নাহ তাদের প্রিয়'ই চাই। একজন বললেন
- ভাইয়া দোয়া করেন, আমি যদি বিয়া সাদি করি, প্রিয়'র মত যেন আমার একটা বাবু হয়।
আরেকজন বললেন
- ভাইয়া আমার যদি বাবু হয় ও কি প্রিয়'র মত সুইট হবে?
আমি একজনকে বললাম
- প্রিয়'ই কেন লাগবে? আপনার বাচ্চা ঘানা'র বাচ্চাদের মত হইলেও প্রিয়'র চাইতে বেশী মায়া লাগবে তখন। প্রিয় কি অত সুন্দর? কই প্রিয়কে আমার কাছে তো দুনিয়ার সব কিছুর চাইতে সুন্দর মনে হয়!
কিন্তু নাহ, যারাই এই টপিক নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের প্রিয়'ই লাগেব। আচ্ছা তাদের জন্য বলি, শোনেন
শুধু প্রিয় নিলেই হবে? প্রিয়'র দুই তিনটা স্বভাব বলি। প্রিয়'র মত আপনাদের বাবু হইলে কিন্তু নীচের এই স্বভাবগুলা সহই পাইবেন।
- খাটে দাঁড়ায়ে সিইই... বলতে বলতে হিসু দিয়ে সব ভিজায়ে দিবে। কাজটা যে দুষ্টামি'র এইটা সে বুঝে গেছে। প্রথম প্রথম বলতাম
- প্রিয়! খাটে হিসু দিতে হয়!
সে দুষ্টু দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে বলতো, না। তারপর বলতাম, কোথায় হিসু দিতে হয়? সে আঙ্গুল দিয়ে বাথরুম দেখয়ে বলতো, ঐটা। নেক্সট টাইম আর খাটে হিসু দিবা না, ঠিক আছে? মাথা কাঁত করে বলতো, আত্তা।
এখন এত কাহিনী করতে হয় না। খাটে হিসু দেওয়ার পর যদি "প্রিয়" বলে চিল্লান দেই, সে দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে, আত্তা। তারমানে সে নেক্সট টাইম বাথরুমে গিয়ে হিসু দিবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই নেক্সট টাইমটা আর ওর হচ্ছে না।
হাতে মোবইল বা এই জাতীয় জিনিস নিয়ে ডাক দিবে, বাবা। তাকানোর সাথে সাথে ধপাস করে আছাড়। এখন আমরা নিজেরা প্রিয়'র সাথে স্মার্ট হয়ে গেছি। ডাক দিলে আগে আঁড় চোখে তাকাই। যদি দেখি হাতে কিছু আছে। দেখি নাই এমন একটা ভঙ্গি করে টুপ করে হাত থেকে জিনিসটা সরিয়ে ফেলি। কিন্তু সবসময় কি আর হয়ে উঠে!
আমি ভল্লুক শ্রেনীর মানুষ। সারা গা ভর্তি পশম। অবশ্য বললে ভালো হবে যে এক সময় ছিলো। কারন এই পশম এখন গায়ে নাই বললেই ভালো। কারন প্রিয় এই পশম টান দিয়ে দিয়ে ছিড়ে। ব্যথা পেয়ে চিল্লানি দিলে সে মজা পেয়ে হাসে। ছিড়তে না দিলে সে চিল্লানি শুরু করে।
যাক দানে দানে তিন দান বললাম। কী! এখনো প্রিয়'র মতই বাবু চাই?