সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পেশা পরিবর্তন ও কফিল (স্পন্সর) পরিবর্তন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বন্ধ আছে।
ইতোমধ্যে সৌদি সরকার কর্মক্ষেত্রে সৌদিকরণের আওতায় "নিতাকাত" সিস্টেম চালু করেছে। এর মাধ্যমে সৌদি সরকার সৌদি যুবকদের বেকার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। “নিতাকাত” নিয়মের মারপ্যাঁচে ফেলে সৌদি সরকার সব ধরনের কোম্পানী বা ইস্টাবলিজমেন্টে সৌদি কর্মজীবী ও পেশাজীবির পারসেন্ট বাড়ানোর প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় কোম্পানীগুলোকে এক্সিলেন্ট, সবুজ, হলুদ ও লাল এ বিভাজন করেছে।
যে সকল প্রতিষ্ঠান লাল বা হলুদ ক্যাটাগরিতে পড়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীদের ইকামা (রেসিডেন্সিয়াল পারমিট) নবায়নসহ অনেকগুলো অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এজন্য সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্ব স্ব নিয়োগকারী কোম্পানী বা মুআছাসাসা (ইস্টালিজমেন্ট) কোন ক্যাটাগরীতে রয়েছে তা জানা। আপনার ইকামা নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর বা দুখুলিয়া নম্বর দিয়ে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে অতি সহজে তা জেনে নিতে পারেন। লিঙ্ক নীচে দেয়া হলো-
Click This Link
যে সকল কোম্পানী লাল ক্যাটাগরি বা হলুদ ক্যাটাগরিতে রয়েছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় সে সকল কোম্পানীকে লাল থেকে হলুদ, হলুদ থেকে সবুজ ক্যাটাগরিতে উন্নীতের জন্য নির্ধারিত সময় বেধে দিয়েছে। হিজরী রবিউল আউয়াল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ক্যাটাগরী উন্নীতকরণের এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় কিছু কিছু পেশা সৌদি নাগরিকদের জন্য রিজার্ভ ঘোষণা করেছে। রিজার্ভ ঘোষণাকৃত পেশাগুলোতে কোন বিদেশী থাকলে সে বিদেশীর পেশা পরিবর্তনের মাধ্যমে কোম্পানী তার অবস্থা পরিবর্তন করতে পারবে। চিকিৎসা বা প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট পেশা ছাড়া অন্য পেশাগুলো পরিবর্তনের জন্য লেবার কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে কোম্পানীর মালিক তার আইডি নম্বর দিয়ে ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়ায় নিজেই পেশা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন। পেশা পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়া আগামী ৩০/০৩/১৪৩৩ পর্যন্ত চলবে মর্মে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট সূত্রে জানা যায়। নীচে পেশা পরিবর্তন করার জন্য সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক দেয়া হলো-
http://www.mol.gov.sa/SecureSSL/CountDown.htm
Click This Link
লাল বা হলুদ কোম্পানীর মালিকগণ অতিরিক্ত সৌদি নাগরিক নিয়োগের মাধ্যমে অথবা বিদেশীদেরকে ফাইনাল এক্সিটে পাঠানোর মাধ্যমেও তাদের ক্যাটাগরী পরিবর্তন করতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে সাবধান থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোম্পানীর মালিক নিজেকেও একজন কোম্পানীর কর্মকর্তা হিসেবে রেজিস্ট্রি করে নিতে পারেন। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এ সুযোগ রেখেছে। এতে করে কোম্পানীর সৌদি নাগরিকের পারসেন্টিজ পূর্ণ হতে পারে এবং কোম্পানীর ক্যাটাগরী পরিবর্তন করা যেতে পারে। প্রবাসীদের উচিত তাদের মালিকদেরকে এ পরামর্শগুলো দিয়ে লাল বা হলুদ ক্যাটাগরীর কোম্পানীগুলোর ক্যাটাগরী উন্নীত করে নেয়া।
৩০/০৩/১৪৩৩ তারিখ এর মধ্যে লাল ও হলুদ ক্যাটাগরীর যে সকল কোম্পানী তাদের ক্যাটাগরী পরিবর্তনে সক্ষম হবে না এক্সিলেন্ট এবং সবুজ ক্যাটাগরীর কোম্পানীগুলো ঐ সকল কোম্পানীর বিদেশী চাকুরীজীবিদেরকে ট্রান্সফার করে নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে মূল নিয়োগকারী লাল বা হলুদ কোম্পানীর কোন অনুমতি লাগবে না।
এ পোষ্টটি সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সৌদি আরবে প্রবাসী ব্লগারগণকে এর লিঙ্ক দিয়ে অবহিত করলে সৌদি আরবে প্রবাসী লাখ লাখ বাংলাদেশী এর দ্বারা উপকৃত হতে পারবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




