লাইভ দেখতে এখানে
তাজরীণ গ্রার্মেন্টস ট্রাজেডির রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই ফের শ’শ’ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সাভারের শিল্পাঞ্চল এলাকায়। সেবার ছিলো আগুন, এবার ধসে পড়েছে ভবন। সেই ধসে পড়া ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
এ পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাভারের ইউএনও কবির হোসেন ও ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর (অপারেশন) মেজর মাহবুব। আর এ পর্যন্ত তিনশ’ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলেও বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন মেজর মাহবুব।
বুধবার সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানা প্লাজা নামের ওই ৮তলা ভবনটি ধসে পড়ে।
ভবন সংশ্লিষ্টদের হিসাবে, সব মিলিয়ে কয়েকটি গার্মেন্টসের সাড়ে ছ’হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন ভবনটিতে। ধসে পড়ার সময় ছিলো উৎপাদনের পিক আওয়ার। তাই এখন পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার হলেও শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা কতোতে গিয়ে পৌছায় তা এখনই বলা মুশকিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা জোনের এডিসি মিজানুর রহমান তাই বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা সেনা বাহিনী, দমকলের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে দুর্ঘটনা এতো ব্যাপক যে সর্ব সাধারণের সহযোগিতা ছাড়া ভালোভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব নয়।”
ভবনটির ৭তম ও ৮ম তলার ফ্যানটম অ্যাপারেলস লিমিটেডের সুইং ফ্লোরের লাইনম্যান সামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভবনটির ৭তম ও ৮ম তলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করতো। ৩য় ও চতুর্থ তলায় ফ্যানটম টেক্সট লিমিটেডে কাজ করতো আরো দেড় হাজার শ্রমিক। আর ৭ম তলার ইথারপেক ফ্যাশনে কাজ করতে ছয় শ’এর মতো।
সব মিলিয়ে তাই শত শত শ্রমিক হতাহতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া ভবনটির সামনে গড়ে তোলা ব্যাক ব্যাংকের একটি ভবনে আরো ৩০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা আটকা পড়েছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্যাংকটির কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম বলেন, “ভেতরে অনেক লোক আটকে আছে। ফোনে তারা জানিয়েছেন, তাদের যেন উদ্ধার করা হয়।”
তবে বহুতল ভবনটির ২য় ও ৩য় তলায় শপিং কমপ্লেক্স থাকলেও এখনো চালু না হওয়ায় ওই দুই ফ্লোরে বেশি মানুষ থাকার সম্ভাবনা কম।
স্থানীয়রা বলছেন, মঙ্গলবারই ভবনটিতে ফাটল দেখা গেলেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি কেউই। বুধবার সকালে যথারীতি পোশাকশ্রমিকরা কারখানায় কাজ করতে আসেন। এরপরই তারা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭