হায়রে প্রবাসী! কত বেদনা, আর কত যাতনা সহ্য করে এই প্রবাসে তার উপার্জন। তাকি স্ত্রী-পুত্র, দেশ ও জাতি আদৌ অনুভব করে। অথব প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সে পরিপুষ্ট হয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সঞ্চালিত হয়। এমপি, মন্ত্রী ও আমলাদের বিলাসিতার খোরাক মিলে।
সৌদি প্রবাসী হাজারো সমস্যায় জর্জরিত লাখো বাংলাদেশীর প্রয়োজনের কথা ভেবে সৌদি লেবার কোর্টে মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশনা এ পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।
লেবার কোর্টে মামলা দায়ের করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১.জেদ্দা লেবার কোর্ট (মাকতাব আমল) এর ডাইরেক্টর জেনারেল (মুদীর আম) বরাবর দরখাস্ত পেশ করা। দরখাস্তে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো থাকতে হবেঃ-
ক. কাজ শুরুর তারিখ, বেতনের পরিমাণ, বেতন ব্যতীত অন্যান্য সুবিধাদি, পেশা, কাজ শেষ হওয়ার তারিখ।
খ. কাজ শেষ হওয়ার কারণ (অব্যাহতি, চুক্তি শেষ)।
গ. দাবীগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা। যেমন- বেতন বকেয়া থাকলে তা কত মাস ও কত বছরের কত রিয়াল, ছুটি ভোগকালীন সময়ের বেতনের পরিমাণ, সার্ভিস বেনিফিটের পরিমাণ।
ঘ. বাদী ও বিবাদীর পূর্ণ ঠিকানার স্পষ্ট বিবরণঃ- হাইয়্য (এলাকা) এর নাম, শারের (রোডের) নাম, ইমারার (বিল্ডিং) নাম, শুক্কা (ফ্লোর) নম্বর, টেলিফোন নম্বর, নিকটস্থ কোন পরিচিত স্থাপনা (ব্যাংক, স্কুল, হোটেল, ইত্যাদি), সম্ভব হলে বিবাদীর ঠিকানায় পৌঁছার রোড ম্যাপ এঁকে দেয়া।
২. বাদীর ইকামা বা পাসপোর্টের ফটোকপি। সাথে মূল কপি আনতে হবে।
৩. কন্ট্রাক পেপারের ফটোকপি।
৪. কফিলের সাথে বাদীর সম্পৃক্ততার প্রমাণসরূপ অন্যান্য কাগজপত্র।
৫. একটি ক্লিপ ফাইল (মিলাফ্ফ ইলাকী)।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
ক. বাদী স্বয়ং তার মামলা দায়ের করবেন। বাদীর পক্ষ থেকে তার নিয়োগকৃত উকিলও মামলা দায়ের করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে বাদীর উকিলকে তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র ও বাদীর ক্ষমতাপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে এবং একসেট ফটোকপি কোর্টে জমা দিতে হবে।
খ. মামলার শুনানীর নির্ধারিত তারিখসমূহে বাদীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। যদি কোন তারিখে বাদী হাজিরা দিতে অপারগ হন সে ক্ষেত্রে লেবার কোর্ট বরাবর তার অনুপস্থিতির কারণ বর্ণনা করে একটি দরখাস্ত দিতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




