কথা বলছি, শব্দ সৃষ্টি হচ্ছে। আরেকজনের কানে তা পৌঁছে যাচ্ছে। সে আমার কথা, আমার বলা কথা বুঝতে পারছে। মুখে উচ্চারিত কিছু শব্দ বা কাগজে লেখা(এখন অবশ্য লেখাটা কাগজে সীমাবদ্ধ নেই) কিছু প্রতীক বা চিহ্ন আমার চিন্তা, আমার অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে অন্যের মাঝে। অদ্ভুত, অদ্ভুতুড়ে রকমের অদ্ভুত লাগে যখন ভাবি, যদি ভাষা না থাকতো!!! সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যত ক্ষমতা দিয়েছেন তার মধ্যে কথা বলার ক্ষমতা বা ভাব প্রকাশের ক্ষমতা একেবারে প্রথম সারিতে থাকবে বলেই আমার মনে হয়।
জন্মের পর মায়ের মুখের বোল শুনেছি। কান হয়ে হৃদয়ে পৌঁছেছে মধুর বাংলা। "খেয়েছি, পড়েছি, করেছি জাতীয় প্রমিত বাংলা না, খাইসি, করসি, পড়সি জাতীয় বাংলা। যদিও মা এবং আমার পরিবার চাইত আমি যেন শুদ্ধভাবেই বাংলাটা বলি। তবে আমার মাতৃভাষা যে তোমার ভাষা, "আম্মা"। চিন্তা করি, ঘুমাই, খাই, স্বপ্ন দেখি, সবই তোমার ভাষায়।
এক বড় ভাইয়ের কাছে শুনেছি, প্রতি ৩০ কিলোমিটারে ভাষা বদলায়, প্রতি ত্রিশ বছরে ভাষা বদলায়। ভাষা বদলাবে, মায়েরা কথা বলবে একেক ধরণের ভাষায়। তবে, সন্তানেরা কথা বলবে মায়ের ভাষাতেই।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। সকল ভাষাশহীদ আর সকল ভাষাসৈনিকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তোমাদের কল্যাণেই পৃথিবী ভাষাবৈষম্যহীন হয়েছে, হচ্ছে। সর্বোচ্চ কৃতজ্ঞতা সকল মায়ের প্রতি।