somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারেককে নিয়ে মতি আলু ও ডাইল পত্রিকার মিথ্যাচারX((

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হলুদ সাংবাদিকতা কি জিনিষ তা তারেক ও বিএনপি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
বিএনপির সরকারের শেষ দিক থেকেই তারেককে টার্গেট করা হয়। এটা পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়। আওয়ামি দুর্দর্শীরা বুঝতে পারেন বিএনপি আগামি নেতৃতক ঠিক করে ফেলেছে কিন্তু আম্লিগ তা পারেনি(রেহানা-জয়-ববি তিনজনের একজন হবেন হয়ত),

তাই আম্লিগ শুরু কর প্রচারণা সাথে তাদের দোসর পত্রিকা,চামচা বুদ্ধিজীবিরা। এর সাথে যুক্ত হয় সিআইএ এজেন্ট মতিয়ালু(প্রথমালু) ও ডাইল পত্রিকা(ডেইলী স্টার), এরা শিয়ালের মত একসাথে কোরাস শুরু করে। মিডীয়া ও চুচিলদের অধিকাংশই যেহেতে আম্লিগ সাপোর্টার তাই তারা সোৎসাহে শুরু করে। যার শেষ আজও হয়নি। এরা আছেই তারেক এর পিছনে। তারেক কি খাচ্ছে, কি করছে, সব কিছুই এরা নজর রাখে। কিন্তু আশচর্যের বিষয় তারা এখন পর্যন্ত কোন স্ক্যান্ডালের প্রমান হাজির করতে পারেনি। যদিও তারা অনবরত গোয়েবলসের নীতি অনুযায়ী প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।

এইবার তারেক উমরা হজ্বে যাওয়ার পর শুরু হয় নতুন করে। তারেক নাকি বিতর্কিত!! দের নিয়ে হজে গেছেন। যদিও বিতর্কিত বলতে এতদিন গিয়াসের কথাই বলত।

যে পাঁচ ব্যক্তিকে বিতর্কিত বলা হচ্ছে, তার মধ্যে মিয়া নূরুদ্দিন অপু তারেক রহমানের সহকারী ছিল ৩ বছর, তাকে তারেক রহমানের সাথে দু’টি মামলায় আসামী করেছে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার। দু’টো মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বানোয়াট, একটি ইতোমধ্যে প্রত্যাহৃত।

আশিক ছিল হাওয়া ভবনের কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব; আর জয়, বেলায়েত, এবং ডাঃ আমান বিভিন্ন দায়িত্বে ছিল। শোষোক্ত চার জনের নামে এমন কোনো মামলা নাই বা সুস্পষ্ট অভিযোগ নাই, যে তাদের বিতর্কিত বলা যাবে।
কথা হলো, রাজনৈতিক অফিসে কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে গয়রহ অভিযোগ তোলা খুব সহজ, কিন্তু তার কোনো প্রমানপত্র কেউ হাজির করে না।। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়াল কমপ্লিট হয়ে যায়।
লক্ষনীয়, যে উদ্দেশ্য নিয়া ২০০২ সল থেকে আম্লীগ হাওয়া ভবনকে বিতর্কিত করা শুরু করেছে, দেশী বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপক প্রোপাগান্ডার ফলে তারা সেটায় কামিয়াব হয়েছে—তারেক রহমানকে “দুর্নীতির বরপুত্র” বানিয়ে জেনারেল মইনকে দিয়ে আটক করিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে মেরুদন্ড ভেঙ্গে অচল করে দিতে সক্ষম হয়েছে। এরপরে মামলা হামলা দিয়ে তাকে লন্ডনে নির্বাসনে রাখা হয়েছে গত ৫ বছর।
পয়লা এপ্রিলের ডেইলী ষ্টারের বানোয়াট নিউজ দিয়ে ঐ প্রোপাগান্ডাকে আবার নতুন করে শুরু করো হলো। সংবাদটি যে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক, তা পরিস্কার কেননা- যে সব ব্যক্তির সাক্ষাতের কথা বলা হচ্ছে, তাদের সাথে দেখা করতেই কি তারেকের এত ঘটা করে সৌদিআরবে যাওয়া আবশ্যক? মোটেই নয়। যার যার সাথে তারেকের দেখা করা বা যোগাযোগ প্রয়োজন, তাদের দেখা সাক্ষাৎ কিন্তু থেমে নেই। লন্ডনেই সম্ভব।
(আন্ডারলাইন করা পয়েন্ট গুলি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম থেকে কপি পেষ্ট করলাম, আমি এগুলৌ লেখতাম নিজের মত করে, কিন্তু বারবার অটোসেভ এর মেসেজ এসে বাগরা দিচ্ছে)

যাক আসল কতায় আসি, একটু আগে বাংলা নিউজ পড়োলাম, তাতে ইতোমধ্যেই দুজন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছে তারা সৌদি আরব যাননি। দেখাযাক কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্যরা বলবে তারা কোথা আছে।
এই দুজন হলেন আশিক ইসলাম ও সাজ্জাদুজামান তালুকদার জয়।

বাংলানিউজ থেকেই তাদের উদ্ধৃত করছি-
হাওয়া ভবনের সাবেক মুখপাত্র আশিক ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তিনি এই গুজবের প্রতিবাদ করে আমেরিকা থেকে বাংলানিউজকে বলেন, “আমি আমেরিকায় আছি। সৌদিআরব যাই নি। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু পত্রপত্রিকায় প্রচার ঘটেছে আমি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে সৌদি আরব গেছি, এমন খবর ভিত্তিহীন।

একই বক্তব্য দিয়েছেন সাজ্জাদুজামান তালুকদার জয়। তাকে নিয়েও গুজব রটেছে তিনি সৌদিআরবে গেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে। জয় বুগড়া থেকে বাংলানিউজকে বলেন, “আমি সৌদিআরব যাইনি। আমাকে নিয়ে যে গুজব রটেছে তা মিথ্যা।”

এখন বলেন তারেকের বিরুদ্ধে কেমন করে লেগে আছে মতিয়ালু ও ডাইল পত্রিকা। শ্যামল দত্তের ভোরের কাগজ সহ অন্যান্য গুলো মতি আলুর মত একি নিউজ ছাপিয়েছিল। এই সকল হলুদ সাংবাদিকতার জন্য ওদের গণধোলাই দেওয়া দরকার।X((
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×