সুরঞ্জণা তুমি ফিরে গেছো
শ্যামল সোম
ঘনবর্ষায় অঝরে ঝরছে বৃষ্টি,
ঝিলের পাড়ে গাছের তলায়
তোমার চোখে চোখ রাখতেই
দেখে ছিলাম আমার সর্বনাশ।
বাদলা হাওয়ায় থরথরিয়ে কাঁপছিল
তোমার সোনার বরণ শরীর,
সারা মুখে লাজে রাঙা-আলোর হাসি,
অপরূপ রুপের এই মাধূরী
আকাশে ঝলসে উঠছে বিদ্যূতশিখা
আলোয় আলোময় চারিদিক।
বাজ পড়ার আওয়াজ শুনে ভয়ে
তুমি কান চেপেছো, দুহাত বাড়িয়ে
দিলাম তোমার দিকে, ছুটে এসে বুকে
জোরে জড়িয়ে ধরলে আমায়।
শ্রাবণের ধারার মতো সেদিন
অবিরাম ঝরছিলো জল,
এত দিনের সব অভিমান
অনুযোগ, অঅভিমান-যাতনা অশ্রু
বৃষ্টিতে ধূয়ে যায়, গভীর চুম্বনে--
তোমার এতদিনের সব দুঃখ, কষ্ট, ক্লেশ,
তপ্ত মাটির মতো সব শুষে নিলাম।
নির্জন অলকানম্দা নদীর ধারে,
বরফ ঘেরা ঐ নীলক্ন্ঠ পাহাড়ের নীচে
পাইন বনে সবুজ বুগিয়াল এরই মাঝে
লতায় পাতায় দুজনে ঘর বেঁধেছি।
দোরে দোরে -ফেরী করে ফিরতাম
বনের ফুল, ফল আর পিঠ বোঝাই কাঠ।
রঙ বেরঙের বাহারী ঘাগরা আসমানি
রঙের কাঁচুলি, রঙিন ফিতেয় বিনুনী-
সূর্মায় চোখ আঁকা কপালে সোনালী টিপ !
তুমি দুয়ার ধরে আছো দাঁড়িয়ে-
দূর থেকে তোমায় দেখে পিঠের বোঝা,
ছুড়ে ফেলে; আমি এক দৌড়ে এসে
শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরে তোমায় আমি
শূণ্যে নিয়ে বন বন করে ঘুরিয়ে দিয়ে
নরম ঘাসে দুজনে আছাড়ে পরে সে এক
আশ্চর্য সুখের পরশে হারিয়ে গেলাম।
কাটল দিন গেল বছর; পাগল করার শীতের
মাঝে আগুন জেলেও হয়না গরম !
শীতল দিনে শিথিল হলো প্রেম, হায়!
ভালোবাসা এ যাতনায় চির তরে হারিয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯