somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শের শায়রী
অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

নারী কেন্দ্রিক ছয়টি শ্রেষ্ট বাংলা ছায়াছবি আমার দেখা মতে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ছায়াসূর্য র ঘেটু

পার্থ প্রতিমের ছবি। ছায়াসূর্য। শর্মিলি ঠাকুরের মত একজন ডাকসাইটে সুন্দরীকে গ্রাম বাংলার ওই রকম সাদাসিদে চরিত্রে অভিনয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা আনা সোজা কথা না।ঘেটু অসুন্দরী বলে সামাজে সে ব্রাত্য। কিন্ত চেহারার অসৌন্দয্যকে ছাপিয়ে ঘেটুর মানের সৌন্দর্য্য যখন ফুটে ওঠে তখনই বোজা যায় শর্মিলি ঠাকুর কি মাপের অভিনেত্রী।

পারমিতার এক দিন

পারমিতা আমার কাছে দক্ষিনা বাতাস। শরীর মন জুরিয়ে দেয়। আমি মানূষ হয়েছি এক যৌথ ফ্যামিলিতে তাই পারমিতার সাথে আমার আত্নীক যোগা্যোগ টের পাই।দুইজন মানুষ,দুইজন নারী বয়স আর সমাজের বাধা ভেদ করে একাকীত্বকে আশ্রয় করে হয়ে ওঠে বন্ধু। নিজেদের দু:খগুলো,কষ্টগুলো,ভাললাগাগুলো আর মুহূর্তগুলো যথন একাকীত্বের কাছে হার মানতে শুরু করে তখনই এই দুই মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে বিশ্বাস আর ভালবাসার এক স্বর্গীয় সস্পর্ক। সমাজের বাধা আছে,জীবনেরও সীমাবদ্ধতা আছে- তারপরও এ বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। পারো আমার কাছে নুনের মত ভালবাসা। পারোর কথা যখনি মনে পড়ে এক ভালালাগা ভর করে। স্মৃতিগুলো কথা বলে। পারমিতা কে বড় চোখে হারাচ্ছি। ইশ পারো যদি আমাকে একটা চিঠিও দিত!

মেঘে ঢাকা তারার নীতা

নীতার ভাঙ্গন, তার পরিবারের ভাঙ্গন আদতে বাংলার ভাঙ্গন, আসলে ঋত্তিক ঘটক এর জীবিত কালে কুড়ে কুড়ে খেয়ে ছিল এই দুই বাংলার ভাঙ্গন, শুধু ঋত্তিকের কথা বলি কেন এপার ওপার প্রতিটি মানুষের হাহাকার ছিল এই ভাঙ্গন। তাই তো নেহেরু, জিন্না, প্যাটেল, মাউন্টবাটেন কখন ও ক্ষমা পায়নি নিতার কাছ থেকে। নীতারা ওদের কখন ও ক্ষমা করবে না।

উত্তর ফাল্গুনীর দেবযানী

এক মা আর এক মেয়ে, একজন ব্যার্থ প্রেমিক, নিপিড়ীত স্ত্রী, মমতাময়ী মা আর এক জন স্মার্ট দক্ষ উকিল। দুটো চরিত্র একজনের। যে সময়ের ছবি সে সময় একজন ই ছিলেন এ রকম জ়টিল চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য। সে হল এক মে দ্বিতীয়ম সুচিত্রা সেন। কার চরিত্রে বেশি ভাল ছিলেন? আমার পক্ষপাতিত্ব কিন্তু মায়ের প্রতি। বার বার চোখে পানি এসে যায় তার পরো দেখি কাকে দেখি? সুচিত্রা না দেবযানীকে? জানি না।

মহানগরের আরতি

মহানগরের আরতির সাথে শুধু আমার প্রেম করেতে ইচ্ছে হয়নি। ঘর বাধতেও ইচ্ছা করছে। কারন এই ছবিটা আমি দেখি বিয়ের আগে। আমার মনের গহীন গভীরে সব সময় ইচ্ছে হত আরতির মত কাউকে পেতে। যদিও আমি কখনও মহানগরের সুব্রতের মানসিকতার ছিলাম না।আরতি আমার কাছে এমন এক চরিত্র যার সাথে প্রেম করে ঘর করা যায়।

পরমা

পরমাকে যখন প্রথম দেখি তখন কৈশর প্রায় উত্তীর্ন। নিজের মধ্যে এক প্রচন্ড ভাংচুর শুরু হল। সময়টাই সে রকম, আমরা যতই বলি আমরা আধুনিক কিন্তু পরমা আমাদের সেই বিশ্বাসে চির দিন প্রশ্ন করে যাবে। এখানেই পরমার সার্থকতা।অনুষাসননের মধ্যে পরমার যে পরিনতি ঘটল তা বেদনাদায়ক কিন্ত তার মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের জটিলতা আর খোলা জায়গা দুটোরই উপস্তিতি টের পেলাম।

ইশ ব্লগে সবাই কি সুন্দর করে মুভি রিভিঊ দেয়, আমার ও দিতে ইচ্ছে হল কিন্তু আমি যে পুরানো দিনের কথা বলতে ভালবাসি। সাহস করে দিয়ে দিলাম আমার দেখা ছয়টি নারী কেন্দ্রিক বাংলা ছবি। কেউ যদি এই লেখা পরে একটা ছবি ও দেখে আমি জানব আমার আনন্দ কেউ ভাগ করে নিয়েছে। কষ্টগুলো নিজের কাছে থাক। আনন্দ গুলো সবাইকে নিয়ে। আনন্দ। আনন্দ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩২
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×