somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাপাগো পার্ক, ফিনিক্স অ্যারিজোনা –ছবি ব্লগ

১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল বেলা অ্যারিজোনার রাজ্যের ফিনিক্স শহরের টেম্পে শহরতলী ঘুরে দেখার জন্য বের হলাম। তবে বৃষ্টি থাকায় কোন দর্শনীয় জায়গাতে ঘুরতে পাড়ছিলাম না। তাই মলে ঘুরে ও কিছু কেনাকাটা করে সেখানেই লাঞ্চ সেরে নিলাম। বিকেল বেলা সুন্দর রোদ উঠল। ড্রাইভ করে চলে এলাম পার্কে। এখানে একটা পরিবার বারবিকিউ পার্টি করছে। পার্কটিতে ডেজার্ট বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফিনিক্স চিড়িয়াখানা, অ্যারিজোনা হেরিটেজ সেন্টার, পিকনিক এলাকা, বেশ কয়েকটি ছোট হ্রদ, হাইকিং ট্রেইল, সাইকেল ট্রেইল ও একটি ফায়ার মিউজিয়াম আছে।
পাপাগো পার্ক অ্যারিজোনার রাজ্যের ফিনিক্স এবং টেম্পে শহরের একটি পৌর পার্ক। এটিকে ফিনিক্স পয়েন্ট অফ প্রাইড হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। পাপাগো পার্ক ফিনিক্সের একটি পার্বত্য মরুভূমির পার্ক যা প্রায় ১৫০০ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে। টেম্পের অংশটিকে টেম্পে পাপাগো পার্ক বলে। পাপাগো পার্কের ভূতাত্ত্বিক গঠন একটু আলাদা। এই পার্ক এলাকায় দৈত্যাকার সাগুয়ারো ক্যাকটাস গাছ রয়েছে যা সাধারণত মরুভূমিতে দেখা যায়। এই ক্যাকটাস গাছের কাছে ছবি তোলা হল।
পাপাগো পার্কের স্বতন্ত্র লাল বেলেপাথরের ভূতাত্ত্বিক গঠনগুলি প্রায় ৬ থেকে ১৫ মিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল। এই ধরনের একটি গঠন হলো হোল-ইন-দ্য-রক। পাহাড়ের মাঝে একটা ফাঁকা জায়গা যা সময়ের সাথে সাথে গঠনে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বর্তমান রূপ নিয়েছে। এই জায়গাতে হাইক করে যাওয়া যায়। সময় কম থাকায় সেখানে যাওয়া হয়নি।
পাপাগো পার্কটি ১৮৭৯ সালে স্থানীয় মেরিকোপা এবং পিমা উপজাতিদের জন্য একটি রিজার্ভ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। আমেরিকার গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় গভর্নর হান্ট ১৯৩২ সালে পাপাগো পার্কে একটি মাছের হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, পাপাগো পার্কে একটি যুদ্ধবন্দী জন্য ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সেখানে ৩১০০ জন বন্দী ছিল। যুদ্ধের পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই ক্যাম্প এলাকাটিকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন এসব কিছুই নেই। পার্ক এলাকার দৃশ্য মনমুগ্ধকর চারিদিকে ঘুরে দেখলাম ও ছবি তোলা হল।










সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

পঁচে যাওয়া বাংলাদেশ আর্মি

লিখেছেন রিয়াজ হান্নান, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৫


একটা দেশের আর্মিদের বলা হয় দেশ রক্ষা কবজ,গোটা দেশের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বহিরাগত দুশমনদের আতংকের নাম। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা নিয়ে কয়েকটা জেনারেশন বড় হয়ে উঠলেও সেই জেনারেশনের কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×