প্রেমিকার পিতাদের আঙুল জানে
এক ঢিলে তিন পাখি মারা প্রাচীন কৌশল।
রাজনীতি নিয়ে কথা যদিও আমার কম-
তবু চিনে নিতে পারি স্বৈরাচারীর কন্ঠ।
আকন্ঠ মদ্যপান বৃথা হয়ে যায়-
স্নানঘরে বসে নিজেকে ভাসাই বাষ্পে। ভাবি-
একটি বয়স্ক দেবদারু গাছকে কতটা স্পর্শ করে শীতকাল।
তবু পাতা ঝরা দিনগুলো লিখে-
আগুনের ফুলকির নিগূঢ় রহস্যভেদের আখ্যান।
ক্ষার জলে ধুয়ে নিতে চাই বিরহ সব।
তবু প্রশ্ন করতে চাই পিতাকে তোমার,
অ্যান্টিস্যাপটিক সাবান কি ধুয়ে দিতে পারে-
স্বৈরাচারীর রক্তমাখা হাত?
তবু এইসব বিরহ বাষ্প স্নান-
জেনে নেয় বাক স্বাধীনতা হরনের ইতিহাস।
কবিতাগুলো ফাঁসিতে ঝুলাবে তাকে-
অশ্রুসব খুঁজে নিবে স্থান সাবানের ফেনার ঝাকে।
আমাদের ফের দেখা হবে একদিন-
তোমার পিতার কবরের সামনে হয়তো শোনাবে-
ক্ষমা মহান, হত্যাকারিকে যে দেয় সম্মান।
অথবা এইসব উষ্ণ জলের প্রাণ-
আজই ছড়িয়ে দিবে কোমল বড়ই পাতার ঘ্রাণ।