সম্প্রতি সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে হত্যার দায়ে বাংলাদেশী নাগরিক কিরণ, পিতা- আব্দুল হাই এর শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে শরীয়া কোর্টের রায় কার্যকর করা। দণ্ডপ্রাপ্ত কিরণ ২০০৭ সালে অপর এক বাংলাদেশী উজ্জল ঢালীকে কেচি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। উজ্জল ঢালীর ওয়ারিশদের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের শিরোচ্ছেদের দাবীর প্রেক্ষিতে সৌদি জেনারেল কোর্ট ইসলামী শরীয়া মোতাবেক এ রায় প্রদান করে। পরবর্তীতে আপেলিয়েট কোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট রায়টি রিভিউ করে জেনারেল কোর্টের রায় বহাল রাখে। এ বিষয়ে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় যে, "আল্লাহ তাআলা বলেন- The recompense of those who wage war against Allah and His Messenger and do mischief in the land is only that they shall be killed or crucified or their hands and their feet be cut off from opposite sides, or be exiled from the land. That is their disgrace in this world, and a great torment is theirs in the Hereafter.(সূরা মায়িদা ৩৩)। বাংলাদেশী নাগরিক কিরন আব্দুল হাই অপর বাংলাদেশী উজ্জল ঢালীর উপর ঘুমন্ত অবস্থায় লোহার কেচি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। এরপর তার অর্থ-সম্পদ চুরি করে নিয়ে যায়। তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটি জেনারেল কোর্টে পেশ করা হয়। জেনারেল কোর্টের রায়ে আইনানুগভাবে তাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করার অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ডের হুকুম দেয়া হয়। পরবর্তীতে উক্ত রায়টি অ্যাপিলিয়েট কোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট থেকে বহাল রাখা হয়। ১৬ মহররম ১৪৩২ (২২ ডিসেম্বর ২০১০) তারিখে রাজকীয় আদেশে রায়টি কার্যকর করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



