আবাক লাগে,বরই অবাক লাগে যখন শুনি ৩০ লক্ষ শহীদের বিষয় নিয়ে কানাঘুষা করছে সেই শহীদের সন্তানেরাই।হা,আমার বাবা কিংবা দাদার নাম সেই ৩০ লক্ষের ভিতরে নেই কিন্তু তারপরেও আমি বুক উঁচু করে বলি আমি সেই শহীদদের সন্তান,শুধু আমি না,সেই শহীদদের সন্তান আজকের এই ১৭ কোটির প্রত্যেকটা বাংগালি।সেই শহীদেরা নিজের রক্তের বিনিময়ে রেখে গিয়েছিলেন একটি বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষা মুখে আওরানো একদল জনগোষ্ঠী,সেই শহীদেরা চলে যাওয়ার সময়ে শুধু একটি সপ্নই দেখে গিয়েছিলেন আর তা হচ্ছে "লাল-সবুজের ছোট্ট একটি বাংলাদেশ আর সেই লাল-সবুজে রাংগিয়ে নিশ্চিন্তে, নির্দিধায় ঘুরে বেড়ানো বাংলার মানুষের হাসিমাখা মুখ"।আর তাদের সেই রক্তমাখা সপ্নরা যদি আসলেই সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বলতে দ্বিধা নেই যে আমরাই সেই ৩০ লক্ষের বহনকারী প্রতিটি স্পার্ম,আমরা প্রত্যেকটা বাংগালিই সেই শহীদদের দেখে যাওয়া সপ্নীল সূর্য সন্তান।
কিন্তু আমরা আজ সেই শহীদদের বীরত্তের স্পার্ম শরীরে বহন করেও কুলাংগার আর নপুংসকের মত প্রতিদিন বিভক্ত করে চলেছি সেই শহীদদের রেখে যাওয়া ছোট্ট বাংলাদেশ কে,ছুরি-কাচি চালিয়ে দিচ্ছি সেই বাংলাদেশের গর্ভকেশর তলপেটে, কাঁটাছেরা করে কখনো বাংলাদেশ কে স্বাধীনতার পক্ষে আর বিপক্ষের শক্তি নামক দুই শক্তিতে ভাগ করে দিচ্ছি। আর এখন আমাদের নপুংসক হিজরার দলেরা নতুন শব্দমালা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কে আর একবার কাঁটাছেরা করতে আর তা হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের পক্ষ আর বিপক্ষ।
এইদেশের কোন বাংলা ভাষাভাষী, বুদ্ধিজীবী কিংবা রাজনৈতিক ব্যাক্তির মুখে যখন এই শহীদের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাদন্দ দেখি,তখন আমার ইচ্ছে করে সেই কুলাংগারের মুখে এক থাবলা গাঢ় সাদা গরম স্পার্ম ঢেলে দিয়ে চিৎকার করে বলতে "এই দেখ ৩০ লক্ষ শহীদের স্পার্ম,এই স্পার্মের গন্ধ শুকে দেখ, সেই ৩০ লক্ষ শহীদের শরীরের রক্তভেজা গন্ধ মিশে আছে এতে,এই স্পার্মের ভার বহন করার যোগ্যতা তোর নেই"
আজকের এই "৩০ লক্ষ" একটি স্পেসিফিক অবিনাশী সংখ্যা হয়ে দারিয়েছে।হ্যা,হয়তোবা শহীদের সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৫ শত ৯৯ কিংবা ২৮ লক্ষ ১ শত ৮০,সেইটা কোন আলোচ্যমান বিষয় নয়,আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এই বাংলাদেশ কে উপহার দেয়া শহীদেরা যেমন অবিনাশী ঠিক তেমনি এই "৩০ লক্ষ" সংখ্যাটি ও অবিনাশী।
এরপরেও যারা এই ৩০ লক্ষের বিপক্ষে গিয়ে দাড়িয়ে আছেন তাদের কে বলছি, পাকি মিলিটারিদের সাথে পরকীয়া ছাড়ুন,আমাদের দেশে অনেক শু-পুরুষ, বীর পুরুষ কিংবা মহা পুরুষ আছে তাদের সাথে প্রেমে মজে দেখুন দেশীয় পৌরষবোধী পুরুষেরা কত তারাতারি আপনার ক্ষুদা নিবারণ করতে পারে।
আর যারা ৩০ লক্ষকে পক্ষে নিয়ে গুনগান করছেন তারা সাবধান, এই ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের কে কনডম হিসেবে ব্যাবহার করবেন না।দেশের মানুষদের কে দিবাসপ্ন না দেখিয়ে নতুন প্রজন্মের আর একটি ৩০ লক্ষ বীরযোদ্ধারুপী ঢাল তৈরী করা দেখান,যারা এই লাল সবুজের দেশকে পর্বতসম চূড়ায় নিয়ে গিয়ে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে বলবে, আমরা সেই ৩০ লক্ষের বিদ্রোহী স্পার্ম, নতুন রুপে এসেছি বিশ্বকে শাষন করতে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯