অরিন , সুজন , মিশু , কানন আর আমি । সৌন্দর্য্যের নিঃশব্দ ডাক আমাদের কর্ণকুহরে গিয়ে পৌঁছেছিলো । আমরা ব্যকুল হয়ে ছুটে গিয়েছি ওখানে । ঐ আকাশ ছুঁই ছুঁই পাহাড় আর নৈসর্গিক জীবনের সাথে আমরা অনেকটা একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম । আর ওখানকার মানুষ ? এখনো তাদের জন্য হৃদয় কাঁদে ।
গিয়েছিলাম রাঙ্গামাটি , বান্দরবান । প্রকৃত সৌন্দর্য্য যে বরাবরই মানুষের আড়ালে থেকে যায় তা ওখানে না গিয়ে বোঝা যাবে না । রাঙ্গামাটিতে এসে যে স্নিগ্ধতা গা জুড়িয়ে দিলো তার পরশ এখনো উপলব্ধি করি । অনেকে রাঙ্গামাটি , বান্দরবান গিয়েছেন । সময়ের স্বল্পতা অথবা ব্যস্ততা বা সঠিক তথ্য অনেককেই অনেক লুকানো নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অবলোকন থেকে বঞ্চিত করেছে । আমাদের বেলায় কিছুটা এমন হয়েছে । কি কি মিস করেছি আর কি কি পেলাম , কোন সময় গেলে বা কিভাবে গেলে আরও অপরূপা দেখতে পেতাম প্রকৃতির রূপসী কন্যাদের - তা ভাবলাম সবারই জানা থাকা দরকার । এখনকার সময়ে সবারি ব্যস্ততা অনেক বেশী । এমন নৈসর্গিক পরিবেশের সাথে মিশে যাওয়ার অবকাশটুকুও হয়ে ওঠে না । তবু যা হয় , তাতে গিয়ে যদি অনেককিছুই মিস হয়ে যায় , তাতে আফসোসটাও হয় অনেক বেশী । তাই আমি পর্ব করে লিখব , যাতে সবাই সবটুকু উপভোগ করতে পারেন ।
কিছু ছবি শেয়ার করলাম । পরবর্তী পোস্টটি যাতে শীঘ্রই দিতে পারি সেজন্য সবার কাছে রইল দোয়ার আবেদন ।
জীবনের প্রথম দেখা কোনো জলপ্রপাত । শৈলপ্রপাতের জীবন্ত ছবি এখনো সাঁটা আছে হৃদয়ে ।
পেদা টিং টিং থেকে কাপ্তাই হ্রদ
প্রকৃতি ঝুলন্ত সেতু এখানে এসে দেখেছি । মেঘলা , বান্দরবান ।