somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শুভ্র২৪
বিশৃঙ্খল আমার জীবন, বিচিত্র আমার স্বভাব।nঅনিচ্ছাসত্ত্বেও তবু কিছু শৃঙ্খলের বেড়ীতে বাঁধা আমি।nএকমাত্র লক্ষ্য, এই শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হওয়া।nnনির্মল, বিশুদ্ধ পবনে শ্বাস নিতে চাই।nঅসীম নীল আকাশে ডানা মেলতে চাই।nচাই দিক-দিগন্ত, সীমা-পরিসীমা পেরিয়ে অজানার প

ক্রিকেটে রাজনীতি? পক্ষে, বিপক্ষে? Don't give a shit.

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙালীর গর্ব ভাষা আন্দোলন, বাঙালীর গর্ব মুক্তিযুদ্ধ।
বাঙালীর গর্ব ক্রিকেট, বাঙালীর গর্ব মাশরাফি...( আরো অনেক কিছু আছে, শুধু প্রাসঙ্গিক অংশটুকু টানলাম)
এবার দেখুন আনন্দবাজার পত্রিকায় দেয়া মাশরাফির বক্তৃতার একাংশ...
প্র: যেমন আপনি বলেছেন ক্রিকেটকে জাতীয়তাবাদের স্তম্ভ হিসেবে দেখাটা আপনি সমর্থন করেন না।
মাশরফি: আমি নিজের মনের কথা বলেছি। আমি মনে করি দিনের শেষে খেলাটা একটা বিনোদন। তাও তো ক্রিকেট হল স্পোর্টসের একটা অংশ। পুরো খেলা নয়। সেখানে এত হিরো ওয়ারশিপের দরকার কী?
প্র: আপনার চোখে হিরো কারা?
মাশরফি: সবচেয়ে বড় হিরো আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের জন্যই তো আজ স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা রয়েছি। আমি ওদের অসম্ভব সম্মান করি। আমি সম্মান করি বৈজ্ঞানিকদের। ওঁদের এক-একটা আবিষ্কার জাতিকে কত বছর আগে নিয়ে যায়। আমি সম্মান করি ডাক্তারদের। যাঁরা মানুষের জীবন বাঁচান। এর চেয়ে মহত্ কাজ আর কী হতে পারে। আমাদের নিয়ে যত নাচানাচিই হোক, আমরা কি কারও জীবন বাঁচাতে পারছি?
প্র: একটা এত বড় ফাইনালে ওঠার পর আপনার মুখে কথাগুলো সত্যিই ব্যতিক্রমী।
মাশরফি: আমি ভেতর থেকে বিশ্বাস করি আমাদের সমর্থন করছেন খুব ভাল। আমার টিম কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই মেয়েটিকেও করুন যে স্যাগ গেমসে চারটে সোনা জিতে সবার অলক্ষ্যে ঢাকা ফিরেছে। আমরা যদি স্পোর্টসের লোক হই তো ওই মেয়েটিও স্পোর্টসেরই লোক। সাপোর্ট জীবনের সব বিভাগে করুন। তা হলেই তো বাংলাদেশ এগোতে পারবে। শুধু ক্রিকেটে পড়ে থেকে কী লাভ!
জাতি দুই দলে বিভক্ত( আসলে তিন দল হবে)
এক দল ক্রিকেটে রাজনীতি আনার পক্ষে, আরেকদল ক্রিকেটে রাজনীতির বিপক্ষে।
আর তৃতীয় দলে পড়ি আমরা, যারা ওই দুই দলের কাউকেই Don't give a shit.
প্রথম দলের বেশীরভাগ মানুষ পাকিস্তান সাপোর্টার। নিজেদের সুবিধার্থে তারা ক্রিকেট থেকে রাজনীতি দূরে সরাতে চায়। আর দ্বিতীয় দলের বেশীরভাগ মানুষ প্রচন্ড পাকিস্তান বিদ্বেষী( অবশ্যই এর সঙ্গত কারণ আছে) তাই এরা ক্রিকেটে রাজনীতি টানতে চায়।
রাজনীতি কূটনীতির ব্যাপারটা যেহেতু আমি বুঝিনা, তাই আমি বলি, " ক্রিকেটের মাঠে যে ১১জন আমার দেশের ১১ জনের বিরুদ্ধে নামবে তখনকার জন্য তারাই আমার শত্রু/প্রতিদ্বন্দ্বী । আবার যখন রমিজ, সিধু, বয়কট আমার দেশের ক্রিকেট টীম নিয়ে কটুক্তি করবে তখন তারা আমার শত্রু।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ের দিনে যে পাকিস্তানী লোকটা আমার দেশের পতাকা উড়ালো তার সাথে আমার কোনও শত্রুতা নেই। একাত্তরে যে পতাকার অসম্মান করেছিল ওরা, এখন সেই পতাকাকেই মাথায় তুলে নাচছে। এটাতো আমাদের জয়। আমাদের ক্রিকেটারদের জয়। অথচ তাকে এভাবে হেনস্তা করা হলো। একে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে?
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জুয়েল ক্রিকেটের চেতনা নিয়ে যুদ্ধে যাননি, দেশের ডাকে গিয়েছিলেন। আবার মাশরাফিরা নিজেরা খেলার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে থেকে প্রেরণা নেন, নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা ভাবেন না।
যারা বাঙালী পাকিস্তানী সাপোর্টারদের মুন্ডুপাত করছেন তাদের বলি, ভাই নিজের লেভেলটা বোঝেন। কাদের সাথে তর্ক করছেন? যদি আপনার কথা শুনে তারা বদলে যেত, তবে আপনাকে কিছুই বলতে হতোনা।
আরেকটা কথা, রাজনীতির কথা আসছে তো? অস্ট্রেলিয়া কিন্তু তাদের অনুর্ধ্ব ঊনিশ দলকে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে পাঠায় নি, ভারত কিন্তু আজো আমাদের ক্রিকেট টীমকে তাঁদের দেশে ডাকেনি। ক্রিকেটে রাজনীতি ব্যাপারটা কেমন সেটাই হয়তো আমি বুঝতে পারছিনা।
সবশেষে মাশরাফির কথাই বলি, "দিনের শেষে খেলাটা একটা বিনোদন। তাও তো ক্রিকেট হল স্পোর্টসের একটা অংশ। পুরো খেলা নয়। সেখানে এত হিরো ওয়ারশিপের দরকার কী?" তবুও ধরে নিলাম ক্রিকেটটা আমাদের আবেগ। কিন্তু সেই আবেগটা খেলার মধ্যেই থাক?
বিদ্বেষটা যাদের প্রতি, তাদের একের পর এক জবাব দিয়ে যাচ্ছে আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টীম এবং জবাব দিয়েই যাবে।
বিঃদ্রঃ অগোছালো বলে পড়তে সমস্যা হলে পড়ার দরকার নেই। কারো কোমল হৃদয়ে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×