্যাকেট সিগারেট বালিশের ডান পাশে রাখার নিয়ম।
কোন ধরনের নেশা জাতীয় বস্তু ছাড়াও যে এভাবে ঘুমানো যায় ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারি কলেজে পড়ার সময়। শুরুতে একটু কষ্ট হলেও চব্বিশ ঘন্টা পার হলেই বিষয়টা অনেক সহজ সয়ে যায়। এক ধরনের ঘোরের মধ্যে ঢুকে যাওয়া যায়। চারদিক কেমন যেন রহস্যময় মনে হয়। এইতো আমি এখন স্পষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শুনতে পাচ্ছি। আমার চেয়ারে কে যেন বসে আছে, কম্পিউটারের পর্দায় চোখ। আমি বুঝতে পারছি না কে বসে আছে। রুম শেয়ার করে থাকার ঝামেলা আছে। সম্ভবত রুমমেটের গেষ্ট। আমার ঘুম ভাঙ্গার পর কিছুক্ষন তাকিয়ে চেনার চেষ্টা করলাম কে হতে পারে। নাহ চিনতে পারছি না। এই সময়ই সে আমার দিকে তাকিয়ে সুর করে জিজ্ঞাস করল "ভাই কি খবর।" এখন তাকে চিনতে পারলাম আমার রুমমেট। বাড়িতে গিয়েছিল। কখন আসল কে জানে। আমি তার কথার কোন জবাব না দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। উত্সবের এক একটা সেকেন্ড ও মূল্যবান। কিছুক্ষন চেষ্টা করে দেখলাম ঘুম আর আসছে না। আধশোয়া হয়ে একটা সিগারেট জালাতে গিয়ে দেখলাম ম্যাচ নাই। যথাসম্ভব কঠিন গলায় তাকে জিজ্ঞাস করলাম "ম্যাচ কি তুই নিসছ? ম্যাচ দে।" সে আমার দিকে একটা লাইটার ছুড়ে মারল। এমনিই ঘুম আসছে না, টেনশানে আছি এর মধ্যে নতুন টেনশান, ম্যাচটা গেল কই। এর মধ্যেই রুমমেট গ্রামের কিছসা কাহিনী শুরু করে দিল। আমি মুগ্ধ মুগ্ধ একটা চেহারা করে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার কাছে যে কেউ যেকোন কথা শেয়ার করেই তৃপ্তি পায়। কারন আমি এমনভাবে তাকিয়ে থাকি যেন আমি এই কথাগুলা শুনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আসলে দেখা যায় অর্ধকেরও বেশী কথার একটা লাইনও আমি শুনি না।
আমার রুমমেট দুইজন। দুইজনের বাড়ি ই বাগেরহাটে, সমূদ্রপকূলবর্তী এলাকা। আয়োডিনের অভাব থাকার কথা না। কিন্তু এদের দেখলেই মনে হয় আজীবন আয়োডিনের অভাবে ভূগছে। একজনের নাম শিপলু। হাইট এভারেজ বাংগালীর চেয়ে অনেক বেশি। বাচ্চা বাচ্চা চেহারা। দুই ধরনের ছেলেদের সাথে মেয়েরা মিশতে চায় না এক. যাদের চেহারায় গুন্ডা গুন্ডা ভাব থাকে। দুই. যাদের চেহারা নিতান্তই আলাভোলা টাইপ। আমার রুমমেট দ্বিতীয় দলে।