somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাক্সকাহন-নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় লেখালেখি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে মনখারাপের কারণ হতে পারে মেজাজ খারাপ। এখন নিজের উপরেই আমার মেজাজ খারাপ। একটা বন্ধ টং দোকানের সামনেই বেন্চিতে বসে আছি। প্রতিদিনই এখানে বসি। কিন্তু আজকে দোকানের ঝাপ নামানো। দোকানী তাবলীগের দাওয়াতে যাওয়ার কথা। এই ব্যাটা কোনদিনও নামাজে যায় না। কিন্তু শবে বরাত কদর এই সময়ে বেশ উত্‍সাহ নিয়ে মসজিদে যায়। আজকে কি কারণে গেসে ঠিক বুঝা গেল না।

নিজের উপর মেজাজ খারাপ হলে একটা অন্য ধরনের অনুভূতি হয়। এরকম আর কারো হয় কিনা জানি না।
গলার নিচ থেকে সবকিছু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে চায়। গলার ব্যাস নিতান্তই কম বলে বেরুতে পারছে না। খুবই ভয়াবহ অবস্থা। যখন কোন একটা পেইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তখনই আমার এরকম মনে হয়।
সবসময়ই যে এর কারণ থাকবে তা না, অথবা কারণ থাকলেও তা খুবই তুচ্ছ কারণ।

খুব সম্ভবত তখন নাইনটি ফোর। তখন কুরবানীর ঈদগুলা জুন মাস বা মে মাসের দিকে ছিল। ঠিক মনে নাই। আমি তখনো নিজের চোখে শহর দেখি নি। গ্রামে থাকতাম। গ্রামের একটা স্কুলে যেতাম। ওয়ানের ক্লাসে ঢুকতাম কিন্তু হাতে থাকত টু এর বাংলা বই। এই ভুল কেন যে প্রতিদিন করতাম এ এক বিরাট রহস্য। অবশ্য স্যার মেডামরাও কেউ কিছু বলত না। হয়তো ওয়ানের ক্লাসে টুয়ের বাংলা বই নিয়ে ঢুকলে তাকে কিছু বলার নিয়ম নাই।
একদিন এক ম্যাডাম একটা কবিতা লিখতে দিয়েছিল। ওয়ানের কবিতা। আমি কখনোই ওয়ানের বই পড়ি নাই। কাজী নজরুল ইসলামের আমি হব কবিতাটা লিখে দেখালাম। ম্যাডাম খাতাটা নিয়ে একবার আমার দিকে তাকাল। এরপর একটা টিক মার্ক দিয়ে খাতাটা ফেরত দিল।

ওয়ানের বই না পড়ার কারণ হল আমার ছোট বোন। সে যখন বই পড়তে শুরু করল তখন তার হাতে এল ওয়ানের বই আর আমি যেহেতু বড় তাই আমি একই বই পড়ব না। সেজন্য আমার কাছে ছিল টুয়ের বই। বড় অদ্ভূত হিসাবী ছিলাম ছোটবেলায়।
তখনকার সময়ে গ্রামে এত বেশী কিন্টারগার্টেন ছিল না। সরকারী প্রাইমারী স্কুল ছিল প্রায় দুই মাইল দূরে। পুরা রাস্তা হেটে হেটে যেতাম। অবশ্য কখনোই একা যেতে হত না। গ্রামের স্কুলে একা একা যাওয়ার নিয়ম নাই। যাওয়ার নিয়ম দলবেঁধে।
একদিন কি কারণে যেন একাই যেতে হল। কুরবানীর ঈদের অনেক বড় একটা বন্ধের পরে সেদিন ছিল প্রথম ক্লাস।
গিয়ে দেখি সব স্টুডেন্টরা বারান্দায় বা মাঠে কিচির মিচির করছে। পিওন তখনো আসে নি বলে ক্লাসরুম খোলা হয় নাই। তখন আমার হঠাত করেই মনে হল স্কুল আর কখনো বন্ধ হবে না।
ঠিক তখনি এক ধরনের গা গুলানি অনুভূতি এসেছিল।
আজকেরটার মতই। আজকে কেন এমন হল বুঝতে পারতেসি না। হয়তো কিছুক্ষনের মধ্যেই বুঝতে পারব। আমি চাচ্ছি যাতে বুঝতে না পারি।

উহু ভুল বললাম। আমি ঠিকই জানি কি কারণে এমন হচ্ছে। কিন্তু চিন্তাটা ঠিকমত গুছানো যাচ্ছে না।

এন বিঃ মন খারাপ তাদেরই হয় যারা ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্যের মুখ খুব কমই দেখেছে। আমি ঐ দলেরই একজন। যখনই আমার মন খারাপ থাকে তখনই কোন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি। এই লেখাটা মন খারাপ প্রজেক্টের একটা অংশ। এখন থেকে প্রায়ই আমার মন খারাপ থাকবে। কারণ একবার মন খারাপ হলে তার প্রভাব কয়েকদিন থাকে। এইটা আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
৪৫টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×