হলুদ সাংবাদিকতা কি জিনিষ তা তারেক ও বিএনপি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
বিএনপির সরকারের শেষ দিক থেকেই তারেককে টার্গেট করা হয়। এটা পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়। আওয়ামি দুর্দর্শীরা বুঝতে পারেন বিএনপি আগামি নেতৃতক ঠিক করে ফেলেছে কিন্তু আম্লিগ তা পারেনি(রেহানা-জয়-ববি তিনজনের একজন হবেন হয়ত),
তাই আম্লিগ শুরু কর প্রচারণা সাথে তাদের দোসর পত্রিকা,চামচা বুদ্ধিজীবিরা। এর সাথে যুক্ত হয় সিআইএ এজেন্ট মতিয়ালু(প্রথমালু) ও ডাইল পত্রিকা(ডেইলী স্টার), এরা শিয়ালের মত একসাথে কোরাস শুরু করে। মিডীয়া ও চুচিলদের অধিকাংশই যেহেতে আম্লিগ সাপোর্টার তাই তারা সোৎসাহে শুরু করে। যার শেষ আজও হয়নি। এরা আছেই তারেক এর পিছনে। তারেক কি খাচ্ছে, কি করছে, সব কিছুই এরা নজর রাখে। কিন্তু আশচর্যের বিষয় তারা এখন পর্যন্ত কোন স্ক্যান্ডালের প্রমান হাজির করতে পারেনি। যদিও তারা অনবরত গোয়েবলসের নীতি অনুযায়ী প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।
এইবার তারেক উমরা হজ্বে যাওয়ার পর শুরু হয় নতুন করে। তারেক নাকি বিতর্কিত!! দের নিয়ে হজে গেছেন। যদিও বিতর্কিত বলতে এতদিন গিয়াসের কথাই বলত।
যে পাঁচ ব্যক্তিকে বিতর্কিত বলা হচ্ছে, তার মধ্যে মিয়া নূরুদ্দিন অপু তারেক রহমানের সহকারী ছিল ৩ বছর, তাকে তারেক রহমানের সাথে দু’টি মামলায় আসামী করেছে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার। দু’টো মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বানোয়াট, একটি ইতোমধ্যে প্রত্যাহৃত।
আশিক ছিল হাওয়া ভবনের কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব; আর জয়, বেলায়েত, এবং ডাঃ আমান বিভিন্ন দায়িত্বে ছিল। শোষোক্ত চার জনের নামে এমন কোনো মামলা নাই বা সুস্পষ্ট অভিযোগ নাই, যে তাদের বিতর্কিত বলা যাবে।
কথা হলো, রাজনৈতিক অফিসে কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে গয়রহ অভিযোগ তোলা খুব সহজ, কিন্তু তার কোনো প্রমানপত্র কেউ হাজির করে না।। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়াল কমপ্লিট হয়ে যায়।
লক্ষনীয়, যে উদ্দেশ্য নিয়া ২০০২ সল থেকে আম্লীগ হাওয়া ভবনকে বিতর্কিত করা শুরু করেছে, দেশী বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপক প্রোপাগান্ডার ফলে তারা সেটায় কামিয়াব হয়েছে—তারেক রহমানকে “দুর্নীতির বরপুত্র” বানিয়ে জেনারেল মইনকে দিয়ে আটক করিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে মেরুদন্ড ভেঙ্গে অচল করে দিতে সক্ষম হয়েছে। এরপরে মামলা হামলা দিয়ে তাকে লন্ডনে নির্বাসনে রাখা হয়েছে গত ৫ বছর।
পয়লা এপ্রিলের ডেইলী ষ্টারের বানোয়াট নিউজ দিয়ে ঐ প্রোপাগান্ডাকে আবার নতুন করে শুরু করো হলো। সংবাদটি যে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক, তা পরিস্কার কেননা- যে সব ব্যক্তির সাক্ষাতের কথা বলা হচ্ছে, তাদের সাথে দেখা করতেই কি তারেকের এত ঘটা করে সৌদিআরবে যাওয়া আবশ্যক? মোটেই নয়। যার যার সাথে তারেকের দেখা করা বা যোগাযোগ প্রয়োজন, তাদের দেখা সাক্ষাৎ কিন্তু থেমে নেই। লন্ডনেই সম্ভব। (আন্ডারলাইন করা পয়েন্ট গুলি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম থেকে কপি পেষ্ট করলাম, আমি এগুলৌ লেখতাম নিজের মত করে, কিন্তু বারবার অটোসেভ এর মেসেজ এসে বাগরা দিচ্ছে)
যাক আসল কতায় আসি, একটু আগে বাংলা নিউজ পড়োলাম, তাতে ইতোমধ্যেই দুজন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছে তারা সৌদি আরব যাননি। দেখাযাক কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্যরা বলবে তারা কোথা আছে।
এই দুজন হলেন আশিক ইসলাম ও সাজ্জাদুজামান তালুকদার জয়।
বাংলানিউজ থেকেই তাদের উদ্ধৃত করছি-
হাওয়া ভবনের সাবেক মুখপাত্র আশিক ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তিনি এই গুজবের প্রতিবাদ করে আমেরিকা থেকে বাংলানিউজকে বলেন, “আমি আমেরিকায় আছি। সৌদিআরব যাই নি। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু পত্রপত্রিকায় প্রচার ঘটেছে আমি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে সৌদি আরব গেছি, এমন খবর ভিত্তিহীন।
একই বক্তব্য দিয়েছেন সাজ্জাদুজামান তালুকদার জয়। তাকে নিয়েও গুজব রটেছে তিনি সৌদিআরবে গেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে। জয় বুগড়া থেকে বাংলানিউজকে বলেন, “আমি সৌদিআরব যাইনি। আমাকে নিয়ে যে গুজব রটেছে তা মিথ্যা।”
এখন বলেন তারেকের বিরুদ্ধে কেমন করে লেগে আছে মতিয়ালু ও ডাইল পত্রিকা। শ্যামল দত্তের ভোরের কাগজ সহ অন্যান্য গুলো মতি আলুর মত একি নিউজ ছাপিয়েছিল। এই সকল হলুদ সাংবাদিকতার জন্য ওদের গণধোলাই দেওয়া দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



