জামায়াত নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার দ্বিধাগ্রস্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত বিবিসি সংলাপে এই মত দেন দর্শক ও অতিথিরা। তবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এবারের সংলাপে অতিথি আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের সভাপতি এন এম মুনিরুজ্জামান।
সংলাপে জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে গণজাগরণ মঞ্চের দেওয়া ২৬ মার্চের সময়সীমা চলে গেলেও জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার দ্বিধাগ্রস্ত কি না, এমন প্রশ্ন করেন এক দর্শক। এ সময় মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুই দলই জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত, কারণ তাকে ভোটের রাজনীতি চিন্তা করতে হচ্ছে।’ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করতে চায় না।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘একাত্তরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে গণহত্যায় অংশ নিয়েছে জামায়াত। ৭৫-পরবর্তী সময় তাদের ভূমিকা সন্ত্রাসীদের। কাজেই তাদের অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত।’ ফারুক খান বলেন, ‘তরুণরা যে দাবি করেছে সেটা যৌক্তিক। তবে সরকারকে আইনকানুন মেনে কাজ করতে হয়। কাজেই কোন আইনে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে সরকার সেটি বিবেচনা করছে।’