মটর সাইকেল যাত্রা শুরু করেই আমাদের রাজবাড়িতে নিয়ে গেল। কিন্তু কোথায় রাজবাড়ি, একটা টিনের ঘর। তার সামনে একটা লিচু গাছ।গাছের নীচে একটা গাভি বসে বসে আমাদের দিকে কড়া নড়র রাখছে। আমরা বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে চলে এলাম। আমাদের মটরসাইকেলের পাইলট, সেন্টু, সে আকাবাকা একটা মাটির রাস্তা দিয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে এলো।
নদী তার বুক পেট বের করে শুয়ে আছে। হালকা এক চিলতে পানি বয়ে যাচ্ছে। সেই নদীর উপর দিয়েই মটর সাইকেল পার করে ওপার চলে এলাম।
এখানে কাছেই একটা খৃষ্টান মিশন রয়েছে। সেটা দেখে এলাম বিডিআর ক্যাম্পে। এটা অসাধারন। নিচেই নদী। তার ওপার ভারত। মেঘালয়ের পাহাড়। বিএসএফের ক্যাম্প দেখা যায়। বিডিআর ক্যাম্পের উপর একটা ছোট গেস্টহাউজ। তার সামনের সিড়িতে বসে রইলাম সারাবেলা।
নীচে নেমে একটা আদিবাসী দোকানে চা খেলাম। গারো অধু্যষিক এই এলাকাগুলো নারী প্রাধান্য বেশী। মহিলারাই দোকানদারি, ব্যবসা বাণিজ্য করছে।
খিদেয় পেট চো চো করছে। কিন্তু চা আর বিস্কুট ছাড়া আর কিছূ আপাতত নেই। খিদে পেটেই গেলাম চুনামাটির খনি দেখতে।