বাঙালির মধ্যে ধর্মের ধ্বজা উড়ছে।
মুস্কিল হল অনেকে ওদের ধর্ম আলাদা বলে বাঙালি বলে মানে না। অন্য ধর্মের বাঙালির মধ্যে আগে ধর্ম পরে বাংলাভাষা, বাঙালিয়ানা, নামে পরিচিতি রাখতে চায়, বাঙালি জাতির একজন কিন্তু বিধর্মী, অন্য ধর্মের মানুষ, তাই লালন সাঁই জী গেয়েছেন, ":জলে ওপর পানি, না পানির ওপর জল বল ?" " সব লোকে লালন কি জাত সংসারে ?"
লালন সাঁই জনকে কঠোর মনভাবাপন্ন, ধর্মীয় খাঁটি ইমানদার লালনকে নিজেদের ধর্মের মানুষ হিসেবে মানতে নারাজ।
বাংলাভাষার জন্যে কত বলিদান, রক্তাক্ত ইতিহাস, স্বাধীন দেশ, কিন্তু অন্য ভাষায় যেহেতু
পাক, পবিত্র ধর্মের গ্রন্থ রচিরচিত, তাই দিনে পাঁচ বার আওড়ে যাই, বা একই বাঙালির আবার অন্য ভাষায় এক বর্ণ না বুঝে দেবভাষায়, বিবাহ, শ্রাদ্ধ, শান্তি সংস্থান, যোগাযোগ বিপদাপন্ন
অন্য ভাষায়, ভিষা
যদিও ধর্মের অত্যাচারে ধর্মান্তরিত হয়েছিল নীচু জাত বলে। ধর্ম নিরপেক্ষ, অসম্প্রদায়িক এটা কথার কথা, ভান বা ছল করে থাকা। পর ধর্ম সহিষ্ণুতা, শ্রদ্ধা থাকা কি নির্ভর করে না অন্য ধর্মের ধর্মিয় মানুষের প্রতি হিংসা নয়, পারস্পরিক সম্পর্কে প্রীতি, সকল ধর্মের সমন্বয় নয়, শ্রদ্ধাশীল হওয়ার প্রবণতা থাকলে পারস্পরিক অহিংসার বাতাবরণে পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮