গত ৩০ জুলাই ব্রাজিল থেকে আমদানি করা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার, ৮ জুলাই ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানি নিয়ে রিট আবেদনের পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে এই দিন ধার্য করেন।বেঞ্চের আদেশ অনুসারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এদিন সকালে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে একটি কমপ্লায়েন্ট প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস আদালতে সেটি উপস্থাপন করেন।
পরে এ বিষয়ে শুনানিতে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন এই গম খাওয়ার উপযোগী। অথচ যেসব পরীক্ষাগারের প্রতিবেদন এতে সংযুক্ত করা হয়েছে তাতে কোথাও এই গম খাওয়ার উপযোগী বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী গম আসেনি। যে গমের নমুনা দেখানো হয়েছিল পরে সে গম আসেনি। যেগুলো এসেছে সেগুলো দানা ভাঙা, ওজন কম। কিন্তু খাওয়ার উপযোগী কি না সেটা কোথাও বলা হয়নি। তিনি এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৮ জুলাই দিন ধার্য করেন। আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সানজীদ সিদ্দিকী।
ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে এর আগে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী পাভেল মিয়া। এ গম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এতে ওই গম মানুষের খাবার উপযোগী কি না, তা দেশের মাননিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিএসটিআই) ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২