একটা সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট, খুলনা)। যেখানে প্রতিদিন ৬-৭ ঘন্টা কারেন্ট থাকছে না। ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে প্রায় সবসময় আধ থেকে এক ঘন্টা, কোনো কোনো সময় দেড় ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশী সময় কারেন্ট থাকছে না। জেনারেটর দিয়ে আর কতটুকুই বা ব্যাকআপ দেয়া যায়? তাই, ল্যাবের কাজ না করে গরমে গল্প করা বা শুধু বসে থাকা ছাড়া আর কোনো কিছু করার থাকে না। আর প্রোগ্রামিং ল্যাব এ তো শুধু বসে থাকতে হয়। কারণ এতোগুলো পিসি আইপিএস বা অন্য কিছু দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। আর সবচেয়ে বিরক্ত লাগে তখন যখন অনেক কষ্টে একটা প্রোগ্রাম মেলানোর পর হুট করে কারেন্ট চলে যায় আর তা সেইভ করা হয় না ভুলবশত, কারণ আমাদের ইউপিএস বা আইপিএস নেই।
হলে এসে যে কিছু কাজ করবো তাও সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের অনেকের ইউপিএস নষ্ট হয় হয় অবস্থা। আমার নিজেরই ইউপিএস নেই। এখানে এমনিতেও ইন্টারনেটের স্পিড খুব স্লো। এরপর যখন কারেন্ট চলে যায় আর আমরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাউনলোড করতে পারিনা তখন আরও বিরক্ত লাগে। আর মাস শেষে জিপি কে তো ১০০০ টাকা গুনে গুনে দিতে হয়।
আমাদের দেশে বেকারত্বের সমাধান হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং খুব সম্ভাবনাময়। যারা এ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ সমস্যায় পড়ছেন তাদের তো খুবই করুণ অবস্থা। যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
আমাদের যারা ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে থাকে তারা খুবই কষ্টে আছে। বাইরে তো ১২-১৫ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। অনেকের পিসির পাওয়ার বক্স নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভোল্টেজ আপ-ডাউন আর ঘন ঘন লোডশেডিং এর জন্য।
যাদের নিয়ে আমাদের সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর তার ইয়েরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, তারা কিভাবে চলছে তা কি তিনি বা তারা জানেন? এতক্ষণে নিশ্চয় তারা এয়ার কন্ডিশান্ড রুমে আরাম করছেন। শেখ হাসিনা নাকি বলেছেন –“আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করা হয়েছে”।
তাই, মা হাসিনার প্রতি অনুরোধ- “ডিজিটাল বাংলাদেশ দূরে থাকুক, আগে বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিৎ করুন”।
বিঃদ্রঃ এ লেখাটি লেখার মাঝখানে ২ ঘন্টার লোডশেডিং হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২