অন্তর্জ্বলি এ যাত্রায়
শ্যামল সোম
অন্তহিন অভিমানে পুড়ছে মন,
সুখ স্মৃতির দহনে গলছে সুখ,
নীল বসনা ললনা এই সুখ সায়রে
তোমারই আজ ভাসছে মুখ।
এখন এই অলস সকাল গড়িয়ে
ঝরছে আগুন, বাড়ছে তাপ,
সেদিনের স্পর্শের গভীরতায়
এইক্ষণে এ সন্তারিত সন্তাপ।
নির্জনে একাকী এ সন্তরণে অতল
জলে ভাসছে আমার শব।
আনমনা নিঝুম দুপুরে- ঘুঘু নিশ্চুপ,
থেমে গেছে পাখীদের. কলরব।
তোমার শরীরের ঘ্রাণ এখনও অম্লান,
বহিছে ব্যাকুল বাতাস, এই ঘণবর্ষায়।
চুম্বনের স্বাদ ফেরে হীমেল হাওয়ায়,
শীতল মৃত্যুর ছোঁয়ায় ভাসে রক্ত গোলাপ।
পূর্ণিমায় জ্যোস্নায় স্নাত সিক্ত শুভ্র বসনে,
হে প্রেম ! বহুকাল আগে গেছে, বিদায় চুম্বনে।
প্রচন্ড ঝরে ভেঙ্গে গেছে নীড়,
সহবাসের অতৃপ্ত আকাঙ্খায় ফিরি জনে,জনে
শিহরণে খুঁজি- ভেবে তোমারই. শরীর।
শীতার্থ ঝির ঝির বৃষ্ঠির সাথে,
গাছ হতে পাতা ঝরে যায়, অবসন্ন এই ক্ষনে।
প্রতিক্ষণে অন্তিম বেঁচে থাকার আশা;
দীর্ঘায়িত হা-হুতাশ বড়ই ক্লান্ত এ জীবন।
বেলা শেষে গোধূলী আলোয়,
তুমি একবার শিয়রে এসে দাঁড়াও, এই শেষবার,
হাতে নিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতি,
আর শ্বেত শুভ্র কাফন, উষ্ণ পরশ বিছিয়ে দিও,
দাফনের আগে হীম শীতল মৃত শরীরে আমার।