somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপরের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া যতটা আনন্দের বিষয় ,নিজের মধ্যে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখা ততটাই পরিতাপের বিষয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে বসবাস রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ।

কিন্তু সব প্রজাতি এক নয় ।

এক এক প্রজাতি এক এক রকম ।

এদের খাদ্যাভাস ,চাল-চলনে রযেছে দারুণ ভিন্নতা ।

এছাড়া বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে যাচ্ছেন নাম না জানা অগণিত প্রাণির জীবন ধারা ।

কিন্তু এসব কিছুর মালিক একজন তিনি হলেন মহান রাব্বুল আল-আমিন যিনি সবজান্তা,মহাবৈজ্ঞানিক যার উপরে কেউ নেই এবং তিনিই কেবলমাত্র সকল ক্ষমতার অধিকারি ।

এই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে "আশরাফুল মাকলুকাত" অর্থাৎ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে প্রেরণ করেছেন ।

এ প্রেরণ শুধু কি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য ?,কখনই তা হতে পারে না্।

আল্লাহ আমাদেরকে যেমন সৃষ্টির সেরা জাতি হিসেবে পাঠিয়েছেন ঠিক তেমনভাবে আমাদেরকেও সেই শ্রেষ্টত্বের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে হবে ।

কিন্তু এই মর্যাদা বজায় রাখা কেবলমাত্র বড় বড় ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমেই নিহিত নয় ।

দুনিয়াতে আসলাম আর গেলাম,সদা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলাম এর মধ্যে কোন সার্থকতা খুঁজে পাওয়া নিতান্তই মূর্খতার পরিচয় ।

শিক্ষাও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নামের যোগ্য হতে হবে ।

জাগ্রত করতে হবে জ্ঞানকে,

জাগ্রত করতে হবে বিবেক,বুদ্ধিকে ।

ধর্মের আলোয় আলোকিত করতে হবে নিজেকে তথা সমাজকে।

অপর কে সাহায্য সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে-

"সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে ।"

অপরকে সাহায্য করা,অপরের সুখে-দুঃখে,হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনার সাথী হওয়াই প্রকৃত মানবের কাজ আর এর মাধ্যমেই খুঁজে পাওয়া যয় প্রকৃত জীবন ব্যবস্থা যার আরেক নাম সার্থকতা।

অপরের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া যতটা আনন্দের বিষয় ,নিজের মধ্যে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখা ততটাই পরিতাপের বিষয়।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় তিনি সর্বদা নিজের জীবনটাকে ও অন্যের জন্য দিতে সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন ।

তাঁর চরিত্রের মাধুর্যতায় শত্রু মিত্রতে

পরিণত হওয়ার হাজারও উদাহরণ লক্ষ্যণীয় ।

তিনি যেভাবে চলেছেন যে পথে চলেছেন তা আমাদের জীবন চলার একমাত্র পাথেয় হওয়া উচিত ।

বিশ্বে যত মহান ব্যক্তিবর্গ ছিলেন তাঁদের সকলেই নিজেকে নিয়ে ভাবার থেকে অন্যকে নিয়েই ভেবেছেন অনেক বেশিমাত্রায়।

জীবন খুবই সীমিত সময়ের জন্য তাই এমন কিছু করা উচিত যাতে মানুষ যুগ যুগ ধরে মনে রাখে ।

আমাদের স্মরণ রাখতে হবে -মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করতে,তাঁর মনোনিত ধর্মের সেবা করতে,তাঁর সৃষ্টি সকল জীব কুলদের প্রতি দয়া দেখাতে ।

মনে রাখতে জীবন সারা জীবনের জন্য অমর হয়ে আসে নি ।

মনে রাখতে হবে প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে স্বয়ং আজরাইল (আঃ) কে যিনি আল্লাহর হুকুমে সবার জান নিয়ে থাকেন তিনিও এ মৃত্যু থেকে রেহাই পাবেন না ।

তাই শুধু পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ না হয়ে,এখানকার শান্তির জন্য ব্যস্ত না হয়ে সর্বদা আখিরাতের কথা চিন্তা করে পথ চলতে হবে ।

ভুবন যেমন সৃষ্টি হয়েছে একদিন তা শেষ ও হয়ে যাবে ।

কিন্তু মৃত্যুর পর এমন জীবনআসবে যার শুরু আছে শেষ নেই ।

ওই জীবনটা প্রত্যেককে মোকাবিলা করওেত হবে।

আল্লাহর কথা অনুযায়ী পথ চললে কোন কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে হয় না যদিও হতেও হয় মহান আল্লাহ তাআলাই তার সমাধান করে দেন ।

আল্লাহ তাআলা অসীম ক্ষমতার মালিক তিনি পারেন না এমন কিছু নেই ।

কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে দুনিয়ার মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা ইসলামকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে ,ইসলামকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ।

তাই আমাদের সকলের উচিত এদেরকে রুখে দেয়া এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ।ইসলাম শান্তির ধর্ম ।

আর এ শান্তি রক্ষার্থে মুসলমান জাতিকে বদ্ধ পরিকর হতে হবে,তবেই শান্তি বহাল থাকবে ।

আল্লাহ তাআলা ,নবী রাসূল গণ যা বলেছেন তা বিকৃত করে নয় বরং তাকে সম্মানের সাথে পালন করে মানুষকে পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে তবেই শ্রেষ্ট জাতি হওয়ার সার্থকতা প্রতীয়মান হবে ।

ইনশাহ্ আল্লাহ্ ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×